Just In
অনিন্দ্রায় ভুগছেন? নিয়মিত করুন এই তিনটি আসন
অনিদ্রার সমস্য়া দূর করতে কয়েকটি ব্য়য়াম বেশ কাজে আসে। আরও জানতে পড়ে ফেলুন এই লেখাটি।
সম্প্রতি হওয়া কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত যোগাসন করলে শারীরিক সক্ষমতা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে অনিদ্রার সমস্য়াও দূরে পালায়। প্রসঙ্গত, শরীর ভালো রাখতে ঘুম খুব প্রয়োজনীয় একটি ফ্য়াকটার। কারণ রাতে যদি কম করে ৬-৮ ঘন্টা ঘুম না হয়, তাহলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে ত্বকের উপর। কেমন প্রভাব? দিনের পর দিন ঠিক মতো ঘুম না হলে স্কিন বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মনসংযোগ কমে গিয়ে দেখা দেয় আরও নানা সমস্য়া। এখন প্রশ্ন ঘুম এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? আসলে ঘুমনোর সময় আমাদের শরীর থেকে সব ক্ষতিকর টক্সিন যেমন বেরিয়ে যায়, তেমনি এই সময় শরীর তার ক্ষতের চিকিৎসা করে থাকে। তাই তো ভালো ঘুম হলে আমাদের এত ফ্রেশ লাগে।
কারও যদি ঘুম ঠিক মতো না হয়, তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। কারণ যেমনটা আগেও বলেছি এমনটা দিনের পর দিন চলতে থাকলে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই সাবধান! তবে এতটাও চিন্তার কোনও কারণ নেই। যদি দেখেন নিদ্রাদেব আপনার উপর তেমন একটা প্রসন্ন নেই, তাহলে শুরু করে দিন মাত্র তিনটি যোগব্য়য়াম, তাহলেই দেখবেন ঘুমে ভড়ে আসছে চোখ। আসলে যাগ ব্য়য়াম স্ট্রেস কমায়, সেই সঙ্গে মন এবং শরীরকে চাঙ্গা করে ঘুম আসার পথকে প্রশস্ত করে।
এই প্রবন্ধে এমন তিনটি আসন সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যেগুলি নিয়মিত করলে অনিন্দ্রার সমস্য়া কমে।
১.
মার্যারয়াসনা:
ক্য়াট
পোস
নামে
খ্য়াত
এই
আসনটি
নিয়মিত
করলে
মন
ও
শরীর
চাঙ্গা
হয়ে
ওঠে।
রাতে
ঘুমতে
যাওয়ার
আগে
এই
অসনটি
করতে
হবে।
জেনে
নিন
কীভাবে
করবেন
আসনটি:
নীল
ডাইন
হয়ে
বসে
হাতের
উপর
ভর
দিয়ে
সামনের
দিকে
একটু
ঝুঁকুন।
দৃষ্টি
থাকবে
সামনের
দিকে।
মনে
রাখবেন
আপনার
হাত
দুটি
যেন
কাঁধের
সঙ্গে
সমান
থাকে,
আর
দুটি
পায়ের
মধ্য়ে
ব্য়বধান
থাকবে
একটু
বেশি।
এখন
আপনাকে
একেবারে
একটি
বিড়ালের
মতো
দেখতে
লাগবে।
এমনভাবে
ভাবে
থাকলে
আপনার
বুক
মাটির
সঙ্গে
সমান
থাকবে,
আর
থাই
থাকবে
একেবারে
সোজা।
মনে
রাখবেন
আপনার
শরীরের
ভার
থাকবে
পিছনের
দিকে।
এমন
পজিশনে
থেকে
মাথাটা
সামনের
দিকে
নিয়ে
গিয়ে
আবার
পিছনে
নিয়ে
আসুন।
এমনটা
করলে
দেখবেন
আপনার
মেরুদন্ড
একবার
সামনের
দিকে
যাবে,
আর
একবার
পিছনে
আসবে।
এই
সময়
স্বাভাবিক
শ্বাস-প্রশ্বাস
নেবেন।
শরীর
যদি
নিতে
পারে
তাহলে
এই
আসনটি
কম
করে
২০
মিনিট
করুন।
শুধু
মনে
রাখবেন
যে
কোনও
আসন
খুব
শান্ত
ভাবে
করতে
হয়।
না
হলে
ভালো
ফল
পাওয়া
যায়
না।
এই
আসনটি
করলে
পিঠের
পেশিগুলি
এবং
মেরুদন্ড
খুব
আরাম
পাবে।
ফলে
শরীরের
ক্লান্তি
দূর
হয়ে
ঘুম
এসে
য়াবে।
প্রসঙ্গত,
ক্য়াট
পোজ
করার
সময়
খেয়াল
রাখবেন
হাঁটুর
উপর
যেন
অতিরিক্ত
চাপ
না
পড়ে।
২.
বিটিলাসন:
এই
আসনটি
কাউ
পোজ
মানেও
পরিচিত।
মাথা
ঠান্ডা
করার
পাশাপাশি
ঘুম
আসতে
সাহায্য়
করে
এই
আসনটি।
করবেন
কীভাবে
কাউ
পোজ?
জেনে
নিন:
আসনটি
শুরু
করার
আগে
শরীটা
টেবিল
যেমন
থাকে
সেই
মতো
করে
ফেলুন।
অর্থাৎ
হাঁটুর
উপর
ভর
দিয়ে
দাঁড়ান।
মনে
রাখবেন
কব্জি
এবং
কুনুই
যেন
একেবারে
সোজা
থাকে।
আর
মাথা
থাকবে
একেবারে
সোজা।
দৃষ্টি
থাকবে
মাটির
দিকে।
এইবার
পেটটা
মাটির
দিকে
নিয়ে
যাওয়ার
সময়
বুকটা
সিলিং-এর
দিকে
তুলুন।
আর
দৃষ্টি
রাখুন
একেবারে
সোজা।
শ্বাস-প্রাশ্বাস
স্বাভাবিক
রাখতে
রাখতে
১৫-২০
মিনিট
আসনটি
করুন।
দেখবেন
ভালো
ফল
পাবেন।
অধো
মুখ
সভনাসনা:
অধো
কথার
অর্থ
হল
সামনের
দিকে,
মুখ
কথার
মানে
হল
ফেস।
আর
সভনা
কথার
অর্থ
হল
কুকুর।
তার
মানে
কী
দাঁড়াল,
এই
আসনটি
যখন
করবেন
তখন
একবারে
কুকুরের
মতো
দেখতে
লাগবে।
আসনটি
করার
পদ্ধতি:
হাত এবং পায়ের উপর ভড় দিয়ে দাঁড়ান। এই সময় আপনাকে অনেকটা টেবিলের মতো দেখতে লাগবে। এবার শ্বাস নিতে নিতে কুনুই এবং হাঁটু সোজা করুন। এবার আপনার দেখতে অনেকটা ইংরেজির উল্টো ভি-এর মতো দেখতে লাগবে। এবার ঘারটা সামনের দিকে নিয়ে যেতে যেতে হাতের উপর জোর দিন। এইভাবে এক মিনিট বা তার একটু বেশি সময় থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। এই আসনটি নিয়মিত করলে শরীর পক্ষে ক্ষতিকর এমন উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়, ফলে ঘুম ভালো হয়।