Just In
- 3 hrs ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 19 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 21 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 23 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
World Rabies Day 2021 : কেন পালন করা হয় এই দিবস? জানুন এর তাৎপর্য ও থিম
প্রতিবছর ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় 'বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস'। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর রেবিজ কন্ট্রোল তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের দপ্তর থেকে এই দিবস পরিচালনায় প্রধান ভূমিকা পালন করে। এই দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হল জলাতঙ্ক রোগের বিষয়ে পর্যালোচনা এবং জনসচেতনতা তৈরি ও বৃদ্ধি করা।
'রেবিজ' বা 'জলাতঙ্ক' হচ্ছে ভাইরাস গঠিত একটি রোগ যা সাধারণত কুকুর, শেয়াল, বাদুড় প্রভৃতি প্রাণীদের মধ্যে দেখা যায়। এটি এক প্রাণী থেকে আরেক প্রাণীর দেহে স্থানান্তরিত হতে পারে তার লালা বা রক্তের দ্বারা। বিশ্বের প্রায় সকল দেশের প্রাণীর মধ্যেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। প্রতিবছর বিশ্বে যত মানুষ কুকুরের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তার ৯৯ শতাংশই এই রোগের কারণে হয়।
এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে যে যে লক্ষণ দেখা যায় - জ্বর, ক্ষুধামন্দা, কামড় স্থানের অনুভূতিতে পরিবর্তন যেমন চিনচিন, ঝিনঝিন, কনফিউশন,অনিয়ন্ত্রিত উত্তেজনা, লালারসের ক্ষরণ বৃদ্ধি প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয়। সবচেয়ে লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে ঢোক গিলার সময় ডায়াফ্রাম, রেসপিরেটোরি মাসল ও কণ্ঠনালির তীব্র ব্যথাযুক্ত সংকোচন হয় বিশেষ করে জল পান করার চেষ্টা করলে ডায়াফ্রাম ও অন্যান্য ইন্সপিরেটোরি মাসলের তীব্র সংকোচন ও ব্যথা হয় ফলে রোগীর মধ্য হাইড্রোফোবিয়া তৈরি হয়। এই অবস্থার জন্য বাংলায় এই রোগকে জলাতঙ্ক নামে অভিহিত করা হয়। এছাড়া রোগীর ডিলিউসন, হ্যালুসিনেশন ও পাগলামি,শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়ানোর অক্ষমতা, চেতনাশূন্যতা দেখা দেয়।
বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসের থিম
এই বছর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসের থিম হল "Rabies: Facts, not Fear"। এই থিম জলাতঙ্ক সম্পর্কে তথ্য এবং মিথ বা ভ্রান্ত ধারণা নির্মূল করার উপর ফোকাস করে।
বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসের তাৎপর্য
এই দিবসে সাধারণ জনগণ, চিকিৎসক এবং সরকারী-বেসরকারী কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। এছাড়াও এই রোগ সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে সচেতন করার জন্য এই দিনে বিশেষ র্যালী বা শোভাযাত্রা, বিনামূল্যে টীকা প্রদান প্রভৃতি কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। WHO সহ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্থাগুলি রেবিজ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ সম্পর্কিত ক্রিয়াকলাপ প্রচারে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করে।
এই দিনে, কুকুরের টিকা দেওয়ার বিষয়ে নানান বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কুকুর কামড়ালে কীভাবে চিকিৎসা করতে হবে, এ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করা হয়। বেশিরভাগ যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় তা হল, রেবিজে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু।
এছাড়াও, যে গবেষকরা রেবিজ ভাইরাসের টিকা প্রবর্তন করেছিলেন, এই দুর্দান্ত অবদানের জন্য তাঁদেরকেও এই দিনে স্মরণ করা হয়।