For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

শেষ জীবনে যদি হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে দিন কাটাতে না চান তাহলে বেগুন খেতে ভুলবেন না যেন!

সবজি জগতের রাজা হিসেবে পরিচিত বেগুন রূপে সেভাবে কদর না পেলেও গুণে যে একে অবহেলা করা সম্ভব নয়, সে কথা হলফ করে বলতে পারি।

|

সবজি জগতের রাজা হিসেবে পরিচিত বেগুন রূপে সেভাবে কদর না পেলেও গুণে যে একে অবহেলা করা সম্ভব নয়, সে কথা হলফ করে বলতে পারি। আসলে এই সবজিটি দিয়ে বানানো যে কোনও পদ খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি শরীরেরও দারুন উপকারে লাগে। প্রসঙ্গত, এই সবজিটি নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানীদের মতে সপ্তাহে একদিন করে যদি বেগুন খাওয়া যায়, তাহলে শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকে না। কারণ এক্ষেত্রে একাধিক উপকার মেলে। যেমন ধরুন...

১. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

১. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

এই সবজিটির অন্দরে উপস্থিত ফেনোলিক কম্পাউন্ড এবং আরও সব উপকারি উপাদান, যেমন ধরুন আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। সেই সঙ্গে হাড়ের স্বাস্থ্যের এত মাত্রায় উন্নতি ঘটে যে বুড়ো বয়সে গিয়ে কোনও ধরনের হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

২. সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে:

২. সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে:

শুনতে আজ লাগলেও একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বেগুন খাওয়া শুরু করলে শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পায় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণও দূরে থাকে বাধ্য হয়।

৩. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৩. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

কি বন্ধু পেটটা কি কয়েক দিন ধরে বেজায় খারাপ যাচ্ছে? তাহলে আজ থেকেই বেগুন খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন! কারণ এই সবজিটির অন্দরে উপস্থিত ফাইবার শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে, যে কোনও ধরনের পেটের রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

৪. চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

৪. চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

বেগুনে প্রচুর পরিমাণে জল থাকার কারণে এই সবজিটি খাওয়া শুরু করলে স্কাল্পে পুষ্টির ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। ফলে চুলের গোড়া এতটা শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে হেয়ার ফলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

৫.ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ধারে কাচে ঘেঁষতে পারে না:

৫.ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ধারে কাচে ঘেঁষতে পারে না:

ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ এই সবজিটি মাঝে মধ্যে খেলে শরীরে টক্সিক উপাদানের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ক্যান্সার সেলের জন্ম হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, ফাইবার মূলত কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষেদের ক্ষত সারিয়ে সামগ্রিক ভাবে শরীরকে তরতাজা করে তোলে।

৬. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

৬. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

আপনার পরিবারে কি এই মারণ রোগটির ইতিহাস রয়েছে? তাহলে আজ থেকেই বেগুন খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ এই সবজিটিতে উপস্থিত ফাইবার শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।

৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

নিজে মোটা। কিন্তু আমাদের ওজন কমাতে কিন্তু দারুন ভাবে সাহায্য করে বেগুন। আসলে এই সবজিটির শরীরে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাওয়ার অভ্যাস কমতে শুরু করে। আর কম খেলে যে ওজনও কমে, সে কথা আর নতুন কী! দাঁড়ান দাঁড়ান এখানেই শেষ নয়, আরও আছে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ১০০ গ্রাম বেগুনে মাত্র ২৫ ক্যালরি থাকে। এই পরিমাণ ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। তাই পুজোর আগে যদি ওজন কমানোর বিষয়ে সিরিয়াস হন, তাহলে আদ থেকেই বেহুনের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান।

৮. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে:

৮. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে:

গত এক দশকে সারা বিশ্বজুড়ে যে যে রোগের কারণে সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ব্লাড প্রেসার। তাই সময় থাকতে প্রয়োজনীয় সাবধনতা অবলম্বন করা উচিত। আর এক্ষেত্রে বেগুন আপনাকে দারুন ভাবে সাহায্য করতে পারে। প্রসঙ্গত, বেগুনে রয়েছে পটাশিয়াম সহ একাধিক উপকারি খনিজ, যা শরীরে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে। সেই সঙ্গে শরীরে নুনের পরিমাণও স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে থাকে। ফলে কোনও ভাবেই ব্লাড প্রেসার বাড়ার সুযোগ পায় না।

৯. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে:

৯. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে:

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান ঠিক মতো বেরিয়ে যেতে পারে না। ফলে এদের প্রভাবে ধীরে ধীরে ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলি রেখাও প্রকাশ পায়। ফলে স্বাভাবিকবাবেই ত্বকের সৌন্দর্য কমে যায়। এক্ষেত্রেও বেগুনের অবদানকে অস্বীকার করা সম্ভব নয়। যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে বেগুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। ফলে সপ্তাহে ১-২ দিন বেগুন খাওয়ার অভ্যাস করলে ত্বকের সৌন্দর্য তো কমেই না, উল্টো আরও বেড়ে যায়।

১০.হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

১০.হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

বেগুনে উপস্থিত ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ফ্লেবোনয়েড কোলেস্টরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।

১১. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

১১. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

বেগুনে থাকা ফটোনিউট্রিয়েন্ট সেল মেমব্রেনকে নানাবিধ আঘাত থেকে রক্ষা করে। ফলে মস্তিষ্কের অন্দরে থাকা হাজারো নিউরো সেলের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। আর এমনটা হওয়ার কারণে ব্রেন পাওয়ার এতটাই বৃদ্ধি পায় যে স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধির ধার বাড়তে সময় লাগে না।

English summary

Amazing Benefits Of Brinjal For Skin, Hair, And Health

This long (sometimes round), fleshy, and purple veggie is often one of the last options in your gourmet menu. There is a misconception that it is not as nutritious as the other much-lauded vegetables. Also, we assume that any dish that includes eggplant is going to be bland. But who says eggplants have to be boring? From ratatouille made in the romantic city of Paris to the eggplant parmesan made in the beautiful cliffside of Sicily, this vegetable is a part of many savoury dishes that people all over the world absolutely drool over. This humble vegetable has a lot to offer – it is highly nutritious, and is very effective in the treatment of diabetes, obesity, hypertension, acne, and hair loss. Read on to know more about the benefits of eggplant.
X
Desktop Bottom Promotion