For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

৪০-এর পর শরীরকে সুস্থ রাখতে এই ৭ টি উপদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে

শরীরের গঠনে ভিটামিন এবং খনিজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো শরীরে যাতে এই উপাদানটির ঘাটতি না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখাটা আমাদের সবার কর্তব্য।

|

শরীরের গঠনে ভিটামিন এবং খনিজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো শরীরে যাতে এই উপাদানটির ঘাটতি না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখাটা আমাদের সবার কর্তব্য। তবে ৪০ বছরের পর থেকে আরও বেশি করে এইসব উপাদানগুলি প্রসঙ্গে সতর্ক থাকতে হবে। খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। যাতে কোনও ভাবেই ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি দেখা না দেয়। আর যদি এই কাজটি ঠিক মতো করতে না পারেন, তাহলে ক্যান্সার, হার্ট জিজিজ, ডায়াবেটিস সব একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই এখন থেকেই সাবধান থাকাটা জরুরি। এক্ষেত্রে আপনার অস্ত্র হতে পারে ৭ টি উপাদান। ৪০ পর শরীরতে চাঙ্গা রাখার পাশপাশি নানাবিধ রোগকে দূরে রাখতে এই উপাদানগুলিগুলি নানাভাবে সাহায্য় করে। প্রসঙ্গত, শরীরে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি দূর হয় খাবার থেকে। তাই তো ডায়াটের দিকে নজর দেওয়াটা জরুরি। খেতে হবে সেই সব খাবার যাতে এই ৭ টি উপাদান বেশি মাত্রায় রয়েছে। তবে ইচ্ছা হলে সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন। তবে একাধিক কেস স্টাডি করে দেখে গেছে সাপ্লিমেন্টর খেতে প্রাকৃতিক উপায়ে পাওয়া ভিটামিন এবং খনিজ বেশি কাজে আসে।

এখন প্রশ্ন হল, ৪০-এর পর থেকে কোন কোন ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।

ভিটামিন বি১২:

ভিটামিন বি১২:

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীর নানাভাবে দুর্বল হতে শুরু করে। ফলে নানা ধরনের রোগ দেহে জয়গা করে নেওয়া সুযোগ পয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ৪০-এর পর রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং ব্রন ফাংশনকে আরও শক্তিশালী করতে এই ভিটামিনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সাধারণত মুরগির মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত খাবার এবং ডিমে ভিটামিন বি১২ প্রচুর পরিমাণে মজুত থাকে। তাই দীর্ঘদিন যদি সুস্থ ভাবে বাঁচতে চান, তাহলে প্রতিদিনের ডায়েটে এই খাবারগুলির কোনও একটির অন্তর্ভুক্তি জরুরি।

ক্যালসিয়াম:

ক্যালসিয়াম:

একাধিক কেস স্টাডি করে জানা গেছে ৪০ বছরের পর শরীরে এই খনিজটিক ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে এই বয়সে নানা ধরনের হাড়ের সমস্যা মাথা চারা দিয়ে ওঠে। আপনার অবস্থাও এমনটা হোক, সেটা কি চান? না তো! তাহলে আজ থেকেই ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট অথবা সেই সব খাবার খাওয়া শুরু করুন,যাতে এই উপাদানটি বেশি পরিমাণে রয়েছে। যেমন- দুগ্ধজাত খাবার, টোফু, সার্ডিন মাছ, ব্রকলি, বাদাম, পালং শাক প্রভৃতি খাবারে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। প্রসঙ্গত, কিছু সময় আগে পর্যন্তও মনে করা হত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে কেবল হাড়ের রোগ হয়। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিক এক গবেষণা অনুসারে শরীরে এই উপাদানটির মাত্রা কমতে থাকলে পেশি দুর্বল হয়ে যায়। সেই সেঙ্গে নার্ভ এবং হার্টের কর্মক্ষমতাও কমতে শুরু করে।

ভিটামিন ডি:

ভিটামিন ডি:

