Just In
ল্যাভেন্ডারের সেরা পাঁচটা উপকারিতা জেনে নিন
সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় এর তেল। যা ল্যাভেন্ডার ফুল থেকে নেওয়া হয়। যদিও এর উপকারিতা নানা রকম থাকলেও FDA থেকে একে ওষুধ হিসাবে এর ছাড়পত্র পাওয়া যায় নি।
আড়াই হাজার বছরের বেশি সময় ধরে মানুষ ল্যাভেন্ডার ব্যবহার করছে। বিশেষত এর তেল ব্যবহার করে এসেছে। এর ব্যবহার পুরনো দিনে যেমন চিকিৎসাশাস্ত্রে পাওয়া গেছে, তেমনি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে এবং রূপচর্চায় পাওয়া গিয়েছে। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার মমি বানানো থেকে শুরু করে রোম সভ্যতায় এর উপস্থিতি সমানভাবে বিদ্যমান। প্রাচীন সভ্যতা এর ব্যবহার সম্পর্কে অনেক আগে জানলেও সেই ব্যবহারের পাশাপাশি আর কিভাবে এই তেল কাজে লাগানো যায় তার জন্যে আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা করেছে।
ল্যাভেন্ডার সবথেকে বেশি পাওয়া যায় উত্তর আফ্রিকাতে। এছাড়াও এশিয়ার কিছু কিছু অঞ্চলে এর জন্ম হতে দেখা যায়। এর সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় এর তেল। যা ল্যাভেন্ডার ফুল থেকে নেওয়া হয়। যদিও এর উপকারিতা নানা রকম থাকলেও FDA থেকে একে ওষুধ হিসাবে এর ছাড়পত্র পাওয়া যায় নি।
এই তেল ত্বকের যত্ন নিতে, রূপচর্চায়, ডিপ্রেশন কাটাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। আজকের বাজারে যে কতগুলো এসেনশিয়াল অয়েল রয়েছে, তার মধ্যে এই ল্যাভেন্ডার অয়েল অন্যতম। কোন মেডিসিনাল স্টোরে এটাকে কিনতে যাওয়ার দরকার পড়ে না। যেকোনো বড় বুটিক বা অনলাইন যে কোন স্টোরে এই ল্যাভেন্ডার অয়েল পাওয়া যায়।
এই ল্যাভেন্ডার অয়েল এর অনেক গুণ এবং ব্যবহার থাকা সত্ত্বেও আজকের প্রতিবেদনে জানানো হল সেই রকমই বিশেষ পাঁচটা গুণ যা বহুলভাবে ব্যবহৃত।
১. ফাংগাল ইনফেকশন
মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজির এক জার্নালে এটা জানা গেছে যে এই ল্যাভেন্ডার অয়েল ছত্রাক ঘটিত যেকোনো রোগের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। মানবদেহের শরীরে বিশেষত আমাদের ত্বকে যে সমস্ত ছত্রাক ঘটিত ইনফেকশন সৃষ্টি হয়ে থাকে তার মোকাবিলায় এই তেল যথেষ্ট কার্যকরী। এই প্রেম শুধুমাত্র আমাদের দেহের ছত্রাকের আক্রমণ কে কমায় না, সাথে ফাংগাল ইনফেকশন না হওয়ার জন্য প্রতিরোধক ক্ষমতা ও আমাদের ত্বকে কিছুটা গড়ে তোলে।
২. আঘাত এবং চুল পড়া
অল্টারনেটিভ মেডিসিনের এক জার্নাল বলছে যে ত্বকের আঘাতের মোকাবিলার ক্ষেত্রেও এই তেল এর ভূমিকা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা ল্যাবরেটরি তে ইঁদুরের উপর পভিডন আয়োডিন সলিউশন, ল্যাভেন্ডার অয়েল, এবং স্যালাইন সলিউশন ব্যবহার করেন। দেখা গেছে যে ল্যাভেন্ডার অয়েল অনেকটাই বেশি কার্যকর হয়েছে। এর থেকে জানা যায় যে ল্যাভেন্ডার অয়েল আঘাতপ্রাপ্ত জায়গা ঠিক হবার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার ক্ষমতা রাখে।
একইভাবে এই ল্যাভেন্ডার অয়েল চুল পড়া প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রেও সমানভাবে কার্যকরী। অনেকেই চুল পড়া বা এলোপেসিয়া রোগে ভুগতে থাকেন যে রোগে মাথার কিছুটা অংশ থেকে চুল ঝরে পড়ে যায়। ল্যাভেন্ডার অয়েল এই রোগকেও প্রতিহত করে।
৩. অবসাদ
এই তেল সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় অবসাদ, স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা থেকে সাময়িক বা সম্পূর্ণ মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে। ল্যাভেন্ডার তেল থেকে পাওয়া যায়। মেডিকেল জার্নাল বলে যারা সাময়িক অবসাদে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই তেল অধিকভাবে কার্যকরী। অল্পেতে যারা নার্ভাস হয়ে যান, তাদের জন্যেও এই তেলের উপকার আছে।
৪. ঘুম বাড়ায় এবং পেশীর ব্যাথা কমায়
অনেকেই আছে যারা রাতে ঠিকঠাক ঘুমাতে পারেন না। তাদের অনেককেই ঘুমের জন্যে চিকিৎসকেরা ঘুমের হালকা ওষুধ দিয়ে থাকেন। নিয়মিত এই ওষুধ খেয়ে নিজের নির্ভরশীলতা বাড়ানোর থেকে ল্যাভেন্ডার অয়েলকে বেছে নিতে পারেন। হালকা করে এই তেল ম্যাসাজ করে বা এক ফোঁটা নিজের বালিশে ফেলে দেখুন, অবসাদ কাটার সাথে সাথে নিজের থেকেই ঘুম এসে যাবে। সুগন্ধি থেরাপিতে এই ব্যবহার বারবার বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন।
অনেকে শরীরচর্চার ক্ষেত্রে জিমে গিয়ে থাকেন। শুরুতে বা প্রাকটিসের সময় অল্প বিস্তর গা, হাত, পা ব্যাথা সবার হয়। ব্যাথা কমাতে ওষুধ খাওয়ার আগে এই ল্যাভেন্ডার অয়েল দিয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন। কাজ দেবে।
৫. পোকামাকড় তাড়ানোর ক্ষেত্রে
গরমকাল চলে এসেছে। এই সময় পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়তে থাকে। এই সময় পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচতে সাধারণ গায়ে মাখার তেলের সাথে এক দু ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে গায়ে মাখুন। উপকার পাবেন। সহজে পোকামাকড় আসবে না বা কামড়াবে না।