For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কাশি সারছে না? ঘরোয়া টোটকায় রয়েছে সমাধানের সূত্র

বাইরে গিয়ে আর মেটাতে হবে না কাশির সমস্যা, প্রয়োজন পড়বে না ডাক্তারের ওষুধের।

|

শুকনো বা কফওয়ালা কোনও না কোনও কাশির সমস্যায় ভুগছেন বহুদিন যাবৎ। অথচ কথায় কথায় ডাক্তারের কাছে যেতেও ভালো লাগে না। বরং আপনি হয়তো এমন উপায় খুঁজছেন যাতে বাড়ি বসেই সেরে যায় কাশির দমক। উপায় অবশ্যই আছে এবং তা আপনার হাতের নাগালের মধ্যেই । বাইরে গিয়ে আর মেটাতে হবে না কাশির সমস্যা, প্রয়োজন পড়বে না ডাক্তারের ওষুধের। শুধু নিচের থেকে বেছে নিন আপনার পছন্দমত যে কোনও সমাধান আর মেনে চলুন নিয়মিত। এক নয় বেছে নিতে পারেন একাধিক উপায়ও, এতে আখেরে লাভ আপনারই ।

শিউলিপাতার রস খান

শিউলিপাতার রস খান

বাঙালিদের অনেকের বাড়িতেই থাকে শিউলি ফুলের গাছ। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে গাছের থেকে দুটো তিনটি পাতা তুলে নিন। ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন যাতে পোকামাকড়ের নোংরা না লেগে থাকে। এরপর পুরে নিন মুখে। ভালো করে চিবিয়ে যতটুকু রস আছে খেয়ে নিন, ফেলে দিন ছিবড়েটুকু। আপনার কাশিতে যদি কফ বের হয় তবে এর থেকে ভালো ওষুধ বাজারে পাবেন বলে মনে হয় না। এর রস যদিওঅত্যন্ত তেতো প্রকৃতির, কিন্তু এটি নিয়মিত খেলে কাশির দমক তো কমবেই, গায়েব হবে কফের চিহ্নও।

তুলসিপাতা খান:

তুলসিপাতা খান:

কাশির সমস্যা মেটাতে অন্যতম ভালো ভেষজ হল তুলসিপাতা। অনেকেই বাড়িতে তুলসী গাছ বসান পুজো-আচ্চার কাজে। এবারে তুলসীর চারা পুঁতুন আপনার নিজের জন্য। তুলসীর পাতা শরীরের থেকে কাশি ও কফ দূর করতে অসম্ভব উপকারী। সকালে ঘুম থেকে উঠে গাছের থেকে আট দশটা ছোট তুলসিপাতা তুলে ভালো করে ধুয়ে জল দিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। এর ছিবড়ে হয় না, ফলে পুরোটাই আপনার পেটে যাবে। তুলসিপাতায় অ্যান্টিটিউসিভ ও এক্সপেকটোরেন্ট নামক দুটি উপাদান থাকে যা বুকে জমে থাকা কফকে তরল করে বেরোতে সাহায্য করে।

মধু খান

মধু খান

কাশির সমস্যা মেটাতে আরেক ধনন্তরি হল মধু। শিউলি আর তুলসির মতই মধুর উপকারিতার শেষ নেই। আপনার কাশি যদি খুসখুসে প্রকৃতির হয়, তবে প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খান। প্রথমে আদা থেতো করে একচামচ মত রস বের করে নিন। এরপর এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটি মেনে চললে দেখবেন কয়েকদিনের ভিতরেই আপনার কাশি একেবারেই কমে গেছে। বুকে যদি কফ জমে থাকে তবেও কিন্তু মধু সমান কার্যকরী। এক্ষেত্রে মধু খাওয়ার পদ্ধতি অন্যরকম। মধু খেতে হবে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে মিশিয়ে, অথবা সকালের চায়ের সঙ্গেও খেতে পারেন। গরম জল বা চায়ের সঙ্গে মধু খেলে আপনার বুকে জমা কফগুলোকে মধু গলিয়ে দেয়, ও শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।

 আনারস বেছে নিন

আনারস বেছে নিন

হঠাৎ আনারস কেন? আসলে আনারসে এমন একটি উপাদান থাকে যা আপনার গলায় জমে থাকা মিউকাসকে পরিস্কার করে। এই মিউকাসের জন্যই সাধারণত কাশি হয়। আনারসের এই উপাদানের নাম ব্রোমেলাইন। এটি শুধু আনারসেই মেলে। অনেকেই খাবার পরে নিয়মিত ফল খান‌। এবার থেকে তবে খাবার পরে ফল হিসেবে আনারস বাছুন, খেতেও ভালো লাগবে, কাশির সমস্যাও মিটবে।

গার্গল করুন

গার্গল করুন

শেষের উপায়টি সবথেকে সহজ ও করতেও বেশ সুবিধা। অল্প গরম জলে হাফ চামচ নুন মিশিয়ে গার্গল করুন। এতে গলার খুসখুসানি কমে যাবে, কাশি ছাড়াই গলায় জমা কফও সহজে বেরিয়ে আসবে।

নিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল, দেখা দেয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সেকারণেই ওষুধের বদলে আজকাল অনেকেই এসব প্রাকৃতিক সমাধানের দিকে ঝুঁকছেন। আপনিও তাই বেছে নিতে পারেন এই সমাধানগুলো। এতে আপনার ভালো হবেই।

English summary

কাশি সারছে না? ঘরোয়া টোটকায় রয়েছে সমাধানের সূত্র

People who want to use natural remedies to treat their cough should research sources and brands.
Story first published: Tuesday, April 16, 2019, 11:10 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion