For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

দই ভাত সত্যিই কি উপকারি?

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দই এবং ভাত মিশে যাওয়ার পর এমন কিছু উপাদানের জন্ম হয় যে তা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র একাধিক পেটের রোগ সেরে যেতে শুরু করে।

By Nayan
|

দক্ষিণ ভারতে জন্ম নেওয়া অতি সাধারণত এই খাবারটিকে কয়েকশো বছর ধরে খেয়ে আসছে সারা ভারতীয়রা। সবাই মনে করেন দই ভাত খেলে নাকি শরীরের ব্যাপক উপকার হয়, সেই সঙ্গে পেটের রোগের উপশমও সম্ভব হয়। কিন্তু বাস্তবিকই কি এমনটা হয়ে থাকে, নাকি সবই ভুল ধরণা?

জানি আপনাদের দই ভাত খেতে দারুন লাগে। লাগারও কথা! যেমন সহজে তৈরি করা যায়, তেমনি খেতেও মন্দ লাগে না। কিন্তু এবার দই ভাত খাওয়ার আগে মনে করে একবার এই প্রবন্ধটি পড়ে নিতে ভুলবেন না! দেখবেন এই রেসিপিটি নিয়ে আপনার সব ধরণাই বদলে যাবে।

সাধারণ উপকরণ দিয়ে তৈরি এই খাবারটির শরীরে কতকিছু লুকিয়ে থাকে জানেন। যেমন ধরুন...

১. হজমে সহায়ক উপাদান:

১. হজমে সহায়ক উপাদান:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দই এবং ভাত মিশে যাওয়ার পর এমন কিছু উপাদানের জন্ম হয় যে তা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র একাধিক পেটের রোগ সেরে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বদ-হজমের সমস্যা থাকলে তারও উপশম ঘটে। আসলে দইয়ে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করা মাত্রা তা ধীরে ধীরে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে থাকে। সেই সঙ্গে কনস্টিপেশন এবং তলপেটে অস্বস্তির মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. শরীরকে ঠান্ডা করে:

২. শরীরকে ঠান্ডা করে:

গরমের সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখার মাধ্য়মে সান স্ট্রোকের আশঙ্কা কমাতে দই ভাতের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে দইয়ের মধ্যে তাপ বিরোধী উপাদান রয়েছে, যা নিমেষে তাপদাহকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসে। তাই তো গরমকালে প্রতিদিনে দই ভাত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৩. স্ট্রেস কমায়:

৩. স্ট্রেস কমায়:

দইয়ে উপস্থিত প্রোবায়োটিকস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারি ফ্যাট মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন করে যে চোখের পলকে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। বর্তমান সময়ে যুব সমাজ যেখানে স্ট্রেসের কারণে এত ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছে, সেখানে দই যে তাদের প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠতে পারে, তা বলাই বাহুল্য!

৪. ওজন কমাতে সাহায্য করে:

৪. ওজন কমাতে সাহায্য করে:

খেয়াল করে দেখবেন দই ভাত খাওয়ার পর অনেকটা সময় পর্যন্ত পেট ভরে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। সেই সঙ্গে কমে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার আশঙ্কাও। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা হ্রাস পায়। তাই তো যারা অতিরিক্ত ওজনের কারণে চিন্তায় রয়েছেন, তারা আজ থেকে ডায়েটে দই ভাতের অন্তর্ভুক্ত ঘটাতে পারেন, দেখবেন উপকার পাবেন।

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ থাকায় দই ভাত খাওয়ার অভ্যাস করলে ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মারাত্মক উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ সংক্রমণের আশঙ্কাও হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এনার্জির ঘাটিতও পূরণ হয়। তাই তো ইচ্ছা হলে অফিস যাওয়ার আগে এক বাটি দই ভাত খেয়েই যেতে পারেন। দেখবেন উপকার পাবেন।

৬. একাধিক পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি মেটায়:

৬. একাধিক পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি মেটায়:

দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং উপকারি ফ্যাট। অন্য়দিকে ভাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। ফলে দই ভাত খেলে একসঙ্গে এতগুলি পুষ্টিকর উপাদান শলরীরে প্রবেশ করে। প্রসঙ্গত, ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তপোক্ত করে। আর কার্বোহাইড্রেট এনার্জির ঘাটতি পূরণ করে।

৭. শরীরের আরও উপকারে লাগে:

৭. শরীরের আরও উপকারে লাগে:

খাবারে উপস্থিত নানাবিধ ভিটামিন যাতে ঠিক মতো শরীরের দ্বারা শোষিত হতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে দই। তাই তো প্রতিদিন দই ভাত অথবা এমনি এমনিই দই খাওয়া পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটা করলে শরীরে ভিটামিন এবং খনিজের ঘটতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়, ফলে স্বাভাবিকভাবেই একাধিক রোগ দূরে থাকে।

English summary

ই ভাত খাওয়ার আগে মনে করে একবার এই প্রবন্ধটি পড়ে নিতে ভুলবেন না! দেখবেন এই রেসিপিটি নিয়ে আপনার সব ধরণাই বদলে যাবে।

Curd rice or dahi chawal may have originated as a south Indian dish but in the summer every north Indian swears by it as well. It is also the go-to meal for anyone suffering from an upset stomach. One of the biggest advantages this dish has over others is that it is extremely easy to make.
Story first published: Monday, July 24, 2017, 12:42 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion