Just In
প্রতিদিন ডিম না খেলে কি হতে পারে জানেন?
ডিম খাওয়া নিয়ে আপনিও কি দোটানায় পরে গেছেন তারা কি জানেন হার্টকে ভাল রাখতে ডিমের কোনও বিকল্প নেই। এতে রয়েছে লুটিন এবং জিয়াক্সেনথিন নামে দুটি উপাদান, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে দারুন কাজে আসে।
ডিম নিয়ে নানা রকমের ধারণা রয়েছে। রয়েছে বিতর্কও। একদল মনে করেন প্রতিদিন ডিম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। আবার আরেক দলের মতে নিয়মিত ডিম না খেলে হতে পারে নানা রোগ। এখানেই শেষ নয়। গত কয়েক বছরে এক নতুন ভাবনা সামনে এসেছে। একদল বিশেষজ্ঞ কেবল মাত্র ডিমের সাদা অংশ খাওয়া পরামর্শ দিচ্ছেন। এত সব মতামতের মাঝে কোনটা ঠিক, আর কোনটা ভুল তা নিয়ে সত্যিই যে কারও মাথা খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই তো এই প্রবন্ধে ডিম সংক্রান্ত নানা বিতর্কের অবসান ঘটানোর চেষ্টা চালানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে প্লাস্টিক ডিম নামক একটা খবর বেশ নজর কেরেছে। সে কারণও লক্ষ্যনীয় ভাবে ডিম খাওয়া বেশ কমে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, রোজ কি ডিম খাওয়া উচিত? এই উত্তর খোঁজারই চেষ্টা চালানো হল এই প্রবন্দে।
ডিম খাওয়া নিয়ে আপনিও কি দোটানায় পরে গেছেন। তাহলে এই প্রবন্দটি আপনার জন্যই লেখা। কারণ এই লেখায় ডিমের নানা গুণাগুণ নিয়ে যেমন আলোচনা করা হযেছে, তেমনি প্রতিদিন ডিম খেলে কী কী হতে পারে সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।
শরীরের পুষ্টির যে চাহিদা রয়েছে তা মেটাতে ডিম খাওয়া একান্ত প্রয়োজন। আসলে এতে রয়েছে প্রোটিন, আয়রণ, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই সবকটি উপাদানই নানাভাবে শরীরের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো প্রতিদিনের ডায়েটে ডিম থাকা মাস্ট! এখানেই শেষ নয়, ডিমের আরও উপকারিতা আছে।
এক্ষেত্রে আরেকটি ভুল ধারণা আছে। অনেকে মনে করেন ডিম খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। বাস্তবে কিন্তু ডিম ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, ডিমের কুসুমে কোলিন বলে একটি উপাদান রয়েছে, যা ওজন হ্রাসে ব্যাপক ভাবে সাহায্য় করে। তাই এবার থেকে ওজন কমানোর অজুহাতে ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেবেন না যেন! তাতে কিন্তু শরীরের অনেক ক্ষতি হবে। কারণ ডিমের গুণাগুণের লিস্ট বেশ লম্বা।
ডিম কী কী উপায়ে আমাদের শরীরের গঠনে সাহায্য করে? চলুন এবার চোখ ফেরানো যাক সেদিকে।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:
ডিমে রয়েছে সেলেনিয়াম বলে একটি উপাদান, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো প্রতিদিন ডিম খেলে নানাবিধ রোগের প্রকোপ বেশ কমে যায়। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেশ হ্রাস পায়।
২. খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:
শরীরের উপকারে লাগে এমন ফ্যাটে পরিপূর্ণ থাকার কারণে ডিম খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, হার্টকে সুস্থ রাখতেও ডিম বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো নানাবিধ হার্টের রোগের পাশপাশি স্ট্রোকের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতে প্রতিদিন ডিম খাওয়া উচিত।
৩. দাঁতকে শক্তপোক্ত করে:
ভিটামিন ডি দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। আর ডিমে এই ভিটামিনটি প্রচুর মাত্রায় থাকার কারণে ডিম খেলে দাঁত নিয়ে আর ভাববার আর প্রয়োজন পরে না।
৪. হাড় শক্ত করে:
যেমনটা আগেও বলেছি ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, যা হাড়কে মজবুত করতে নানাভাবে সাহায্য় করে।
৫. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:
প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন বি থাকার কারণে ডিম খেলেই শরীরে এনার্জির মাত্রা ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। তাই তো ক্লান্তি দূর করার পাশপাশি সার্বিকভাবে কর্মক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
৬. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়:
ডিমের কুসুমে রয়েছে লুটিন এবং জিয়াক্সেনথিন নামে দুটি উপাদান, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে দারুন কাজে আসে। শুধু তাই নয় অন্ধত্ব প্রতিরোধেও ডিমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৭. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
ডিমে উপস্থিত কোলিন নামে একটি উপাদান মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটায়। প্রসঙ্গত, শরীরে কোললিনের ঘাটতি দেখা দিলে নানা ধরনের নিউরো প্রবলেমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই এমন সব রোগ থেকে দূরে থাকতে ভুলেও ডিম খাওয়া কখনও বন্ধ করবেন না।
৮. স্ট্রেস কমায়:
অ্যামাইনো অ্যাসিডে পরিপূর্ণ থাকার কারণে ডিম খেলেই মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা নিমেষে মানসিক চাপ বা স্ট্রেসকে কমিয়ে ফেলে।