For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে: ব্লাড প্রেসারের মতো ভয়ঙ্কর রোগের খপ্পরে পরতে না চাইলে নুন খাওয়া কমান!

মে ১৭, আজ সারা বিশ্বজুড়ে "ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে" পালিত হচ্ছে। শপথ নেওয়া হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায় কীভাবে! কিন্তু ভারতীয়দের মধ্যে এর কোনও হেল দোল নেই।

|

মে ১৭, আজ সারা বিশ্বজুড়ে "ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে" পালিত হচ্ছে। শপথ নেওয়া হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায় কীভাবে! কিন্তু ভারতীয়দের মধ্যে এর কোনও হেল দোল নেই। এদিকে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভের করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতি ৮ জন ভারতীয়ের মধ্যে ১ জন ব্লাড প্রেসারের মতো রোগে আক্রান্ত, যা মোটেও স্বাভাবিক রেশিও নয়। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল এমন পরিস্থিতিতেও ভারতীয়রা নিজেদের শরীর নিয়ে একেবারেই সচেতন নন। তাই তো বলি বন্ধু, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের খপ্পরে পরতে যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি খাওয়া শুরু করুন, না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ!

কেন বিপদ তাই ভাবছেন তো? জানিয়ে রাখি ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত হলে একের পর এক মারণ রোগ আক্রমণ শানাতে শুরু করে। যার মধ্যে হার্টের রোগ তো রয়েছেই। রয়েছে কিডনির রোগ, চোখ এবং ব্রেনের জটিল সব রোগও। তাই এমন সব মারণ রোগকে দূরে রাখতে আজ থেকেই যতটা সম্ভব নুন খাওয়া কমান। কারণ ওয়ার্ল্ড হেল্থ ওরগানাইজেশনের মতে নুন হল এমন একটি খাবার, যা রক্তচাপ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো সুস্থ থাকতে দিনে ২ গ্রামের বেশি নুন খাওয়া মোটেও চলবে না। সেই সঙ্গে রোজের ডায়েটে এই লেখায় আলোচিত খাবারগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তাহলেই দেখবেন উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, যে যে খাবারগুলি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেগুলি হল...

১. তুলসি পাতা:

১. তুলসি পাতা:

একেবারে ঠিক শুনেছেন! নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে যদি তুলসি পাতার রসের সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে রক্ত চাপ স্বাভাবিক মাত্রায় চলে আসতে সময় লাগে না। তাই তো বন্ধু পরিবারে যদি এই মারণ রোগটির ইতিহাস থাকে, তাহলে নিয়মিত এই ঘরোয়া টোটকাটিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!

২. পেঁয়াজের রস:

২. পেঁয়াজের রস:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কাঁচা পিঁয়াজ খাওয়ার পাশাপাশি যদি পিঁয়াজের রস খেতে পারেন, তাহলে দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। এখন প্রশ্ন হল কীভাবে খেতে হবে পিঁয়াজের রস? এক্ষেত্রে ১ চামচ পিঁয়াজের রসের সঙ্গে সমপরিমাণে মধু মিশিয়ে খাওয়া শুরু করতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!

৩. তরমুজ:

৩. তরমুজ:

শুনে নিশ্চয় অবাক হয়ে গেছেন? কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে আনারসের অন্দরে উপস্থিত ফাইবার, ভিটামিন এ, পটাসিয়াম এবং লাইকোপেন, রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. রসুন:

৪. রসুন:

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটি যে দারুন কাজে আসে সে সম্পর্কে তো সবারই জানা আছে। কিন্তু একথা জানা আছে কি নিয়মিত দু-কোয়া রসুন খাওয়া শুরু করলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে! আসলে রসুন খাওয়া মাত্র সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ এতটা বেড়ে যায় যে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগে না।

৫. বিট:

৫. বিট:

রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সবজির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে বিটে উপস্থিত নাইট্রিক অ্যাসিড ব্লাড ভেসেলের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সারা শরীরজুড়ে রক্তের প্রবাহ এতটাই বেড়ে যায় যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগই পায় না।

৬. মিষ্টি আলু:

৬. মিষ্টি আলু:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এই সবজিটি খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা ব্লাড প্রসোরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. কলা:

৭. কলা:

রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে ব্রেকফাস্টে কখনও কলা খেতে ভুলবেন না। কারণ এই ফলটির শরীরের থাকা পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর সোডিয়ামের মাত্রা কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও কলার ভূমিকাকে মেনে নিয়েছে চিকিৎসক মহল।

৮. ওটস:

৮. ওটস:

ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারটি নিয়মিত খেলে সিস্টোলিক প্রেসারের পাশাপাশি ডায়াস্টোলিক প্রেসারও কমতে শুরু করে। সেই কারণেই তো ব্লাড প্রেসার রোগীদের নিয়মিত ওটস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৯. জাম:

৯. জাম:

এই ফলটির শরীরে থাকা ফ্লেবোনয়েড নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই উপাদানটি শরীর থেকে টক্সিক উপাদানদের বের করে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

১০. আঙুর:

১০. আঙুর:

এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন। সেই সঙ্গে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ফসফরাস, যা নানাভাবে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি যদি খুব স্ট্রেসফুল কাজকর্ম যদি করে থাকেন, তাহলে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন এক মুঠো করে আঙুর খেতে ভুলবেন না যেন!

১১. অ্যাভোকাডো:

১১. অ্যাভোকাডো:

উচ্চ রক্তচাপের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে নিয়মিত এই ফলটি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ অ্যাভোকাডোর মধ্যে থাকা ওলেয়িক অ্যাসিড শুধুমাত্র ব্লাড প্রেসার কমায় না, সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হর্টকে সুস্থ রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১২. পালং শাক:

১২. পালং শাক:

পালক পনির না ঠাকুমার হাতে রান্না করা পালং শাক, কোন পদটা খেতে বেশি মুখরোচক? আপনার উত্তর যাই হোক না কেন, তাতে কিছু এসে যায় না। মধ্যা কথা হল হার্টকে চাঙ্গা রাখতে এবং রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে প্রায় প্রতিদিনই পালং শাক খেতে হবে। কারণ এই শাকটির অন্দরে ঠাসা পটাশিয়াম, ফলেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার শুধু রক্তচাপ কমায় না, সেই সঙ্গে শরীরের একাধিক অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Regulating Salt Intake Is The Key To Prevent Hypertension

Regulating salt consumption is key to prevent hypertension, which is associated with an increased risk of heart disease, heart attack, stroke and heart failure, say experts. According to World Health Organization (WHO), adults should reduce consumption of sodium to less than 2 grams a day, or the equivalent of about one teaspoon of table salt to reduce the risk of heart disease.
Story first published: Thursday, May 17, 2018, 17:35 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion