Just In
- 44 min ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 17 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 17 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
- 17 hrs ago ওজন কমাতে চান? ট্রাই করুন গ্রীষ্মকালীন এই শাকসবজি
করোনা কালে বিহারে বেড়ে চলেছে শিশুদের ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা
কোভিড-১৯ মহামারীর মাঝেই, বিহারে শিশুদের মধ্যে ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে অনেক রোগীকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, ভাইরাল ফিভারের কারণে চিকিৎসাধীন শিশুদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি।
পাটনায় চারটি প্রধান হাসপাতাল - অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে, পাটনা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল (PMCH), নালন্দা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল (NMCH) এবং ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স-এ ভাইরাল জ্বরের চিকিৎসা করাতে আসা শিশুদের ভিড় উপচে পড়ছে।
ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স-এর ডিরেক্টর ও ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ এন.আর.বিশ্বাস PTI-কে জানিয়েছেন, রাজ্যের রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালে শিশুদের মধ্যে ভাইরাল ফিভারের ঘটনা বেড়েছে। মুজফফরপুর-সহ অন্যান্য জেলায়ও ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
"তবে এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি একটি মৌসুমী জ্বর, যা প্রতি বছরই হয়ে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। বর্তমানে, IGIMS-এ বেডের অভাব নেই এবং শিশুদের জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডারও রয়েছে।"
রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই হাই অ্যালার্ট জারি করেছে এবং এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন ডঃ বিশ্বাস। তিনি বলেন, "আমরা এ ব্যাপারে বেশ আশাবাদী যে, শিশুদের মধ্যে ভাইরাল ফিভারের সংখ্যা শীঘ্রই কমতে শুরু করবে।"
স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, ভাগলপুর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে ৭০টি বেডের ব্যবস্থা রয়েছে এবং বর্তমানে সেখানে ৫৩ জন শিশুর চিকিৎসা চলছে। মুজফফরপুর, সীতামারহী, সিওয়ান, চাপড়া, গোপালগঞ্জ, পশ্চিম চম্পারণ এবং পূর্ব চম্পারণ-এর রোগীদের এখানে চিকিৎসা চলছে।
গোপালগঞ্জ জেলায়, গত সপ্তাহে ভাইরাল ফিভারে একজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, এর পরে জেলা প্রশাসন সমস্ত ডাক্তার এবং চিকিৎসা কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে।
বৈশালী জেলার হাজীপুরে, গত সপ্তাহে প্রায় ২০ জন শিশু অসুস্থ হয়েছিল, যার মধ্যে একজন মারা গিয়েছে। বর্তমানে হাজীপুর সদর হাসপাতালের স্পেশাল ওয়ার্ডে সাত জন শিশু ভর্তি রয়েছে।
PMCH-এর মেডিকেল সুপারিন্টেনডেন্ট ডঃ আই.এস.ঠাকুর পিটিআই-কে বলেন, "বর্তমানে PMCH-এর পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে বেডের অভাব নেই। শিশুদের মধ্যে ভাইরাল ফিভারের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে চলার বিষয়টা যে বেশ উদ্বেগের, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই, তবে আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত আছি।"
তিনি জানিয়েছেন, ভাইরাল ফিভারের চিকিৎসাধীন শিশুদের মধ্যে এখনও কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা যায়নি।
Source : PTI