For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

ফুলকোপির ডালনা বা রোস্ট না খেলে বিপদ! কিন্তু কেন?

বাঙালি হেঁসেলে সম্মানের সঙ্গে রাজত্ব করা ফুলকোপিকে রোজের ডায়েটে না রাখলে কিন্তু ভুল করবেন! কারণ...

|

বলেন কী! এই প্রথম শুনলাম কেউ বলছে ফুলকোপির ডালনা বা রোস্টের মতো মুখরোচক খাবার না খেলে কেউ মারা পরতে পারে...!

একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! বাঙালি হেঁসেলে সম্মানের সঙ্গে রাজত্ব করা ফুলকোপিকে রোজের ডায়েটে না রাখলে কিন্তু ভুল করবেন! কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে শরীরকে চালাতে যে যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির প্রয়োজন পরে, তার বেশিরভাগই প্রচুর পরিমাণে মজুত রয়েছে ক্রসিফেরাস পরিবারের অন্তর্গত এই সবজিটিতে। শুধু তাই নয়, একাধিক রোগের মার থেকে শরীরকে বাঁচাতেও ফুলকোপির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।। যেমন ধরুন...

১. ফুলফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

১. ফুলফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

শরীরের অন্দরে "হিউমেন প্যাপিলোমা ভাইরাস" এর সংখ্যা কোনো কারণে বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে ভোকাল কর্ডের মারাত্মক ক্ষতি তো হয়ই, সেই সঙ্গে ফুসফুস সংক্রান্ত নানাবিধ রোগও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই তো দেহের অন্দরে যাতে এই বিশেষ ধরনের ভাইরাসটির মাত্রা বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর ঠিক এই কারণেই সপ্তাহে ২-৩ দিন ফুলকোপি খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আসলে এই সবজিটির অন্দরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা অল্প সময়ের মধ্যেই ক্ষতিকর জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে ফুসফুসের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

২. হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে:

২. হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এই সবজিটি দিয়ে বানানো নানাবিধ মুখরোচক পদ খাওয়া শুরু করলে শরীরে ভিটামিন সি এবং কে-এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে একদিকে যেমন জয়েন্টে প্রদাহের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা কমে, তেমনি হাড়ের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবানাও আর থাকে না। তাই তো বলি বন্ধু, বুড়ো বয়সে গিয়ে যদি নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হতে না চান, তাহলে নিয়মিত কোপির ডালনা বা রোস্ট অথবা ফুলকোপি-মাছের ঝোল খেতে ভুলবেন না যেন!

৩. ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি দূর হয়:

৩. ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি দূর হয়:

শরীরকে সচল রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিন এবং খনিজের প্রয়োজন পরে। আর এইসব পুষ্টিকর উপাদানের যোগান আসে নানা খাবার থেকে। যার মধ্যে ফুলকোপি অন্যতম। এই সবজিটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, প্রোটিন, থিয়ামিন, রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, ভিয়ামিন বি৬ সহ আরও অনেক খনিজ, যা শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমে:

৪. নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমে:

ফুলকোপিতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার হজমে সহায়ক পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কনস্টপেশনের মতো রোগের প্রকোপও কমে। তাই ফুলকোপি খেলে উইন্ড পাস বেড়ে যায়, এই ধারণা কতটা সঠিক, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

৫. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না:

৫. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না:

প্রতি বছর যে হারে ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের দেশে নতুন করে ক্যান্সার রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ ছাড়াবে, এমনটাই ধরণা চিকিৎসক মহলের। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের খেয়াল রাখতে ফুলকোপিকে সঙ্গে রাখাটা মাস্ট! কারণ এই সবজিটির শরীরে রয়েছে সালফরাফেন নামে একটি উপাদান, যা ক্যান্সার সেলকে মারতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, ম্যালিগনেন্ট টিউমারকে ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয় না। এখানেই শেষ নয়, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ফুলকোপিতে সালফরাফেন ছাড়াও কিউকারমিন নামে আরেকটি উপাদানের খোঁজ পাওয়া গেছে। এই উপাদানটি প্রস্টেট ক্যান্সার রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. দেহের অন্দরে ইনফ্লেমেশনের মাত্রা কমে:

৬. দেহের অন্দরে ইনফ্লেমেশনের মাত্রা কমে:

নানা কারণে আমাদের বিভিন্ন অঙ্গে প্রদাহ বা ইনফ্লেমশন দেখা দেয়। এই সময় যথাযত চিকিৎসা করে যদি প্রদাহ কমানো না যায়, তাহলে সেই অঙ্গের কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। তাই তো ঠিক সময়ে ইনফ্লেমেশন কমানোর দিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটি করবেন কিভাবে? কিছুই না, ফুলকোপি দিয়ে বানানো নানা পদ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে ফুলকোপির শরীরে রয়েছে একাধিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

৭. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

কোলিন নামে একটি উপাদান রক্তে যত মিশবে, তত মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকবে। সেই সঙ্গে বুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগেরও উন্নতি ঘটবে। কিন্তু প্রশ্নটা হল কোলিনের যোগান কে দেবে? কে আবার ফুলকোপি! এই সবজিটির শরীরে প্রচুর মাত্রায় কোলিনের খোঁজ মেনে, যা ব্রেন পাওয়ার বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট।

৮. নানাবিধ হার্টের রোগ সব দূরে পালায়:

৮. নানাবিধ হার্টের রোগ সব দূরে পালায়:

ফুলকোপিতে উপস্থিত সালফরমেন, রক্ত চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে হার্ট খারাপ হয়ে যাওয়ার পিছনে যে যে কারণগুলি বিশেষভাবে দায়ি থাকে, রক্তচাপ তার মধ্যে অন্যতম। তাই তো নিয়মিত ফুলকোপি খেলে হার্টকে নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকে না।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Cauliflower: A Royal Health Boost

The health benefits of cauliflower include a reduced risk of cancer, heart and brain disorders, relief from indigestion, detoxification of the body, increased iron absorption, and weight loss. This superfood also helps boost eye health, maintain hormonal balance, and prevents diabetes, colitis, respiratory papillomatosis, hypertension, and the harmful effects of ultraviolet radiation. It is packed with nutrients and antioxidant power which helps in strengthening the immune system, maintaining bone and cellular health, electrolyte balance, and optimum cholesterol levels.
Story first published: Saturday, November 17, 2018, 15:10 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion