Just In
- 59 min ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 4 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 5 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 6 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
World Health Day 2021: সুস্থ থাকতে প্রতিদিন যে নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি...
আমরা ছোট থেকেই শুনে আসছি, স্বাস্থ্যই সম্পদ। আমাদের মধ্যে অনেকেই স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব সচেতন। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে জিমে যাওয়া, বাড়িতে যোগা, মেডিটেশন, ডায়েট ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেদেরকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারি করে তোলার চেষ্টা করি। কিন্তু, অনেকেই নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নন। তাই স্বাস্থ্য সম্পর্কে সকল মানুষকে সচেতন করতে প্রতিবছর ৭ এপ্রিল পালিত হয় 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস'। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। এবছর কোভিড-১৯ এর আতঙ্কের মাঝেই মানুষকে সচেতন করতে পালিত হচ্ছে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস'। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-এর এবছরের থিম হল 'building a fairer, healthier world for everyone'।
আমরা সকলেই জানি সারা বিশ্বে বর্তমান পরিস্থিতির কথা। একটি ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নিয়েছে হাজার হাজার মানুষের। যে সকল মানুষ নিজের জীবনকে বাজি রেখে ভাইরাস মোকাবিলার জন্য রোগীর পেছনে দিন-রাত অতিবাহিত করছেন তাদের কুর্নিশ জানানো আমাদের কর্তব্য। ডাক্তার, নার্স এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সময় এটি। তাই নিজেদের সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি তাঁদের আরোগ্য এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করি এই দিনটিতে। তবে সুস্থ থাকাটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে নিজেদের উপরে। রোগের বিরুদ্ধে লড়তে এবং রোগের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করতে, একটি স্বাস্থ্যকর জীবন ধারা ও ডায়েট দু'টি অত্যন্ত প্রয়োজন। একটি সাধারণ পরিবর্তন আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে। তবে চলুন দেখে নেওযা যাক নিজেকে সুস্থ রাখতে কী কী করবেন -
১) ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন
সুস্থ থাকতে ধূমপান মদ্যপান, ধূমপান এবং যেকোনও নেশা জাতীয় দ্রব্য বর্জন করুন। এগুলি আপনার ফুসফুসের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফুসফুসের পাশাপাশি শরীরের হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে। তাই নেশা থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। নিজে অভ্যাসটি ত্যাগ করতে না পারলে চিকিৎসকের সহায়তা নিন।
২) জল পান করুন
সঠিক পরিমাণে জল পান শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, হজম শক্তি বৃদ্ধি, ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ইত্যাদি কাজে জলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি নির্মূল করার ক্ষেত্রেও জলের ভূমিকা অতুলনীয়। তাই আপনার শরীরের ওজন অনুযায়ী সারাদিনে কত পরিমাণ জল পান করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তা সময়মাফিক পান করুন।
দূরে থাকুন ঠান্ডা জাতীয় পানীয় থেকে। এগুলি শরীরের ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি লিভারের ক্ষতি করে। কিন্তু, ভেষজ চা, লেবু জল বা ডিটক্স জল পান করতে পারেন।
৩) পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে তা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে, তাই সঠিক ঘুম হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। কম ঘুম বিপাক ক্রিয়া, মেজাজ, স্মৃতিশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শরীরকে সুস্থ এবং সতেজ রাখতে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। সময় নির্ধারণ করে এই অভ্যাসটি করুন।
করোনা ভাইরাস : লকডাউনের সময় যেসমস্ত খাদ্যগুলি মজুত রাখবেন
৪) স্বাস্থ্যকর খাবার খান
নিজেকে সুস্থ্য রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই ডায়েটে রাখুন তাজা ফল, শাকসবজি ও প্রোটিন যুক্ত খাবার। একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুষম ডায়েট বিভিন্ন রোগকে প্রতিরোধ করতে পারে। বাইরের ফাস্টফুড এবং তেলেভাজা যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন। এছাড়া কৃত্রিম উপায়ে তৈরি বিভিন্ন রঙিন পানীয় বা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫) সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ করুন
শরীরকে সুস্থ রাখতে সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ করা খুবই জরুরি। সকাল দুপুর এবং রাতের খাবারের সময় নির্ধারণ করুন এবং সেই সময় অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করুন। সকালে স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এটি আপনার মেজাজ এবং শারীরিক শক্তিকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সঠিক সময়ে খাদ্যগ্রহণ আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিস রোগকে প্রতিরোধ করে।
৬) শরীরচর্চা
ফিট এবং সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরি। শরীরচর্চা হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ব্যায়াম মানসিক স্ট্রেস দূর করে। তাই রোজ নিয়মমাফিক সকালে এবং সন্ধ্যায় অন্তত ১০ মিনিট করে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ বা যোগব্যায়াম করুন।
৭) মানসিক চাপ হ্রাস করুন
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস হৃদরোগ থেকে শুরু করে হজমজনিত সমস্যা সমস্ত কিছুর উপরেই খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। স্ট্রেস থেকে দূরে থাকতে শারীরিক অনুশীলন, ধ্যান, যোগব্যায়াম ইত্যাদি করতে পারেন। শরীরের ওপর বেশি চাপ দেবেন না, ছুটির দিনে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। পরিকল্পনা অনুযায়ী দিনগুলো অতিবাহিত করুন যাতে মানসিক চাপ না বাড়ে।