For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

অফিসেই হোক হেলদি ডায়েট

By Lekhaka
|

ঘড়ি ধরে দশটা পাঁচটা নয়, সকাল থেকে রাত প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা কাজ করে চলাই এখন সকলের রোজনামচা। তাই ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার কোনওটাই স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে হয়ে ওঠে না। তাই তো দ্রুতলয় জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে ফাস্ট ফুডই ভরসা। সপ্তাহের শেষে একদিনের ছুটিতে ব্যায়াম বা জিম কোনওটাতেই শরীর আর মন সায় দেয় না। ফলে কমছে শারীরিক সুস্থতা, বাড়ছে ডাক্তারের বিল। পকেটের সম্পদ বাড়াতে গিয়ে হারিয়ে ফেলছি আসল সম্পদকেই। তাই শরীরের হাজারো সমস্যা বাড়িয়ে নিজেকে শয্যাশায়ী না করতে চাইলে ঝটপট পড়ে ফেলুন বোল্ডস্কাই-এর এই বিশেষ প্রতিবেদন, যেখানে সন্ধান দেওয়া হয়েছে অফিসে সারাদিনের ব্যস্ততার মধ্যে কিভাবে সঠিক খাদ্যগ্রহণ করে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন। আসুন দেখা যাক।

১. বাড়ির বানানো খাবার

১. বাড়ির বানানো খাবার

শরীর সুস্থ রাখা তো বটেই পকেট সুস্থ রাখতেও বাড়ির বানানো খাবার খান। আমরা বাইরে থেকে যে সব খাবার কিনে খাই, তা বেশীরভাগ সময়েই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। ফলে, শরীরের বারোটা তো বাজেই, সাঙ্গে পকেটও গড়ের মাঠ। তাই বাড়ির পরিষ্কার পাত্রে পরিমিত মশলায় বানানো খাবারই অফিসে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

২. ডেস্কে জলের বোতল রাখুন

২. ডেস্কে জলের বোতল রাখুন

আমাদের বহুবিধ রোগ সারানোর অন্যতম উপায় হল প্রচুর পরিমাণে জল পান করা। সারাদিন কাজের চাপের মধ্যেও শরীর যাতে সতেজ থাকে তার জন্য সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ, জলের অভাবে ডিহাইড্রেশন হলে কাজ করার ক্ষমতা তো কমেই যায়, একইসঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনির সমস্যা এবং মাংসপেশীর নানা সমস্যা দেখা দেয়।

৩. বাদাম রাখুন স্ন্যাক্সে

৩. বাদাম রাখুন স্ন্যাক্সে

আমরা নিজেরাও জানিনা কখন হঠাৎ করে আমাদের খিদে পায়। অন্যদিকে অফিসের কাজের চাপে পেট ভরে খাবার খাওয়ারও সময় হয় না। হাতের কাছে চটজলদি বলতে তেলেভাজা, চিপস নয়ত কোল্ড ড্রিঙ্কস। এর ফলে শরীরের অবস্থা আরও খারাপ। তাই কাজের চাপেও শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে বাদ দিতে হবে তৈলাক্ত খাবার। বাদামে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। তাই যখন তখন খিদে মেটাতে ব্যাগে রাখাই যায় বাদাম, ছোলা জাতীয় পুষ্টিকর খাবারগুলি।

৪. পরিমাণ মতো ফল খান

৪. পরিমাণ মতো ফল খান

অফিসে যে কোনও সময় খিদে মেটাতে ফলের জুড়ি মেলা ভার। ফলের মধ্যে উপস্থিত ফাইবার শরীরের জন্য যেমন প্রয়োজনীয়, তেমনি শরীরকে ভালো রাখতে ফল খাওয়া একান্ত জরুরি। শরীরকে সবসময় ফিট রাখতে তাই প্রত্যেকেরই ফল খাওয়া উচিৎ। এছাড়াও প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সঙ্গে পরিমাণ মতো ফল আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৫. ঝটপট ওটমিল

৫. ঝটপট ওটমিল

কাজের চাপে যখন পঞ্চব্যঞ্জন খাওয়ার ফুরসত থাকেনা তখন পেট ভরানোর জন্য সবথেকে উপযোগী হল ওটমিল। সাধারণ ওট বাদাম এবং শুঁকনো ফলের সাথে খেলে পেটও ভরে আবার শরীরও সুস্থ থাকে। এছাড়া ওট আমাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে।

৬. জাঙ্ক ফুড বাদ দিন

৬. জাঙ্ক ফুড বাদ দিন

জাঙ্ক ফুড খেতে ভালবাসেন? তাহলে এবার থেকে খাওয়ার আগে দুবার ভাবুন। জাঙ্ক ফুড আমাদের শরীর শুধু নয়, আমাদের মানসিক দিক থেকেও দুর্বল বানিয়ে দেয়। চটজলদি জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে ফাস্ট ফুড আমাদের দিনে দিনে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এইসব খাওয়ার ফলে আমাদের মধ্যে স্থুলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্থ থাকতে হলে সবার আগে জাঙ্ক ফুডকে বিদায় জানাতেই হবে।

সবথেকে বড় কথা, শরীর হল ঈশ্বরের দান। তাকে সেবা করাই আমাদের কর্তব্য। তাই স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান এবং সুস্থ জীবনযাপন করুন।

Read more about: খাবার অফিস
English summary

বোল্ডস্কাই-এর এই বিশেষ প্রতিবেদনে সন্ধান দেওয়া হল অফিসে সারাদিনের ব্যস্ততার মধ্যে কিভাবে সঠিক খাদ্যগ্রহণ করে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন সে সম্পর্কে।

Watching what we eat is an art and a very necessary art indeed to lead a happy and healthy lifestyle. In this fast paced, stress-burdened modern world, sadly, eating right has taken a back seat, thus leading to a lot of health issues which might be irreversible.
Story first published: Thursday, July 6, 2017, 18:15 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion