Just In
সরষের তেলে রান্না করেন নাকি?
প্রায় ৯০ শতাংশ বাঙালির উত্তর যে "হ্যাঁ" হবে সে তো জানাই আছে। তাই তা গ্রিনল্যান্ড থেকে নিউজিল্যান্ড, মঙ্গোলিয়া থেকে মোগাদিশু, যেখানেই বাঙালিরা থাকুন না কেন একবার এই প্রবন্ধটি পড়তেই হবে। কারণ বাঙালি পদের জন্ম থেকে ব্য়বহার হয়ে আসা সরষের তেল আদৌ শরীরের পক্ষে ভাল কিনা, তা জানতে হবে তো। না হলে বেজায় বিপদ!
বিতর্ক অনেক রয়েছে। তবে বিজ্ঞান কি বলছে সেটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে শরীর এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য সরষের তেলের কোনও বিকল্প প্রায় হয় না বললেই চলে। আর একথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও মনে নিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, প্রতিদিন সরষের তেলে রান্না করা খাবার খেলে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়। যেমন...
১. ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধি:
বিশ্ব সংস্থার প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে সরষের তেল ওমেগা ত্রি এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধি, যা জয়েন্ট পেন এবং ডিপ্রেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:
সরষের তেলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে মনোযোগ বৃদ্ধি এবং সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার উন্নতিতেও সাহায্য করে।
৩. শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সরষের তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি কোণায় যাতে ঠিক মতো রক্ত পৌঁছে যেতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখে।
৪. হার্টের বন্ধু:
এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে ঠিকই। কিন্তু একাধিক গবেষণায় একতা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে নিয়মিত সরষের তেল খেলে হার্টের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৫. ডিপ ফ্রাই করার জন্য আদর্শ:
আমরা মানে বাঙালিরা যেহেতু বেশিরভাগ খাবারই উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করে থাকি তাই আমাদের জন্য সরষের তেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আজকাল অনেকে বাঙালিই স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু একথা জেনে রাখা ভাল যে রকমের খাবার আমরা খেয়ে থাকি তা বানাতে অলিভ অয়েল একেবারেই আদর্শ নয়। কারণ কম তাপমাত্রায় বানানো খাবারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু যেসব খাবার বেশি আঁচে বানানো হয়, তাতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে শরীরের ভাল হওয়ার থেকে খারাপ হয় বেশি।
৬. ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচায়:
আজও ঠাকুমা-দিদিমারা নাতি-নাতিনিরা ছোট থাকতে সরষের তেল মাখিয়ে থাকেন। কেন এমনটা করে জানেন? কারণ ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে শুরু করে একাধিক রোগের হাত থেকে বাঁচাতে এই তেলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৭. পেটে ব্যথা এবং মাথা যন্ত্রণা নিমেষে কমায়:
সরষের তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ইমফ্লেমেটারি উপাদান যে কোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষত মাথা যন্ত্রণা এবং তলপেটের অস্বস্তি কমাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে।