Just In
- 11 hrs ago
Nail Care : অল্পেতেই ভেঙে যায় আপনার নখ? রইল নখ মজবুত করার ঘরোয়া উপায়
- 18 hrs ago
Ajker Rashifal : আজকের দিনটি কেমন কাটবে? দেখুন ২৭ মে-র রাশিফল
- 1 day ago
চিংড়ি সর্ষে, মালাইকারি ছেড়ে এবার খান চিংড়ির দো পেঁয়াজা, রইল প্রণালী
- 1 day ago
শখের সোনার গয়না দ্যুতি হারাচ্ছে? বাড়িতেই পরিষ্কার করুন এই কয়েকটি উপায়ে
মন খারাপ নাকি? ঝটপট একবাটি দই খান!
ঝড় উঠেছে। খুব জোরে ঝড় উঠেছে। পাঁজরে এত জোরে ধাক্কা মারছে যে কষ্টটা অর সহ্য হচ্ছে না। খুব...খুব কষ্ট! মনে হচ্ছে দমটা যেন বন্ধ হয়ে যাবে। এদিকে চোখটা ঝাপসা হচ্ছে। কী করি এখন। মনটা যে খারাপ আমার। কিছু করেই তো ঠিক হতে পাচ্ছি না। কয়েকজন বন্ধুকে ফোন করেছিলাম। খুব কাছের বন্ধু। ব্যস্ততার অজুহাতে দেখিয়ে ওরা ফোনটা রেখে দিল। এখন তো ঘরটা কাটতে আসছে আমায়। মনে হচ্ছে আজ আর পারবো না মনের সঙ্গে লড়তে। হার নিশ্চিত!
আরে আরে দাঁড়ান বান্ধু। কী করছেন! হাতের কাছে একটু দই হবে? দই দিয়ে কী হবে! মজা করছেন! আরে না না। একবারেই না! সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে মন খারাপের সময় এক বাটি দই খেলেই কেল্লাফতে! মনের মধ্যে থাকা দুঃখের বিষ তো বেরবেই, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের অন্দরে বেশ কিছু কেমিকেলের ক্ষরণের কারণে নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে। মুন্নাভাই-এর একবার কেমিকেল লোচা হয়েছিল মনে আছে তো? মন খারাপও এমন এক ধরনের কেমিকেল লোচা, যা দইয়ের দাওয়াইয়ে চটজলদি সেরে যায়। কী মশাই, এবার দই খাবেন তো! তবে তার আগে মন এবং দইয়ের সম্পর্কটা আরও কত গভীরতা একবার জেনে নি। তাহলে আর মনে কোনও সন্দেহ থাকবে না।

গবেষণা কী বলছে?
গবেষকরা লক্ষ করে দেখেছেন দইয়ে উপস্থিত ল্যাক্টোব্যাসিলাস, সহজ কথায় উপকারি ব্যাকটেরিয়া শরীরে থাকা মাইক্রোবায়োমের চরিত্র এমনভাবে বদলে দেয় যে ডিপ্রেশন দূরে পালায়। এখানেই শেষ নয়, ডিপ্রেশন বা মন খারাপ তখনই হয়, যখন মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রেও দই বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। মন খারাপ করা হরমোনকে আক্রমণ করতে "ফিল গুড" হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ধীরে ধীরে মন খারাপ কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, অন্যান্য বেশ কিছু গবষণাতে দেখা গেছে পাকস্থলীতে উপস্থিত মাইক্রোবায়োম মেন্টাল হেল্থের ভাল-মন্দের সঙ্গে অতোপ্রতোভাবে জড়িত। তাই তো দই এবং মন বা মস্তিষ্কের সম্পর্কটাকেও অস্বীকার করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়।

আরও কিছু...
দই এবং মন খারপের সম্পর্কটাকে আরও একটু গভীরে গিয়ে দেখা যাক। যে গবেষণার কথা আলোচনা করা হচ্ছে, তাতে দেখা গেছে মন খারাপের সময় শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের পরিমাণ কমে যায়। ফলে কাইনুরেনাইন নামে একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা স্ট্রেস লেভেলকে নিমেষে বাড়িয়ে দেয়। এই সময় যদি কোনও ভাবে শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের মাত্রা বাড়ানো যায়, তাহলেই স্ট্রেস তো কমেই, সঙ্গে অ্যাংজাইটিও কমতে শুরু করে। আর একথা তো নিশ্চয় এতক্ষণে জেনে গেছেন যে দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্টোব্যাসিলাস থাকার কারণ মন খারাপের প্রকোপ কমাতে দইয়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাহলে মশাই, এবার দই খাবেন তো? নাকি এখনও মনে হচ্ছে আমি মজা করছি!

দইয়ের আরও কিছু উপকারিতা:
মন ভাল করে দেওয়ার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু কাজে লাগানো যেতে পারে দইকে। যেমন ধরুন, হজম ক্ষমতার উন্নতিতে দই দারুনভাবে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে, দাঁত ও হাড়কে শক্তপোক্ত করতে, ত্বকের সৌন্দর্যতা বাড়াতে এবং খুশকির প্রকোপ কমাতেও দইয়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো প্রতিদিন দই খাওয়ার অভ্যাস করলে মন তো চাঙ্গা থাকেই, সেই সঙ্গে শরীরও রোগমুক্তির পথে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যায়।