Just In
COVID-19 booster shot : বুস্টার ডোজ কী? জানুন কীভাবে এটি কাজ করে এবং কাদের নেওয়া প্রয়োজন
করোনা ভাইরাসের নতুন নতুন ভেরিয়্যান্টের আবির্ভাবের ফলে, বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষের মনেই বিদ্যমান ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। কিছু প্রমাণ থেকে জানা যাচ্ছে যে, কোভিডের জন্য উপলব্ধ ভ্যাকসিনগুলি নতুন ভেরিয়্যান্টের বিরুদ্ধে কম কার্যকর, যার কারণে বুস্টার শটের প্রয়োজনীয়তার উপর চাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে। ইসরায়েল ইতিমধ্যেই সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার শট দেওয়া শুরু করেছে। এমনকি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটি চালু করার জন্য ফাইজারের সঙ্গে আলোচনা করছে।
যাইহোক, বুস্টার শটের বিষয়ে গবেষকদের মধ্যে এখনও মতভেদ রয়েছে। আজ এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের COVID বুস্টার শট সম্পর্কে বলব।
ভ্যাকসিন বুস্টার কী?
বুস্টার শট হল, রোগের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদানের জন্য একটি নির্দিষ্ট বিরতির পরে সম্পূর্ণরূপে ভ্যাকসিনেটেড ব্যক্তিদের দেওয়া অতিরিক্ত শট-কে বোঝায়। যেহেতু কিছু সময় পর ভ্যাকসিনের প্রভাব শেষ হয়ে যায়, তাই সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে বুস্টার শট নেওয়া অপরিহার্য। সময়ে সময়ে ভ্যাকসিনের একটি ছোটো ডোজ গ্রহণ করলে, শরীরকে আরও কার্যকরভাবে ভাইরাস নির্ণয় করতে সাহায্য করবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ভ্যাকসিন বুস্টার আগের ডোজের অনুরূপ। তবে কখনও কখনও তারা কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য সংশোধন করা হয়ে থাকে। ফ্লু, টিটেনাস, ডিপথেরিয়া এবং pertussis (DTaP) এর মতো অনেক ভাইরাল ইনফেকশনেও বুস্টার শট দেওয়া হয়।
কেন এবং কাদের বুস্টার শট নেওয়া উচিত?
বুস্টার শট নেওয়ার প্রধানত দু'টি কারণ রয়েছে। প্রথমত, ভ্যাকসিন দ্বারা প্রদত্ত অনাক্রম্যতা কিছু সময়ের পরে শেষ হয়ে যায়। বুস্টার ডোজ শরীরে অ্যান্টিজেন পুনরায় প্রতিষ্ঠা করে, যা ইমিউন সিস্টেমকে প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া বজায় রাখতে সাহায্য করে। অপর কারণ হল, ভাইরাসের মিউটেশন। ভাইরাস মিউটেশন করতে থাকে এবং বুস্টার শট নতুন স্ট্রেনে ভাল কাজ করে।
গবেষকদের মতে, বুস্টার শটগুলি প্রাপ্তবয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারি। তবে, করোনা ভাইরাসের জন্য বুস্টার শট পেতে সর্বোচ্চ সময়সীমা কত তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ভারতে বুস্টার শটের পরিস্থিতি
সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (SII) এর চেয়ারম্যান সাইরাস পুনাওয়ালা সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, দ্বিতীয় ভ্যাকসিনের ছয় মাস পরে কোভিশিল্ডের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ প্রয়োজন। তিনি বলেন, ছয় মাস পর অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে যায়, যে কারণে বুস্টার শটের প্রয়োজন হয়।
এপ্রিল মাসে, ভারত বায়োটেক নির্মাতারা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া-র কাছ থেকে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় শটের পরীক্ষা চালানোর অনুমতিও পেয়েছে, যা বুস্টার শট হিসেবে পরিচালিত হবে। প্রথম ট্রায়ালের ফলাফল অগস্টে প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং চূড়ান্ত ফলাফল ২০২১-এর নভেম্বরের মধ্যে আশা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি-র ডিরেক্টর Dr Priya Abraham, দেশে বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তার ওপর চাপ দিয়েছেন। ভাইরাসের উদীয়মান ভেরিয়্যান্টের কারণে এটি প্রয়োজনীয়।
WHO-এর মতামত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ভারতে এখন বুস্টার শট নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে এড়িয়ে গেছে। কোভিশিল্ড ব্যবহারের জন্য WHO কর্তৃক একটি অন্তর্বর্তী সুপারিশ ইঙ্গিত দিয়েছে যে, ভ্যাকসিনের বুস্টার শটের কোনও প্রয়োজন নেই।
জাতিসংঘের সংস্থা স্পষ্ট করেছে যে, আরও তথ্য সংগ্রহের পরে বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা এবং সময় মূল্যায়ন করা হবে। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি।