Just In
Zika Virus : আতঙ্ক বাড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস! জেনে নিন এর উপসর্গ, চিকিৎসার ধরন ও প্রতিরোধের উপায়
ধীরে ধীরে কমছে করোনা সংক্রমণের হার। জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। কিন্তু এর মধ্যেই নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস। ইতিমধ্যে কেরলে ১৪ জনের শরীরে পাওয়া গেছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, জিকা ভাইরাসের প্রথম ঘটনা তিরুবনন্তপুরম-এর এক ২৪ বছর বয়সী মহিলার শরীরে ধরা পড়ে। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলার অবস্থা এখনও পর্যন্ত স্থিতিশীল। ৭ জুন সন্তানেরও জন্ম দিয়েছেন ওই যুবতী। কিন্তু কী এই জিকা ভাইরাস? এর লক্ষণগুলিই বা কী? কীভাবে ছড়ায় এটি? জেনে নিন সমস্ত উত্তর।
জিকা ভাইরাস কী?
ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতোই জিকাও মশাবাহিত একটি ভাইরাস। মূলত, এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। জানা গেছে, এই এডিস মশার কারণেই ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, পীতজ্বর প্রভৃতি রোগ ছড়ায়। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর মতে, জিকা ভাইরাস গর্ভবতী মহিলার থেকে তার গর্ভে থাকা সন্তানের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া, যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই সংক্রমণ।
এর উপসর্গ
জিকা ভাইরাসের উপসর্গ হালকা ধরনের হয়। জ্বর, ব়্যাশ, মাথা ব্যথা, লাল চোখ, পেশিতে ব্যথা এবং জয়েন্ট পেন-এর মতো সাধারণ লক্ষণ দেখা দেয়। CDC-এর মতে, জিকার সংক্রমণে মৃত্যুর আশঙ্কাও তুলনায় কম।
জিকা ভাইরাসের চিকিৎসা
আমেরিকার Centre for Disease Control and Prevention (CDC)-এর মতে, জিকা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য কোনও ভ্যাকসিন বা ওষুধ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, সংক্রমণের সময়কালে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং হাইড্রেট থাকার পরামর্শ দেন। প্রচুর পরিমাণে জল পান শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং বিশ্রাম শরীরকে চাঙ্গা করতে সহায়তা করে। তবে জ্বর এবং ব্যথা কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথা কমানোর ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
প্রতিরোধ
মশার কামড় থেকেই প্রাথমিকভাবে এই সংক্রমণ ছড়ায়। তাই এর থেকে বাঁচতে মশার কামড় এড়িয়ে চলতে হবে। যেখানে মশার বাস, সেই সব জায়গা পরিষ্কার করুন। জল জমতে দেবেন না। বাড়ি-ঘর এবং আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার রাখুন। মশা এবং পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। যেসব জায়গায় মশা জন্মাতে পারে, সেগুলি পরিষ্কার রাখুন। সংক্রামিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়াবেন না।