Just In
লকডাউনে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি একাকীত্বে ভুগছেন, দেখে নিন গবেষকদের মত
লকডাউন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। প্রায় প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে ডিপ্রেশনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এমনকি, অনেকে অতিরিক্ত হতাশা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, লকডাউনে বয়স্কদের চেয়ে তরুণ সমাজের মানুষজন মানসিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তবে এখন যদি আমরা লিঙ্গ ভিত্তিক এই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবি তাহলে দেখা যাবে, এই লকডাউনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে মহিলাদের উপর। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, তিনজন মহিলার মধ্যে একজন লকডাউনের কারণে নিঃসঙ্গতায় ভুগছেন। University of Essex এর কিছু অর্থনীতিবিদদের দ্বারা পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মহিলারা পুরুষদের চেয়ে বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়ছেন।
গবেষণা কী বলছে?
গবেষণা থেকে আরও জানা যাচ্ছে যে, করোনা ভাইরাস মহামারী চলাকালীন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কিত মানুষের সংখ্যা সাত শতাংশ থেকে বেড়ে ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে, লকডাউনে এই পরিসংখ্যান ১১ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। গবেষকদের মতে, এইসময় বাচ্চা, গৃহস্থালির কাজ এবং অফিসের কাজ, এই সবকিছু একসঙ্গে সামলানোর কারণে মহিলাদের উপর মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন : সুস্থ থাকতে মহিলাদের অবশ্যই এই খাবারগুলি খাওয়া উচিত, রইল তালিকা
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ৩৪ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন তারা কোনও কোনও সময় একাকীত্ব অনুভব করেন। ১১ শতাংশ জানিয়েছেন যে, তারা প্রায়শই ভীষণ একাকীত্ব অনুভব করেন। ২৩ শতাংশ জানিয়েছেন যে, তারা কোনও কোনও সময় একাকীত্ব অনুভব করেন এবং ছয় শতাংশ বলেছেন যে, তারা প্রায়শই একাকীত্ব বোধ করেন। গবেষণাটি একটি অনলাইন সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে করা হয়েছে।
মহিলাদের উপর অতিরিক্ত দায়িত্ব বেড়েছে
এর পূর্বে, এই ধরনের বিষয়গুলি নিয়ে অনেক গবেষণা করা হয়েছে। যেখান থেকে জানা যায়, গৃহকর্ম পরিচালনা ও সন্তানদের যত্ন নেওয়া এবং নিজস্ব কাজের প্রতি খেয়াল রাখা, এই সবকিছুর কারণে বিশ্বজুড়ে প্রত্যেক নারীই প্রচুর চাপে থাকে। এই বছরের শুরুর দিকে একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল যে, মহিলারা তাদের নিজস্ব কাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার পরেও তারা বাড়ির অনেক বেশি দায়িত্ব গ্রহণ করে, যার ফলে তাদের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়। শিক্ষিত ও চাকুরীজীবী নারীর সংখ্যা বাড়ছে ঠিকই, তবে তাদের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য কমেনি। তারা তাদের সঙ্গী বা পরিবারের অন্যান্য পুরুষদের তুলনায় শিশু এবং বাড়ির কাজকর্মের প্রতি বেশির খেয়াল রাখেন।