Just In
এই মশলাগুলি আপনার ওজন তো কমাবেই সেই সঙ্গে একাধিক মারণ রোগের থেকেও দূরে রাখবে
এই মশলাগুলি আপনার ওজন তো কমাবেই সেই সঙ্গে একাধিক মারণ রোগের থেকেও দূরে রাখবে
জয়বাবা ফেলুনাথ সিনেমার সেই বিখ্যাত ডায়লগটা মনে আছে, "শরীর হল মন্দির।" বাস্তবিকই শরীর যত সুস্থ এবং সুন্দর থাকবে, মন এবং জীবন তত আনন্দে ভরে উঠবে। তবে এই আপ্তবাক্য়টি কজনই বা মেনে চলেন। তাই তো এত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনিও কি এই দলেরই সদস্য? নিজের কথা ভাবতে কি একটুও মন চায় না? তাহলে বেশ বিপদ বলতে হয় আপনার। আর যদি উল্টো পথের পথিক হন, তাহলে এই প্রবন্ধটি আপনার কথা ভেবেই লেখা। এখানে এমন কিছু ভারতীয় মশলার প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল, যা গত কয়েক বছরে বৃদ্ধি পাওয়া প্রতিটি রোগকে আপনার থেকে দূরে রাখতে সক্ষম। আর বোনাস হিসেবে এই লেখায় এমন একটি পানীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে, যা ওজন কমাতে সিদ্ধহস্ত। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলুন চোখ রাখা যাক বাকি লেখায়।
যে যে মশলাগুলির হাতে রয়েছে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি, সেগুলি হল...
১. হলুদ:
অ্যালঝাইমার এবং ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে হলুদের কোনও বিকল্প নেই। কারণ এই মশলায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নানাভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে যাতে কোনও ভাবেই রোগ সৃষ্টিকারি উপাদানগুলি শক্তিশালী না হয়ে ওঠে সেদিকেও খেয়াল রাখে। এখানেই শেষ নয়, হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন নামে একটি উপাদান শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
২. দারচিনি:
এই মশলাটি তো সবারই বাড়িতেই থাকে। তবে কজনই বা জানেন যে প্রতিদিন দারচিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সুযোগই পায় না। ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে।
৩.গোলমরিচ:
শরীরে জমে থাকা ক্যালোরি বার্ন করতে এই মশলাটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে প্রতিটি খাবারে এই মশলাটি মেশালে, খাবার প্রতি প্রায় ১০০ ক্যালোরি বার্ন হয়। এই পরিমাণ ক্যালোরি যদি প্রতিদিন বার্ন হতে থাকে, তাহলে ওজন কমতে যে একেবারেই সময় লাগবে না, তা বলাই বাহুল্য!
৪.জিরে:
খাবারে মাত্র এক চামচ জিরে মিশিয়ে সেই খাবার খেলে চোখে পরার মতো ওজন কমে। কারণ এই মশলাটি শরীরে জমে থাকা মেদ ঝড়িয়ে ফলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫.আদা:
নানাবিধ রোগের চিকিৎসায় সেই আদি কাল থেকে কাজে লাগানো হচ্ছে এই মশলাটিকে। কেন হবে নাই বা বলুন, হলুদে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজন হ্রাসেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই যাদের পরিবাবে ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা হলুদকে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।
৬.রসুন:
খাবারকে সুস্বাদু বানানোর পাশপাশি একাধিক নন-কমিউনিকেবল ডিজিজকে দূরে রাখতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, ওজন কমাতেও এই মশলাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭. ব্ল্যাক পেপার:
শরীরে জমে থাকা মেদ ঝড়িয়ে দেওয়ার পাশপাশি নতুন করে যাতে চর্বি জমতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখে এই মশলাটি।
৮.এলাচ:
এই মশলাটি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৯.ডেন্ডেলিয়াস ফুল:
এটি শরীরে ভিটামিন এ, সি ,ই সহ একাধিক খনিজ, যেমন- আয়রণ এবং পটাশিয়ামের ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ওজন হ্রাসেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
১০.সরষে বীজ:
প্রতিদিন ৩-৫ চামচ সরষের বীজ খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে মেদও ঝরে।
আচ্ছা
ওজন
কমানো
এতটা
জরুরি
কেন?
একাধিক
গবেষণার
পর
একথা
আজ
প্রমাণিত
হয়ে
গেছে
যে,
বর্তমান
সময়ে
দাপিয়ে
বেরানো
একাধিক
রোগের
পিছনে
দায়ি
থাকে
অতিরিক্ত
ওজন।
তাই
কম
বয়সে
যদি
মরতে
না
চান,
তাহলে
মেদ
কমানো
জরুরি।
প্রসঙ্গত,
শরীরে
চর্বির
পরিমাণ
যত
কম
থাকবে,
তত
নানাবিধ
উপকার
মিলবে।
যেমন...