এই প্রবন্ধে আলোচিত ভিটামিন এবং খনিজগুলির মধ্যে কার্যকারিতার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে ভাটামিন ডি। কারণ এই ভিটামিনটি ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক, মাল্টিপেল স্কলেরোসিস, ব্রেস্ট এবং কলোরেকটাল ক্যান্সার প্রভৃতি রোগ আটকাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো ৪০ এর পর যাতে কোনও ভাবেই এই ভিটামিনটির ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। সাধারণত, মাছ, ডেয়ারি প্রডাক্ট এবং দানা শস্যে ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে থাকে। প্রসঙ্গত, এই ভিটামিনটির সব থেকে ভাল সোর্স হল সূর্যালোক। প্রতিদিন যদি বেলা ১২ টার আগে, কম করে ১ ঘন্টা রোদে কাটাতে পারেন, তাহলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।

ম্যাগনেসিয়াম:

ম্যাগনেসিয়াম:

রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে এই খনিজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে হার্ট ডিজিজ, ডায়াবেটিস, এবং শরীরের নানাবিধ প্রদাহ কমাতে কাজে লাগে। শরীরে যাতে ক্যালসিয়াম ঠিক মতো শোষিত হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে এই খনিজটি। সাপ্লিমেন্টের সাহায্যে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে। কিন্তু যে সব খাবার খেলে এই খনিজের ঘাটতি পূরণ হয়, সেগুলি হল সবুজ শাক-সবিজ, বিনস, সোয়া এবং অ্যাভোকাডো। এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে যেমন বিপদ, তেমনি বেড়ে যাওয়াটাও উচিত নয়। এক্ষেত্রে জটিল কোনও রোগের আশঙ্কা না থাকলেও ডায়ারিয়া, মাথা ঘোরা, এবং বারে বারে ক্র্যাম্প লাগার মতো অসুবিধে দেখা যেতে পারে।

পটাশিয়ামন:

পটাশিয়ামন:

বয়স যাই হোক না কেন ব্লাড প্রসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর এ কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে পটাশিয়াম। একাদিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ৪০ এর পর মেয়েদের শরীরে প্রতিদিন যদি ৩.১ গ্রাম এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে কম করে ৪.৭ গ্রাম পটাশিয়ান প্রবেশ করে তাহলে স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, কলা, রাঙা আলু, দই এবং বিনস-এ এই খনিজটি প্রচুর পরিমাণে থাকে।

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড:

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড:

রক্ত চাপ স্বাভাবিক রাখার পাশপাশি বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, হার্টকে সুস্থ রাখতে এবং স্মৃতি শক্তির উন্নতিতে এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কী কী খাবারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি পরিমাণে থাকে? সাধারণত মাছ, বাদাম, সবুজ শাক-সবজি প্রভৃতি খাবারে এই প্রকৃতিক উপাদনটি উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। প্রসঙ্গত, একজন সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন প্রায় ৫০০ এম জি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন পরে। যেখানে হার্টের রোগী এবং কোলেস্টেরল রোগীদের ক্ষেত্রে এই মাপটি হল যথাক্রমে ৮০০-১০০০ এম জি এবং ২০০০-৪০০০ এম জি।

প্রোবায়োটিকস:

প্রোবায়োটিকস:

এটি না ভিটামিন, না কোনও ধরনের খনিজ। তবে ৪০ পেরনো মহিলাদের সুস্থ রাখতে এই উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, স্ট্রোকের মতো মারণ রোগের আশঙ্কা কমানোর পাশপাশি ওজন কমাতে এবং শরীরের যত জয়েন্ট রয়েছে, তাদের সুস্থ রাখতে প্রোবায়োটিকের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, দই হল এক ধরনের প্রবায়োটিক। তাই ৪০-এর পর শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন দাই খাওয়া জরুরি।

English summary

৪০-এর পর শরীরকে সুস্থ রাখতে এই ৭ টি উপদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে

think of vitamines and nutrients as an army that will fight off age related ailments and best way tobuild this army is by eating a healthy, well rounded diet.
X
Desktop Bottom Promotion