For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কাদের পেঁপে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়?

শরীরকে সুস্থ রাখতে পেঁপের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এই সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর ফলটিই বিষে পরিণত হয়।

|

শরীরকে সুস্থ রাখতে পেঁপের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এই সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর ফলটিই বিষে পরিণত হয়। আসলে বিশেষ কিছু রোগে আক্রান্ত রোগীরা পেঁপে খেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই তো এইসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের এই ফলটিকে খেতে মানা করেন। তবে চিন্তার বিষয় কি জানেন, বেশিরভাগ মানুষেরই এ বিষেয় জ্ঞান নেই। ফলে অজান্তের তারা নিজেদের ক্ষতি করে বসেন। সেই কারণেই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া।

পরিসংখ্যান ঘাটলেই দেখতে পাবেন ট্রপিকাল রিজিয়ানে বসবাসকারি প্রায় সিংহভাগ মানুষরেই পছন্দের তালিকায় একেবারে উপেরের দিকে রয়েছে এই ফলটি। কেন থাকবে নাই বা বলুন! পেঁপে খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি হাজারো রোগের প্রকোপ কমাতে এই রোগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়। সার্বিকভাবে শরীরের গঠনেও পেঁপের কোনও বিকল্প নেই। প্রসঙ্গত, ১০০ গ্রাম পেঁপেতে প্রায় ৪৩ ক্যালোরি থাকে, ভিটামিন সি থাকে প্রতিদিনের মোট চাহিদার প্রায় ৭৫ শতাংশ ভিটামিন, ফলেট থাকে প্রায় ১০ শাতংশ। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সহ আরও সব পুষ্টিকর উপাদান। এক কথায় পুষ্টির ভান্ডার হল পেঁপে। তবু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই ফলটি ক্ষতি ছাড়া ভাল করে না। কাদের ক্ষেত্রে সাধারণত এমনটা হয়ে থাকে?

১. প্রেগন্যান্সি:

১. প্রেগন্যান্সি:

গর্ভাবস্থায় বেশি পরিমাণে পেঁপে খাওয়া এবারেই চলবে না। কারণ পেঁপেতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান নানাভাবে মিসক্যারেজের আশঙ্কা বৃদ্ধি করে।

২. শ্বাস কষ্ট হয় যাদের:

২. শ্বাস কষ্ট হয় যাদের:

অ্যালার্জিক কারণে যাদের প্রায়শই শ্বাস কষ্ট হয়ে থাকে, তাদের ভুলেও পেঁপে খাওয়া চলবে না। কারণ এতে উপস্থিত প্য়াপিন নামে একটি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র শ্বাস কষ্টের আশঙ্কা বৃদ্ধি করে। প্রসঙ্গত, অ্যাস্থেমা রোগেও যারা ভুগছেন, তাদেরও এই ফলটি খাওয়া চলবে না।

৩. কিডনির স্টোনের আশঙ্কা বৃদ্ধি করে:

৩. কিডনির স্টোনের আশঙ্কা বৃদ্ধি করে:

কোনও কিছুই বেশি পরিমাণে শরীরে প্রবেশ ভাল নয়, তা সে পুষ্টিকর উপাদানই হোক না কেন! এক্ষেত্রেও কিন্তু একই ঘটনা ঘটে। পেঁপেতে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি রয়েছে। এই পরিমাণ ভিটামিন প্রায় দিনই যদি শরীরে প্রবেশ করতে শুরু করে, তাহলে দেহে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা হলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

৪. পুরুষদের ফার্টিলিটি হ্রাস পায়:

৪. পুরুষদের ফার্টিলিটি হ্রাস পায়:

আপনি কি বাবা হওয়ার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে বেশি মাত্রায় পেঁপে খাওয়া বন্ধ করুন। কেন? আসলে এই ফলটিতে উপস্থিত বেশ কিছু এনজাইম স্মার্প কাউন্ট কমিয়ে দেয়। ফলে ফার্টালিটি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৫. নানা ধরনের পেটের রোগ হয়:

৫. নানা ধরনের পেটের রোগ হয়:

পেঁপেতে উপস্থিত প্য়াপিন স্টামাকের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে নানা ধরনের পেটের রোগে হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, অল্প বিস্তর পেঁপে খেলে কোনও সমস্যাই হয় না। কিন্তু বেশি মাত্রায় খেলেই দেখা দেয় এই সব রোগ। তাই এই বিষয়টি সবারই মাথায় রাখাটা একান্ত প্রয়োজন।

৬. ত্বকের রোগ হয়:

৬. ত্বকের রোগ হয়:

যারা ক্য়ারোটেনিমিয়া নামক ত্বকের রোগে আক্রান্ত তাদের পেঁপে খাওয়া একেবারেই চলবে না। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন- এ এই ধরনের স্কিন প্রবলেমকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

৭. শকর্রার মাত্রা কমিয়ে দেয়:

৭. শকর্রার মাত্রা কমিয়ে দেয়:

রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়াটা যেমন ভাল নয়, তেমনি বেশি মাত্রায় কমে যাওয়াটাও কিন্তু ক্ষতিকর। তাই তো নাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে পেঁপে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ এই ফলটি শর্করার মাত্রা নিমেষে কমিয়ে দেয়। ফলে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পরার সম্ভবনা বেড়ে যায়।

Read more about: health
English summary

কাদের পেঁপে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়?

Papaya, also known as Carica Papaya, is a tree which is a native of tropic regions such as India, Brazil, etc. Its fruit is healthy and delicious for most of the people.
X
Desktop Bottom Promotion