Just In
- 38 min ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 1 hr ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 3 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 6 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
সঠিক পুষ্টির জন্য একজন ক্রীড়াবিদের যা যা করা উচিত
নিজের ১০০% দিয়ে সবসময় ফিট থাকা এই ক্রীড়াবিদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু বলা সহজ হলেও করা অতটা সহজ নয়। অনুশীলন, নিয়মানুবর্তিতার সাথে দরকার সঠিক পুষ্টি যা শরীর কে রাখবে সবসময় রেডী। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক স
একটা কথা আমরা সবাই শুনেছি যে শিক্ষার প্রথম ধাপ খেলার মাঠ থেকে শুরু হয়। কিন্তু আজকের কর্মব্যস্ত জীবনে খেলাধূলার সময় অনেকটাই কমে গেছে। সেই সময় টা নিয়েছে ফোন বা কম্পিউটার। বেঁচে থাকার চাহিদায় আমরা নানান কাজের পথ বেছে নিয়েছি টিকে থাকার জন্যে। তার মধ্যে কেউ কেউ আছেন যারা খেলাকে ভালোবেসে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন। বানিয়ে নিয়েছেন তাদের পেশা। বাকি দশটা পাঁচটার অফিস জব থেকে এই পেশা অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং। নিজের ১০০% দিয়ে সবসময় ফিট থাকা এই পেশার মূল লক্ষ্য। কিন্তু বলা সহজ হলেও করা অতটা সহজ নয়। অনুশীলন, নিয়মানুবর্তিতার সাথে দরকার সঠিক পুষ্টি যা শরীর কে রাখবে সবসময় রেডী। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সেরকমই ১০ টা টিপস যা প্রফেসানাল অ্যাথলিটদের পক্ষে আদর্শ।
১. কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরের প্রধান জ্বালানি। আমাদের শরীর এটা কে গ্লুকোজে পরিণত করে যা পেশী তে গ্লাইকোজেন রূপে থাকে। খেলার বা পারফরম্যান্সের ৩/৪ দিন আগে থেকে এটা প্রচুর পরিমাণে খেতে থাকুন। ডায়েটে প্রজাপতি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটের উৎস রাখুন।
২. বড়ো ইভেন্ট এর আগে কম করে ৩-৪ ঘন্টা আগে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যাতে সময় এলে পেট খালি থাকে। এতে পারফরমেন্সে তফাৎ পাবেন।
৩. শর্করা জাতীয় খাবার শরীরে জল এর চাহিদা বাড়ায় তাই খেলার আগে শর্করা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।
৪. সঠিক খাদ্যতালিকা তৈরি করুন। প্রত্যেক ১৫-২০ মিন অন্তর সাধারণ সময়ে কিছু স্ন্যাকস খান। জল খান প্রচুর পরিমাণে। জলের ঘাটতি শরীরে ক্লান্তি আনে। টান ধরে পেশিতে।
৫. সাপ্লিমেন্টস আজকের দিনে বহুল প্রচলিত। অনেকেই এর উপর ভরসা করে। চটজলদি প্রোটিন বা ফ্যাটের যোগান দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত খেলে এর থেকে শরীরের অন্য অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনার শরীরে কতটা দরকার, তা জেনে তবেই একে বাছুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৬. দুধ আর ডিম সুষম খাদ্য হিসেবে জানি। দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, হোয়ে প্রোটিন থাকে যা শরীরের জন্যে দরকারি। একই সাথে কার্বোহাইড্রেট বা প্রোটিনের জন্যে প্রাকৃতিক উৎস কে ব্যবহার করুন।খাবার প্লেটে বেশি করে মাছ, ডিম, দুধ, বাদাম রাখার চেষ্টা করুন।
৭. প্রসেসড খাবার খাওয়া কে না বলুন। চটজলদি এটা পাওয়া গেলেও এবং রান্না করা গেলেও শরীরের উপর এর তেমন উপযোগিতা নেই। চেষ্টা করুন একটা খাদ্যাভ্যাস তৈরি করার যে তালিকা আপনাকে সমস্ত দরকারি খনিজ ও কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাটের সুষম যোগান দেবে। প্রসেসড ফুড় থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
৮. চেষ্টা করুন ৮০%-২০% নিয়ম অনুযায়ী চলার। ৮০ শতাংশ খাবার খান সেগুলোই যা আপনাকে আপনার শরীর গঠনে সাহায্য করবে। ২০ শতাংশ খাবার খান আপনার পছন্দ ও স্বাদ অনুযায়ী।
৯. এটা তো কথাতেই আছে যে একটা আপেল দিনে খেলে আপনাকে ডক্টরের কাছে যেতে হবে না। ঠিক তাই, সুষম খাদ্যতালিকায় রাখুন ফল। মরসুমি ফল খাওয়ার অভ্যেস রাখুন। ফলের রসে প্রচুর ভিটামিন থাকে যা শরীরের পক্ষে দরকারি।
১০. পরিশেষে, যে কোনো ধরনের নেশা থেকে দূরে থাকুন।
ধূমপান হোক বা অ্যালকোহল, বা অন্য কোন নেশা, কোনোটাই আপনার শরীরের পক্ষে ভালো না। যারা খেলা কে নেশা আর পেশা বানিয়েছেন, চেষ্টা করুন এগুলো যেন আপনার সামনে বাধার সৃষ্টি না করে।