Just In
- 9 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 10 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 13 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 15 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
২০ এবং ৩০ বছর বয়সিদের এই খাবারগুলি না খেলে কিন্তু বিপদ!
২০-৩০ বছরের মধ্যে শরীরের সার্বিক বৃদ্ধি সবথেকে বেশি মাত্রায় হয়। তাই এই সময় দাবিয়ে খেতে হবে। না হলে কিন্তু বিপদ!
আমাদের শরীরের জ্বালানি হল খাবার। তাই তো ঠিক মতো খাবার খাওয়াটা জরুরি। বিশেষত ২০-৩০ বছরের মধ্যে শরীরের সার্বিক বৃদ্ধি সবথেকে বেশি মাত্রায় হয়। তাই এই সময় দাবিয়ে খেতে হবে। না হলে কিন্তু বিপদ! তবে চোখ বন্ধ করে খেলে চলবে না! আমাদের মধ্যে অনেকেই সকাল-সন্ধ্যে কব্জি ডুবিয়ে খাবার খাই। কিন্তু ঠিক ঠিক খাবার খাই কি? একেবারেই না! তাই তো নানাবিধ পুষ্টিকর উপাদান এবং খনিজের ঘাটতি দেখা দেয় আমাদের শরীরে। আর এমনটা হয় বলেই তো মধ্যবয়সিদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই সারা বছর নান রোগে ভুগতে থাকেন।
ঠিক ঠিক খাবার খাওয়া জরুরি কেন? শরীরে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি মেটাতে একমাত্র পুষ্টিকর খাবারই সাহায্য করতে পারে। আর যত পুষ্টির ঘাটতি কম হবে, তত শরীরের গঠন ভাল হবে। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগের প্রকোপও হ্রাস পাবে। আর একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, কম বয়সে আমরা শরীরকে যত আগলে রাখব, বুড়ো বয়সে শরীর তত আমাদের খেয়াল রাখবে। তাই তো খাবার= শরীর, এই কথাটা ২০ এবং ৩০ বছর বয়সিরা যেন কোনও দিন ভুলে না যান!
২০ বছর বয়সিদের কেমন ধরনের খাবার খেতেই হবে:
১. প্রোটিন:
শরীরের গঠনে এই উপদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই বয়সে যেহেতু শরীরের গঠন দ্রত হারে হয়, তাই ২০ বছর বয়সিদের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- মাংস, ডিম, মাছ, দুধ, বাদাম, ওটস, দই প্রভৃতি বেশি করে খেতে হবে।
২. কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট:
শরীরকে চাঙ্গা রাখতে এটিও একটি অতি আবশ্যিক উপাদান। সাধারণত রাঙা আলু , ব্রাউন রাইস, সবুজ শাক-সবজি, হোল গ্রেন খাবার প্রভৃতিতে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট প্রচুর মাত্রায় থাকে। আসলে কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরে এনার্জির ঘাটতি পূরণ করে। এনার্জি ছাড়া যেহেতু আমাদের একদিনও চলবে না তাই প্রতিদিনের ডায়েটে এই জাতীয় কাবার থাকা মাস্ট!
৩. বাদাম এবং সিডস:
বয়সকালে অস্টিওপোরোসিস এবং আর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ের রোগে আক্রান্ত হতে না চাইলে বেশি করে এই ধরনের খাবার খেতে হবে। কারণ বাদাম এবং নানাবিধ বীজে বিপুল মাত্রায় ভিটামিন এবং খনিজ থাকে, যা এমন সব রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি সার্বিকভাবে শরীরকে ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪.ক্যালসিয়াম:
ব্য়াঙ্কে টাকা জমালে যেমন বিপদে-আপদে কাজে লাগে। তেমনি কম বয়স থেকেই যদি শরীরের ব্য়াঙ্কে নানাবিধ খনিজকে সঞ্চয় করে রাখা যায়, তাহলে বয়সকালে শরীর সুস্থ থাকে। তাই তো যাদের বয়স ২০-এর কোটায়, তাদের বেশি করে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরমার্শ দেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাতে।
৫. হরমোনের ক্ষরণ যেন স্বাভাবিক থাকে:
জাম, দই, কাজু বাদান এবং ওটমিলের মতো খাবার বেশি করে খেতে হবে। কারণ এমন ধরনের খাবার খেলে শরীরে হরমোনের ক্ষরণ স্বাভাবিক থাকে। ফলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়াক আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, ত্বকের সৌন্দর্যও অনেকাংশে হরমোন ক্ষরণের উপর নির্ভর করে। তাই তো হরমোনাল ইমব্যালেন্সের মতো সমস্যা থেকে যাতে দূরে তাকা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
১. সবজি এবং মাংস দিয়ে তৈরি সাদা ঝোল:
এই ধরনের খাবার পুষ্টিগুণে ভরপুর হয়, যা এই বয়সে শরীরকে ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে সব ধরনের সবজি এবং মাংস দিয়ে তৈরি করার কারণে এমন খাবারে ভিটামিন এবং খনিজ প্রচুর মাত্রায় থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশপাশি শরীরের একাধিক জয়েন্টকে সচল রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. সুপারফুড:
৩০-এর গণ্ডি পেরতে চলেছেন যারা তাদের প্রতিদিনের ডায়েটে অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, মাছ, জাম এবং ডিম থাকা জরুরি। কারণ এই সুপারফুডগুলি মস্তিষ্ক এবং শরীরকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এই বয়সে আরও একটি উপাদানের খুব প্রয়োজন পরে। তা হল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা জাম, ডার্ক চকোলেট, মটরশুটি প্রভৃতি খাবারে খুঁজে পাওয়া যায়।
৩. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট:
৩০-এ পৌঁছাতে পৌঁছাতেই শরীর ভিতর থেকে একেবারে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। তাই তো এই সময় শরীরকে চাঙ্গা করে তুলতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। তাছাড়া একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এই বয়সিদের প্রতিদিনের ডায়েটে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার থাকা মাস্ট!
৪. মাছ এবং ডিম:
বিশেষজ্ঞদের মতে ৩০ পেরতে না পেরতেই আমাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমতে শুরু করে। এই হরমোনটি শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো যারা ৩০ পেরিয়েছেন, তাদের এমন খাবার খেতে হবে যা শরীরে টেস্টোস্টেরণ হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে। প্রসঙ্গত, ডিম এবং মাছ শরীরে এই বিশেষ হরমোনটির মাত্রা ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে যাতে ভিটামিন-ডি এবং ভাল ফ্যাটের ঘাটতি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে।
৫. কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার:
৩০-এর পর থেকে হাড়ের ক্ষয় হতে শুরু করে। তাই তো এই বয়সিদের বেশি করে দুগ্ধজাত খাবার, যেমন- দই, দুধ, চিজ, পনির প্রভৃতি বেশি করে খেতে হবে। কারণ এমন ধরনের খাবারে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে, যা হাড়কে শক্তপোক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।