Just In
ওমিক্রন থেকে বাঁচতে ইমিউনিটি বাড়ান, ডায়েটে অবশ্যই রাখুন এই খাবারগুলি!
করোনায় সংক্রমণ দিন দিন দ্রুত হারে বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আসার পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এই ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণগুলি হালকা হলেও, এটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। তাই করোনা থেকে রক্ষা পেতে টিকা গ্রহণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আর ইমিউনিটি মজবুত করতে গেলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে বা নিরাময়ে কোনও নির্দিষ্ট ডায়েট বা খাবার সাহায্য করতে পারে না ঠিকই, তবে ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবশ্যই সাহায্য করতে পারে। তাহলে জেনে নিন, কোভিড মহামারী চলাকালীন আপনার ডায়েটে কী কী খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
বাড়িতে রান্না করা তাজা খাবার খান
বাইরের খাবার না খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। বাইরের খাবার খেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই বাড়ি থেকে কাজ করছেন, স্কুল-কলেজও বন্ধ। তাই বাড়িতেই আপনার পছন্দমতো বিভিন্ন খাবার রান্না করে খাওয়াই ভালো।
এই ফল ও সবজিগুলো খান
মাংস, মাছ, ডিম এবং দুধের পাশাপাশি আপনার খাদ্যতালিকায় তাজা ফল এবং শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। গম, ভুট্টা, চাল, ডাল এবং বিনস খান। ভুট্টা, বাজরা, ওটস এবং ব্রাউন রাইস-এর মতো শস্যে ফাইবার থাকে, যা দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার পেট ভরা রাখবে। সকালের খাবারে লবণ ছাড়া কাঁচা সবজি, তাজা ফল এবং ড্রাই ফ্রুটস অন্তর্ভুক্ত করুন।
সীমিত পরিমাণে লবণ খান
এক দিনে ৫ গ্রামের বেশি লবণ না খাওয়াই ভালো (এক চা চামচের সমতুল্য)। রান্নায় লবণের ব্যবহার কম করুন এবং লবণাক্ত সস এবং মশলার ব্যবহার কম করুন। প্যাকেটজাত, টিনজাত বা শুকনো খাবার ব্যবহার করলে, লবণ ও চিনি ছাড়া শাকসবজি, বাদাম এবং ফল খান। কাঁচা নুনও বেশি খাবেন না। সর্বদা কম সোডিয়ামযুক্ত সামগ্রী ব্যবহার করুন।
তেল ও ফ্যাট কম ব্যবহার করুন
মাখন এবং ঘি-এর পরিবর্তে অলিভ, সয়া, সূর্যমুখী বা কর্ন অয়েলের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ব্যবহার করুন। কম ফ্যাটযুক্ত দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য ব্যবহার করুন। ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। রান্না করার সময় খাবার ভাজার পরিবর্তে সিদ্ধ করে রান্না করার চেষ্টা করুন।
সীমিত পরিমাণে চিনি খান
চিনিযুক্ত পানীয় যেমন কোল্ড ড্রিঙ্কস, চিনিযুক্ত ফলের রস, বিভিন্ন ফ্লেভারের পানীয়, রেডি-টু-ড্রিঙ্ক টি এবং কফির ব্যবহার সীমিত করুন। কুকিজ, কেক এবং চকোলেটের মতো মিষ্টি স্ন্যাকসের পরিবর্তে তাজা ফল বেছে নিন। শিশুদের মিষ্টি খাবার না দেওয়াই ভালো।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন
সুস্থ থাকার জন্য, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা অত্যন্ত জরুরি। পিপাসা লাগুক বা না লাগুক, সময়মতো জল খেতে থাকুন। মিষ্টি পানীয়ের পরিবর্তে সাধারণ জল পান করুন। মিষ্টি ফলের জুস খুব বেশি খাবেন না।
Disclaimer: এই আর্টিকেলটি সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে লেখা। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। তাই কোনও কিছু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সহায়তা নেবেন এবং তাদের পরামর্শ মেনে চলবেন।