Just In
- 39 min ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 1 hr ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 5 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 6 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
গৌতম বুদ্ধের মতে চললে রোগা আপনি হবেনই!
মেপে খাবার খান এবং প্রতিটি মিলের মাঝে কিছু সময় না খেয়ে থাকার চেষ্টা করুন। এতে হজম ক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনি অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমবে।
ইতিহাস ঘাঁটলে জানতে পরবেন গৌতম বুদ্ধও ডায়েট করতে পছন্দ করতেন। তবে রোগা হওয়ার জন্য নয়। বরং শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে তিনি পরিমিত আহার করার পক্ষে সব সময় সাওয়াল করে এসেছেন। শুধু তাই নয়, একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর খাওয়া-দেওয়া কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়ও আলোকপাত করেছেন, যা আজকের যুগেও সমান কার্যকরি। তাই তো ডায়াটেশিয়ানরা মেদমুক্ত শরীর পেতে গৌতম বুদ্ধের দেখান পথ অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
কী সেই পথ? খুব কঠিন কি? একেবারেই নয়! এক্ষেত্রে শুধু খেয়াল রাখতে হবে কখন খাচ্ছেন, আর কী খাচ্ছেন, তাহলেই চলবে! সেই সঙ্গে আর যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল...
১. গৌতম বুদ্ধের ডায়েট প্ল্যান:
আজকের জেটযুগে কর্মব্যস্ততা এতটাই মাত্রা চাড়িয়েছে যে ব্রেকফাস্ট হোক কী ডিনার, কোনও সময়ই শান্তিতে বসে খাবার খাওয়ার সময় নেই জেন ওয়াইদের হাতে। তাই তো কাজ করতে করতে, নয়তো অফিস যেতে-আস্তে প্রতিনিয়ত জাঙ্ক ফুড হাতে মুখ চলছে। ফলে বাড়ছে ওজন, কমছে আযু। এক্ষেত্রে গৌতম বুদ্ধের বলে যাওয়া একটা কথা দারুন কাজে আসতে পারে। তিনি সব সময় বলতেন, মেপে খাবার খান এবং প্রতিটি মিলের মাঝে কিছু সময় না খেয়ে থাকার চেষ্টা করুন। এতে হজম ক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনি অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমবে। ফলে অতিরিক্ত ওজন হ্রাস পেতে শুরু করবে।
২. সব শেষ করতে হবে ১২ ঘন্টার মধ্যে:
গৌতম বুদ্ধ মনে করতেন শরীরকে মেদ মুক্ত রাখতে সময়জ্ঞান থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে মেদের কী সম্পর্ক? প্রাচীন পুঁতি ঘেটে জানা যায়, গৌতম বুদ্ধ প্রতিদিন ব্রেকফাস্টের সময় লিখে রাখতেন এবং সেই সময়ের ঠিক ১২ ঘন্টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে বিশ্রামে নিতে চলে যেতেন। তাঁর মতে ১২ ঘন্টার মধ্যে দিনের খাবার শেষ করে ফলতে পারলে শরীরে মেদ জমার কোনও সুযোগই থাকে না। সেই সঙ্গে রোগমুক্তির পথও প্রশস্ত হয়। সহজ কথায়, যদি সকাল ৮ টার সময় ব্রেকফাস্ট করেন তো রাত ৮ টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পরবেন। এমনটা করলে দেখবেন ওজন বৃদ্ধির কোনও আশঙ্কাই থাকবে না।
৩. সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে বেশি করে:
সারা দিনে কত পরিমাণ ক্যালোরি বার্ন করছেন তা ডায়াটেশিয়ানের থেকে জেনে নিয়ে সেই মতো ডায়েট চার্টটি তৈরি করে নিন। খেয়াল রাখবেন প্রতিদিনের ডায়েটের সিংহভাগজুড়েই যেন ডাল, সবজি এবং বিনস থাকে। সেই সঙ্গে খেতে হবে দুধ এবং দই। এই ধরনের খাবার খেলে শরীরে ক্যালোরি বৃদ্ধির আশঙ্কা যেমন কমে যাবে, তেমনি পুষ্টির ঘাটতিও দূর হবে।
৪. নির্দিষ্ট নিয়ম থাকা জরুরি:
প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনার করা উচিত। এমনটা করলে শরীরের বায়োলজিকাল ক্লকে এই সময়গুলি নথিভুক্ত হয়ে যাবে। ফলে শরীরের সঙ্গে আমাদের খাবারের একটা যোগসূত্র তৈরি হবে। আর এমনটা হওয়ার কারণে আমরা যাই খাবরই খাই না কেন, তা থেকে শরীরের পক্ষে সবটুকু পুষ্টি শোষণ করে নেওয়া সম্ভব হবে। ফলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি যেমন দূর হবে, সেই সঙ্গে ওজনও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। প্রসঙ্গত, মঙ্করা সকাল ৮:৪৫ এ ব্রেকফাস্ট, দুপুর ১ টায় লাঞ্চ এবং সন্ধ্যা ৬ টার সময় রাতের খাবার খেয়ে নেন।
৫. ভারি মিলের মাঝে মুখ না চলে:
ব্রকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনারের মাঝে ক্ষিদে পেল ফল খাওয়া চলতে পারে। কিন্তু কোনও ভারি খাবার বা জাঙ্ক ফুড খাওয়া চলবে না। এই নিয়মটি মেনে চললেই দেখবেন শরীরে মেদ জমার নামই নেবে না।
৬. চিনি এবং নুন কম খেতে হবে:
এই দুটি উপাদান শরীরে পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। তাই খাবারে যেমন নুনের পরিমাণ কম থাকবে, তেমনি মাত্রা ছাড়া মিষ্টি বা চিনি খাওয়াও চলবে না। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে একবার ২ পিস মিষ্টি খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু তার বেশি যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আসলে মিষ্টি জাতীয় খাবার শরীরে ক্যালোরি মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আর একথা তো সবারই জানে যে দেহে ক্যালোরির মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত ওজনও বাড়বে। তাই সাবধান!
৭. বাড়ির খাবার খান বেশি করে:
যতই কাজের ব্যস্ততা থাকুক না কেন দিনের প্রধান তিনটি মিল বাড়ির খাবার দিয়েই সারতে হবে। এমনটা করলেই দেখবেন নানাবিধ রোগের প্রকোপ যেমন কমবে, তেমনি ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ রাস্তার খাবারে যে যে উপদানগুলি ব্যবহার করা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলি স্বাস্থ্যকর হয় না। সেই সঙ্গে যে তেল দিয়ে রান্না করা হয়, সেটি এতটাই খারাপ কোয়ালিটির হয় যে নানাবিধ ক্রনিক পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়া সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়।
৮. শান্ত মনে শান্ত জায়গায় খাবার খান:
খাবার খাওয়ার সময় মন যাতে শান্ত থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেই সঙ্গে টিভি দেখতে দেখতে অথবা কোনও কাজ করতে করতে খাওয়ার অভ্য়াস একেবারেই ভাল নয়। কারণ মনযোগ সহকারে না খেলে সেই খাবারে থাকা পুষ্টি শরীর দ্বারা ঠিক মতো শোষিত হতে পারবে না। সেই সঙ্গে খাবার টিক মতো হজম না হওয়ার কারণে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।