Just In
- 3 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 4 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 5 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 19 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
ঠিক গাজরটা খাচ্ছেন তা?
বিয গাজর খাচ্ছেন না তো?
আপনি কি ছোট গাজর খেতে পছন্দ করেন? উত্তর যদি হ্য়াঁ হয় তাহলে আজই তা খাওয়া বন্ধ করুন। এমন কথা কেন বলছি? জানতে গেলে চোখ রাখতে হবে বাকি প্রবন্ধে।
আজকাল অনেকেই সালাড বা অন্য় কোনও পদ বানাতে ছাট গাজর, যাকে অনেকেই বেবি ক্য়ারোট নামে চিনে থাকেন সেটি ব্য়বহার করেন। শুধু তাই নয়, বাচ্চাদের টিফিনেও এই গাজর দিয়ে দেন বাবা-মারা। সবাই ভাবেন গাজর খাওয়া তো স্বাস্থ্য়ের পক্ষে ভালো, তাই এই অভ্য়াস থাকা জরুরি।
একথা ঠিক যে প্রতিদিন গাজর খাওয়া বাস্তবিকই শরীরের পক্ষে ভালো। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্য়ালসিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ফাইবার এবং আরও নানা সব জরুরি উপাদান, যা শরীরের গঠনে দারুন কাজে আসে। চিকিৎসকদের মতে প্রতিদিন কেউ যদি গাজর খান, তাহলে তার দৃষ্টি শক্তি ভালো হওয়ার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালি হয়, ডায়াবেটিস হওয়ার পথ বন্ধ হয় এবং ওজন হ্রাস পায়। একাধিক গবেষণায় এও প্রমাণিত হয়েছে যে ত্বককে সুন্দর করতেও গাজরের ভূমিকা অপরিসীম।
আপনাদের মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে যে গাজরের যদি এত উপকারিতা থাকে তাহলে এটি খেতে বারন করছি কেন, তাই তা? ভুলে যাবেন না একমাত্র পরিণত গাজরেরই এইসব উপকারিতা আছে, ছোট বা বাচ্চা গাজরের নয়। তাছাড়া একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে বাচ্চা গাজরে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে টক্সিন থাকে, যা শরীরের জন্য় একবারেই ভালো নয়। তাই এবার থেকে বাচ্চা গাজর কেনার আগে একবার ভাববেন বৈকি!
বাচ্চা
গাজর
আসলে
কী?
একথা
সকলেরই
জানা
যে
৯০-এর
দশকে
সারা
ভারজুড়ে
শস্য়
বিপ্লব
এসেছিল।
প্রত্য়েক
ভারতীয়
দোর
গোড়ায়
খাবার
পৌঁছে
দিতে
ফসলের
উৎপাদন
বাড়ান
হয়েছিল
প্রায়
নজির
বিহীন
ভাবে।
তার
পর
পরই
একাধিক
কেস
স্টাডি
করেছিলেন
কিছু
বিশষজ্ঞ।
কেউ
যখন
সবজি
কেনেন
,
তখন
কী
কী
দেখে
তা
পছন্দ
করে
থাকেন,
তা
জানতেই
করা
হয়েছিল
এইসব
কেস
স্টাডিগুলি।
এইসব
স্টাডি
পর্যালোচনা
করে
দেখা
গেছিল,
সবজি
দেখতে
সুন্দর
হলেই
বেশিরভাগ
মানুষ
সেগুলি
কিনে
ফেলেন।
একবারও
ভেবে
দেখেন
না
এই
সৌন্দর্য়ের
মধ্য়ে
কোনও
বিষ
লুকিয়ে
নেই
তো!
চাষিরাও একথা এখন জেনে গেছে যে সবজি ভেতর থেকে খারাপ হোক কী ভালো, সেদিকে মানুযের খেয়াল নেই, তাই তো তারা সবজিকে উজ্জ্বল এবং সুস্বাদু বানাতে নানা কেমিকেল ব্য়বহার করতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয় কৃষকদের একাংশ বানাতে শুরু করেছে হাইব্রিড সবজি, যা শরীরে পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। প্রসঙ্গত, এই বাচ্চা গাজরও এমন এক ধরনের হাইব্রিড সবজি।
বাচ্চা গাজরকে দেখতে সুন্দর করতে নানা ধরনের টক্সিক কেমিকেল ব্য়বহার করা হয়। কেউ কেউ তো এও বলে থাকেন যে অনেক দিন পর্য়ন্ত ছোট গাজরকে ঠিক রাখার জন্য় সেগুলিকে ক্লোরিন জলে চুবিয়ে রাখা হয়। আর আমরাও অবুজের মতো শুধু বহিরাবরণটা দেখে সেইসব বিষ গাজর কিনে ফ্রিজ ভরাই।
ক্লোরিনে চোবানো এইসব গাজর দীর্ঘ দিন ধরে খেলে হজমের রোগ, ব্রেণে ইনফেকশন, জয়েন্ট পেন প্রভৃতি রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
তাই সব শেষে একথা বলতেই হয় যে গাজর খেতে যদি মন চায় তাহলে পরিণত, বড় গাজর খান। ছোট গাজর খেলে কিন্তু বিপদ!