Just In
বলিরেখা কমাতে ঘরোয়া চিকিৎসা
বলিরেকা কমাতে চান। তাহলে পড়ুন এই প্রবন্ধটি।
বছর ২০ পেরতে না পেরতেই মেয়েদের চোখের তলায় বলিরেকা স্পষ্ট হতে শুরু করে। আর বয়স যত বাড়তে থাকে ততই যেন এই রেখাগুলি সৌন্দর্য হ্রাস করতে হাত ধুয়ে পেছনে পড়ে যায়। তাই তো প্রথম দিন থেকেই এর চিকিৎসা করা একান্ত প্রয়োজন। বেশি টাকা খরচ না করে বয়সজনিত এই রেখাগুলিুকে মিলিয়ে দিতে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা দারুন কাজে আসে। বিশ্বাস হচ্ছে না নিশ্চয়! তাহলে একবার চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে। তাহলেই দেখবেন বলিরেখা কেমন দূরে পালাচ্ছে, আর সেই সঙ্গে সৌন্দর্যতা ফিরে পাচ্ছে আপনার স্কিন।
বলিরেখা কমাতে ঘরোয়া নানা উপাদান দিয়ে বানাতে হবে ফেস মাস্ক। প্রসঙ্গত, এই ফেস মাস্ক ব্য়বহার করলে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রায় হয় না, উলটে বলিরেখা সহ ত্বকের নানা সমস্য়া কমায়।
তাই তো আজকে বোল্ডস্কাই বাংলায় সেই উপাদানগুলির লিস্ট আপনাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে, যেগুলি বলিরেখা কমানোর পাশাপাশি সার্বিকভাবে ত্বকে সুন্দর করতে সাহায্য় করে।
১. মিন্ট পাতা এবং লেবুর রস:
এই দুটি উপাদান মিলিয়ে যদি চোখের তলায় লাগানো যায়, তাহলে বিলরেখা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বক টানটান হয়ে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।
এক মুঠো মিন্ট পাতা হাতে নিয়ে থেঁতো করে নিন, তারপর তাতে দু চামচ লেবুর রস মেশান। এবার একটা তুলো নিয়ে এই মিশ্রণে চুবিয়ে যেখানে যেখানে বলি রেখা দেখা দিয়েছে, সেখানে লাগান। ১৫-২০ মিনিট তুলোটা লাগিয়ে রেখে সারা মুখ ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২. দুধের সঙ্গে গোলাপ জল:
এই মিশ্রণটি ত্বককে আদ্র করে বলিরেখা দুর করতে দারুন কাজে আসে। আসলে এই দুই উপাদানই ত্বককে টানাটান করে। ফলে বলিরেখা আপনা থাকেই চলে যায়।
সম পরিমাণে দুধ এবং গোলাপ জল মেশান। এবার সেই মিশ্রণে একটা তুলো চুবিয়ে বলিরেখার উপরে রাখুন। ১৫ মিনিট তুলোটা রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৩. আনারসের রস এবং গোলাপ জল:
ত্বকের বয়স কমাতে অনারস রসের কোনও বিকল্প নেই। তাই তো বলিরেকা দূর করতে এটি ব্য়বহার করা যেতেই পারে। সম পরিমাণে আনারসের রস এবং গোলাপ জল মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করুন। এরপর তাতে একটা তুলো ডুবিয়ে চোখের তোলায় ২৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এমনটা দিনে একবার বা দুবার নিয়মিত করলে ফল পাবেন হাতে-নাতে।
৪. গ্রেপ অয়েল এবং লেবুর রস:
অ্যান্টি এজিং প্রপাটিস থাকার কারণে বলিরেখা দুর করতে গ্রেপ অয়েল দারুন কাজে আসে। আর লেবুর রসের সঙ্গে যদি এই তেল ব্য়বহার করা য়ায় তাহলে তো কথাই নেই!
২-৩ ড্রপ গ্রেপ অয়েল নিয়ে এক চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মেশান। তারপর একটা তুলো সেই মিশ্রনে ছুবিয়ে বলিরেখার উপর লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৫. রেড়ীর তেল ও দই:
কম খরচে বলিরেখা দূর করতে এই দুই উপাদানের কোনও বিকল্প নেই। কয়েক ড্রপ রেড়ীর তেলের সঙ্গে পরিমাণ মতো দই মেশান। তারপর সাবধানে চোখের তলায় লাগিয়ে দিন। ১০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৬. ডিমের সাদা অংশ, দুধ এবং মধু:
এই তিনটি উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ত্বককে টানটান করতে সাহায্য় করে। তাই বলি রেখা কমাতে এই তিনটি জিনিস একসঙ্গে ব্য়বহার করতেই পারেন।
তিনটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে চোখের তলায় লাগান। মাস্কটা কিছুক্ষণ রেখে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। তারপর একটা টোনার মুখে লাগান। এতে আপনার ত্বক আদ্র থাকবে, ফলে বাড়বে আপনার সৌন্দর্যতা।
৭. অ্যালোভেরা জেল, ভিটামিন-সি আর দই:
ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমাতে বহু শতাব্দী ধরে ব্য়বহার হয়ে আসছে অ্যালোভেরা। তাই তো বলিরেখা দূর করতে এটি মুখে লাগানো যেতেই পারে। আর এর সঙ্গে যদি ভিটামিন-সি পাউডার এবং দই মেশান যায়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা!
এক চামচ অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে পরিমাণ মতো দই এবং এক চিমটে ভিটামিন- সি পাউডার মিশিয়ে চোখের তলায় লাগান। যতক্ষণ না মিশ্রণটি শুকিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ মুখে লাগিয়ে রাখুন। একবার শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।