Just In
Coronavirus : জেনে নিন করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে পঞ্চম থেকে দশম দিন কেন গুরুত্বপূর্ণ
দেশজুড়ে করোনা সংক্রমিতে সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কোভিডের দাপট কমানোর জন্য, সরকার থেকে ভ্যাকসিনেশন, লকডাউনের মতো বিভিন্ন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে বেডের ঘাটতির কারণে, চিকিৎসকরা হালকা থেকে মাঝারি লক্ষণ যুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসার পরামর্শ দিচ্ছে। তবে অনেকেই জানেন না যে, বাড়িতে থেকে কীভাবে তাদের লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং কোয়ারান্টিনে থাকা ১৪ দিনের মধ্যে পঞ্চম থেকে দশম দিন কেন গুরুত্বপূর্ণ।
উপসর্গ বা লক্ষণগুলির দিকে ঠিকমতো নজর না দিলে, মাঝারি উপসর্গযুক্ত রোগীদেরও বড় বিপদ হতে পারে। তাই আপনি যদি করোনা পজিটিভ হন এবং বাড়িতে থেকেই নিজের চিকিৎসা চালাচ্ছেন, তাহলে আপনাকে এই বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখতে হবে।
কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা, লক্ষণগুলির উপরই নির্ভর করে
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠা, কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পঞ্চম দিনের পর থেকে হওয়া লক্ষণগুলির উপর নির্ভর করে। কারণ সংক্রমণের প্রাথমিক দিনগুলিতে কিছু বোঝা যায় না। কেবলমাত্র ৫-১০ দিনের মধ্যেই রোগীর সংক্রমণের প্রকৃত তীব্রতা নির্ধারণ করা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি কোভিডের পরে কী ধরনের জটিলতায় ভুগতে পারেন, আইসোলেশন পিরিয়ডের ৫-১০ দিনের মধ্যে সে সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়।
পঞ্চম দিন থেকে, লক্ষণগুলি 'দ্বিতীয় পর্যায়'-এ প্রবেশ করে, যেখানে ইমিউন সিস্টেম ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই সময় রোগীর স্বাস্থ্য ওঠানামা করতে পারে, যেমন - অক্সিজেনের স্তর কমে যাওয়া, জ্বরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, শ্বাসকষ্ট, অত্যন্ত ক্লান্তিভাব, ইত্যাদি। তাই নিয়মিত এই লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
সংক্রমণ থেকে সেরে উঠতে কতদিন সময় লাগে?
একজন হালকা থেকে মাঝারি লক্ষণ যুক্ত ব্যক্তির মধ্যে, সংক্রমণের লক্ষণগুলি কমতে বা রিকভারি হতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রায় এক সপ্তাহ বা দশ দিন সময় নেয়। কিন্তু যে সমস্ত সংক্রমিত রোগী গুরুতরভাবে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে পঞ্চম থেকে দশম দিনের মধ্যে আসল সমস্যাগুলি প্রকট হয়।
তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার পরামর্শ দিচ্ছে যে, পঞ্চম থেকে দশম দিন পর্যন্ত যেন রোগীর লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
ডায়াবেটিস রোগীরা এই লক্ষণগুলি থেকে সাবধান! হতে পারে করোনার সঙ্কেত
কাদের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি?
রোগীর সংক্রমণের তীব্রতা এবং কত তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে, তার ক্ষেত্রে বয়স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব রোগী ওবেসিটি, হাই কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস বা ইমিউনো-কম্প্রোমাইজিং-এর মতো শারীরিক অবস্থা, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি।
করোনার প্রাথমিক পর্যায়েও ফুসফুসের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমনকি কম বয়সী ও হেলদি পেশেন্টদেরও সতর্ক হওয়া দরকার। তাই, চিকিৎসকেরা সময় মতো এক্সরে, চেস্ট স্ক্যান করার পরামর্শ দিচ্ছে।
সংক্রমণ খারাপের দিকে গেলে কী করবেন?
সময়মতো সবকিছু ধরা পড়লে তা রোগীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে। রোগীর অবস্থা যদি গুরুতর হয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং হাসপাতালে ভর্তি করান।
রোগীর লক্ষণগুলির উপরেই করোনার চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে। এই লক্ষণগুলি থেকেই বোঝা যায়, রোগীকে কখন অক্সিজেন দেওয়া প্রয়োজন এবং কোন ঔষধ দিলে রোগাকে বাঁচানো সম্ভব।