১.ক্যান্সার
রোগ
দূরে
থাকবে:
অতিরিক্ত
ওজনের
মহিলাদের
ব্রেস্ট
এবং
এন্ডোমেট্রিয়াল
ক্যান্সারে
আক্রান্ত
হওয়ার
আশঙ্কা
বেশি
থাকে।
এবার
বুঝতে
পারছেন
তো
ওজন
বৃদ্ধি
কতটা
ভয়ঙ্কর।
২.স্মৃতিশক্তি
কমে
যাবে:
একাধিক
গবেষণায়
একথা
প্রমাণিত
হয়েছে
যে
পেটের
মেদ
যত
বৃদ্ধি
পাবে,
তত
তার
কু
প্রভাব
পরবে
স্মৃতিশক্তির
উপর।
তাই
একথা
বলতেই
হয়
যে,
বুড়ো
বয়সে
যদি
অ্যালঝাইমার
বা
ডিমেনশিয়ার
মতো
রোগে
ভুগতে
না
চান,
তাহলে
আজ
থেকেই
মেদ
ঝরাতে
শুরু
করুন।
৩.ডায়াবেটিস
এবং
উচ্চ
রক্তচাপের
সমস্যা
দূরে
থাকে:
ওজন
যত
বাড়বে,
তত
ডায়াবেটিস,
উচ্চ
রক্তচাপ
এবং
হার্ট
অ্যাটাকের
আশঙ্কা
বৃদ্ধি
পাবে।
তাই
সাবধান!
৪.মানসিক
অবসাদ:
মোটা
মানুষদের
ক্ষেত্র
বিশেষে
নানা
অপ্রিতিকর
পরিস্থিতির
সম্মুখিন
হতে
হয়।
ফলে
এরা
সহজেই
মানসিক
অবসাদের
শিকার
হয়ে
পরেন।
সেই
সঙ্গে
দেখা
দেয়
আরও
নানা
অসুবিধা।
তাই
তো
মানসিক
এবং
শারীরিক
ভাবে
সুস্থ
থাকতে
ওজন
হ্রাস
জরুরি।
৫.
জেয়েন্টে
যন্ত্রণা
শুরু
হয়:
শরীরের
উপরিঅংশে
ওজন
বেড়ে
গলে
হাঁটুর
উপর
খুব
চাপ
পরে।
ফলে
জয়েন্টে
প্রদাহ
বা
যন্ত্রণা
শুরু
হয়।
৬.রাতের
ঘুম
ভাল
হয়:
শরীর
যত
মেদ
মুক্ত
থাকবে,
তত
ঘুম
ভাল
হবে।
আর
এমনটা
হলে
হজম
ক্ষমতা
বাড়বে,
হরমোনের
ক্ষরণ
ঠিক
থাকবে
এবং
অবশ্যই
সুস্থ
জীবনের
পথ
প্রশস্ত
হবে।
৭.রোগ
প্রতিরোধ
ক্ষমতার
উন্নতি
ঘটবে:
ওজম
যত
হ্রাস
পাবে,
তত
রোগ
প্রতিরোধ
ক্ষমতার
উন্নতি
ঘটবে।
ফলে
নানাবিধ
রোগের
প্রকোপ
কমবে।
এবার
নিশ্চয়
বুঝতে
পারছেন,
ওজন
কমানোর
বিষয়টিকে
কেন
এত
গুরুত্ব
দেন
চিকিৎসকেরা।
এবার বোনাসের পালা। ওজন হ্রাসে একটি পানীয় দারুন উপকারে লাগে। এবার সেটি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
কী
কী
উপকরণের
প্রয়োজন
পরবে?
১.
দুধ-
২
কাপ
২.
হলুদ
গুঁড়ো-
১
চামচ
৩.গোল
মরিচ-
পরিমাণ
মতো
৪.
এলাচ-
পরিমাণ
মতো
৫.
আদা-
হাফ
ইঞ্চি
৬.
কেশর-
এক
চিমটে
পানীয়টি
বানানোর
পদ্ধতি:
১.
পরিমাণ
মতো
দুধে
সবকটি
মশলা
মিশিয়ে
দুধটা
ভাল
করে
গরম
করুন।
২.
দুধটা
ফুটে
গলে
আঁচ
বন্ধ
করে
দিন।
৩.
দুধটা
একটু
ঠান্ডা
করে
খেয়ে
ফেলুন।
এই
পানীয়টি
প্রতিদিন
খেলে
ওজন
তো
কমবেই,
সেই
সঙ্গে
শরীরও
চাঙ্গা
হয়ে
উঠবে।