Just In
কথায় কথায় হাঁপিয়ে পরছেন নাকি? তাহলে তো বন্ধু শরীরের শক্তি বাড়াতে এই খাবারগুলি খেতেই হবে!
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি হেলথ রিপোর্ট অনুসারে ৫ জন ভারতীয়ের মধ্যে ১ জন ক্রনিক ক্লান্তির শিকার এবং সবথেকে ভয়ের বিষয় হল ২৫-৩০ বছর বয়সিদের মধ্যে এমন সমস্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তাই সাবধান
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি হেলথ রিপোর্ট অনুসারে ৫ জন ভারতীয়ের মধ্যে ১ জন ক্রনিক ক্লান্তির শিকার এবং সবথেকে ভয়ের বিষয় হল ২৫-৩০ বছর বয়সিদের মধ্যে এমন সমস্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তাই সাবধান হওয়ার সময় মনে হয় এসে গেছে বন্ধুরা। কারণ সময় থাকতে থাকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে শরীর আরও দুর্বল হয়ে পরবে। ফলে কর্মক্ষমতা কমবে চোখে পরার মতো। ফলে অফিসে কাজ করতে মন চাইবে না। আর এমনটা হলে পদন্নতির সম্ভাবনাও যে কমবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! তাই তো বলি বন্ধু, ক্রনিক ক্লান্তির সমস্যায় যদি আপনিও ভুগে থাকেন, তাহলে বিষয়টিকে হলকা ভাবে নেবেন না। বরং কী করে ক্লান্তি দূর করা যেতে পারে, সে সম্পর্কে জানতে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু খাবারকে রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে। কারণ একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে নিয়মিত এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি খেলে ক্লান্তি তো দূর হয়ই, সেই সঙ্গে শরীরের ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। তাহলে এখন প্রশ্ন হল, ক্লান্তি দূর করতে নিয়মিত কী কী খাবার খাওয়া জরুরি?
১. বাদাম:
একেবারে ঠিক শুনেছেন! ক্লান্তি দূর করতে বাস্তবিকই বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এর মধ্যে থাকা প্রোটিন এবং ফাইবার এনার্জির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, বাদামের শরীরে উপস্থিত পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামও এক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে।
২. তরমুজ:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই ফলটি নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে শরীরের অন্দরে জলের ঘাটতি দূর হয়। ফলে ক্লান্তি দূর হতে সময় লাগে না। আসলে দেহে জলের ঘাটতি দেখা দিলে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্তি ঘারে চেপে বসে। এই কারণেই তো নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৩. কলা:
পটাশিয়ামে ভরপুর এই ফলটি সকাল বিকাল খেলে ক্লান্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। আসলে পটাশিয়াম শর্করাকে ভেঙে এনার্জির যোগান ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি, সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট দেহে পুষ্টির ঘাটতি হতে দেয় না। ফলে একাধিক রোগের প্রকোপ থেকেও শরীর রক্ষা পায়।
৪. ওটমিল:
ক্লান্তি দূর করার মহৌষধি বলা যেতে পারে এই খাবারটিকে। কারণ এতে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট শরীরের এনার্জির ঘাটতি হতে দেয় না। ফলে ক্লান্তির প্রশ্নই ওঠে না। এখানেই শেষ নয়, কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও ওটমিলে প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন বি ১-এর মতো উপাদানও থাকে। এগুলিও এনার্জির জোগানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. গ্রিন টি:
অফিস থেকে ফেরা মাত্র ধোঁয়া ওঠা এক পেয়লা গ্রিন টি ক্লান্তি দূর করতে দারুন কাজে আসতে পারে কিন্তু! আসলে এতে উপস্থিত পনিফেনলস, স্ট্রেস কমায়, সেই সঙ্গে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের ঘাটতি মিটিয়ে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ আরও এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হজম শক্তির উন্নতিতেও সাহায্য় করে থাকে। তবে দিনে ২-৩ বার এই পানীয়টি খেতেই হবে। না হলে কিন্তু তেমন একটা সুফল পাবেন না।
৬. দই:
প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট হল এনার্জির ঘাটতি দূর করার সবথেকে জরুরি দুটি উপাদান। আর এই উপাদান দুটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে দইয়ে। সেই সঙ্গে এই দুগ্ধজাত দ্রব্যে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়া হজমের সমস্যা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, দিনে মাত্র ১ কাপ করে দই খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই ক্লান্তি চিরতরে ছুটিতে চলে যাবে।
৭. কুমড়ো বীজ:
ক্লান্তির সঙ্গে সফলভাবে লড়াই করতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। ভিটামিন বি১, বি২, বি৫ এবং বি৬ সমৃদ্ধ এই প্রাকৃতিক খাবারটি খেলে শরীরে প্রাটিনের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রণ এবং কপারের চাহিদাও পূরণ করে। এই সবকটি উপাদানটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোরদার করার পাশাপাশি শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়তেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।