Just In
- 11 hrs ago
Nail Care : অল্পেতেই ভেঙে যায় আপনার নখ? রইল নখ মজবুত করার ঘরোয়া উপায়
- 18 hrs ago
Ajker Rashifal : আজকের দিনটি কেমন কাটবে? দেখুন ২৭ মে-র রাশিফল
- 1 day ago
চিংড়ি সর্ষে, মালাইকারি ছেড়ে এবার খান চিংড়ির দো পেঁয়াজা, রইল প্রণালী
- 1 day ago
শখের সোনার গয়না দ্যুতি হারাচ্ছে? বাড়িতেই পরিষ্কার করুন এই কয়েকটি উপায়ে
ভুলেও এবার থেকে লেবুর খোসা ফেলে দেবেন না যেন!
খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি সৈন্দর্যতা এবং দেহের সচতলা বাড়াতে লেবুর কেনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তবে আজকের এই প্রবন্ধ লেবুকে নিয়ে নয়, বরং এই লেখায় এমন একটি প্রকৃতিক উপাদানের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে, যা এতদিন পর্যন্ত সাইড হিরো হিসেবেই থেকে গিয়েছিল। লাইম লাইটে আসার সুযোগই পায়নি।
এতদূর পড়ার পর নিশ্চয় ভাবছেন কী নিয়ে আলোচনা করছি, তাই তো? যে প্রকৃতিক উপাদানটির গুণাগুণ নিয়ে এবার আলোচনা করা হবে, তা হল লেবুর খোসা। একেবারেই ঠিক শুনেছেন। এতদিন পর্যন্ত ডাস্টবিনে জায়গা করে নেওয়া এই উপাদানটিতে এতটা উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে যে এই প্রবন্ধটি পড়তে পড়তে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে লেবুতে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে তার থেকে প্রায় ৫-১০ গুণ বেশি থাকে লেবুর খোসায়। সেই সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ফাইবার। এই সবকটি উপদানই নানা ভাবে শরীরে কাজে লেগে থাকে। এখানেই শেষ নয়। লেবুর খোসায় আরো কিছু উপকারিতা রযেছে। যেমন...

১. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:
লেবুর খোসায় উপস্থিত স্য়ালভেসস্ট্রল কিউ ৪০ এবং লিমোনেন্স নামে দুটি উপাদান ক্যান্সার সেলের ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরের অন্দরে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়া কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। এখানেই শেষ নয়, লেবুর খোসা খাওয়া মাত্র ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশেনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

২. হাড় শক্তপোক্ত হয়:
প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকার কারণে লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে ধীরে ধীরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনফ্লেমেটরি পলিআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস এবং রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৩. মুখ গহ্বরের রোগের প্রকোপ কমবে:
ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হলে মুখ গহ্বর সংক্রান্ত একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তো নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, জিঞ্জিভাইটিস সহ একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. ওজন কমায়:
পেকটিন নামে একটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় থাকায় লেবুর খোসা নিয়মিত খেলে ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বিকে ঝড়িয়ে ফেলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে।

৫. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:
লেবুর খোসায় উপস্থিত পলিফেনল নামে একটি উপাদান শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। অন্যদিকে লেবুর পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণা রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের রাগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই তো যাদের পরিবারে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা প্রতিদিনের ডায়েটে লেবুর খোসাকে অন্তর্ভুক্ত করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

৬. হজমের উন্নতি ঘটায়:
ফাইবার সমৃদ্ধি যে কোন খাবার হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে লেবুর খেসায়। তাই তো বদ-হজন থেকে গ্যাস-অম্বল, যে কোনও ধরনের হজম সংক্রান্ত সমস্যায় এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন উপকারে আসে।

খাবেন কীভাবে লেবুর খোসা?
অনেকভাবে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খেতে পারেন। যেমন ধরুন- ১. কয়েক ঘন্টা লেবুর খোসাটা ফ্রিজে রাখার পর গ্রেট করে নিন। তারপর অল্প পরিমাণ নিয়ে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ২. লেবুর খোসাটা শুকিয়ে নিয়ে। তারপর গ্রায়েন্ডারে লেবুর খোসা, অল্প পরিমাণ নুন এবং গোলমরিচ নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রনটি খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ৩. লেবুর খোসাকে শুকিয়ে নিন। তারপর বেটে নিয়ে পাউডার বানিয়ে ফেলুন। সেই পাউডার এবার খাবারের সঙ্গে অথবা অন্য যে কোনওভাবে গ্রহণ করতে পারেন।