Just In
- 11 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 12 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 15 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 17 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
বিশ্ব এইডস দিবস ২০২০ : জানুন এই দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
আজ বিশ্ব এইডস দিবস। প্রতি বছর ১লা ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়। বছর অতিক্রান্ত করে একেবারে শেষ মাসে খানিকটা চুপিসারে উঁকি দিল দিনটা। পিঙ্ক বলের টেস্ট উন্মাদনা , বিশ্ব রাজনীতির উন্মাদনা, দেশে অগ্রাধিকারে টানাপোড়েন। এইসব হাই প্রোফাইল উন্মাদনা ও অগ্রাধিকারের টিআরপি থেকে অনেকাংশে পিছিয়ে আজকের এই দিনটি। কারণ সেই নয়ের দশক অর্থাৎ ১৯৮৮ সালের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত যে ভাবে এই দিনটি আসার সাড়া পাওয়া যেত এখন তা যেন অতীত।
এইডস অর্থাৎ অ্যাকুয়ারড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রোম যা এইচআইভি ভাইরাস থেকে সংক্রামিত হয়। ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর ১ লা ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হচ্ছে। যার মূল কারণ এইডস রোগের প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। তাই আজকের এই দিনটাকে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন - এর পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য প্রচারের দিন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৮১ সালে সর্বপ্রথম এই মারণ রোগের সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর মহাদেশ , সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। বিশেষ করে আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলিতে বেশি দেখা দেয় এই রোগের প্রকোপ। ২০১৮ সালে WHO এর রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্ত লোকের সংখ্যা ৩৭.৯ মিলিয়ন। মারা যায় প্রায় ৭৭০,০০০ মানুষ এবং ১.৭ মিলিয়ন মানুষ নতুনভাবে সংক্রামিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন : এইডস থেকে নিজেকে বাঁচাবার উপায়
এই মারণ রোগ এইডস কে প্রতিহত করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের সহায়তায় ১৯৯৪ সালে 'ইউএন এইডস' সংস্থাটি তৈরি হয়। এইডস রোগীদের চিকিৎসা ও তাদের সুরক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যায় এই সংস্থা। এর পরেই এইচআইভি এবং এইডস সংক্রমণ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। ভারতবর্ষে এইডস নিয়ন্ত্রণের আলাদা সংস্থা তৈরি হয়। ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। এই সমস্ত সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রচার এর কিছুটা সুফল হলেও বর্তমানে তা কোথাও যেন আবার শৈথিল্য হয়ে গেছে। এইডস এইডস নিয়ে যে পরিমাণ সচেতনতা আর সহানুভূতির দরকার সেখানে ঘটে চলেছে তার ঠিক উল্টোটা। তবুও আজকের দিনে পালিত হচ্ছে বিশ্ব এইডস দিবস। যে উদ্দেশ্যে এই দিন পালন করা হচ্ছে তা কি আদৌ সফল হচ্ছে প্রশ্ন এখানেই।
এইডস রোগটি শুধু যৌন মিলনের জন্যই হয় তা কিন্তু না। বিভিন্ন কারণের জন্যই এটি হয়ে থাকে। যেমন-
১) এই আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হলে শরীরে এইচআইভি জীবাণু প্রবেশ করে।
২) এই রোগে আক্রান্ত মায়ের থেকে গর্ভস্থ শিশু বা বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর দেহে এই ভাইরাস প্রবেশ করে।
৩) এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত যদি কোন সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করে তবে আক্রান্ত হতে পারেন।
৪) এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করা ইনজেকশনের সিরিঞ্জ , অস্ত্রোপচারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সুস্থ ব্যক্তির দেহে ভুলবশত ব্যবহার হলে তা থেকে রোগ ছড়ায়।
আরও পড়ুন : এইডস-এর কারণ,লক্ষণ এবং চিকিৎসা
এভাবেই কিন্তু এই রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। তবে এইচআইভি আক্রান্ত মানে যে মৃত্যু তা কিন্তু কখনোই নয়। কারণ এইচআইভি, এইডসের নানান চিকিৎসা ও নতুন পরীক্ষা রয়েছে বর্তমান দিনে। নিজেকে সমাজের থেকে লুকিয়ে না রেখে সাহায্য নিন বিশেষজ্ঞের।
বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে প্রচার, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে পদযাত্রার থেকেও কোথাও মানুষ যেন সিনেমার ভাষাটা বেশি বোঝে। সেই ভাষাতেই বললে ' ফির মিলেঙ্গে ' ছবিতে এইচআইভি আক্রান্ত প্রেমিকের পাশে দাঁড়িয়েছিল তার প্রেমিকা। ' মাই ব্রাদার নিখিল ' সিনেমায় আক্রান্ত ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়েছিল পুরো পরিবার। তাই সহজ হয়েছিল জীবনের এই কঠিন পথ অতিক্রম করার। সমাজের থেকে নিজেকে না লুকিয়ে, একঘরে নিজেকে বন্ধ না রেখে আলোর পথে এসে চিকিৎসা করান। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব থেকে পরিবারের সকলে। চিকিৎসার পাশাপাশি সাহস যোগান তাঁদের। তবেই হয়তো সিনেমার মতো বাস্তবেও জীবনের কঠিন পথ সহজ হয়ে উঠবে। তবেই সফল হবে আজকের এই এইডস দিবস পালন।