Just In
- 4 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 4 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 6 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 10 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
Papaya Side Effects: সকলের জন্য পেঁপে নিরাপদ নয়, ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ! জানুন কাদের পেঁপে খাওয়া উচিত নয়
ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর পেঁপে অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। এই মিষ্টি স্বাদের ফলটি প্রায় সারা বছরই মার্কেটে পাওয়া যায়। স্যালাডে দিয়ে, জুস বা স্মুদি বানিয়ে, কিংবা তরকারি রান্না করে, যে কোনও পদ্ধতিতে খেলেই পেঁপে আমাদের শরীরে হাজারো উপকার প্রদান করে। বিশেষত যারা পেটের সমস্যায় ভোগেন, তাদের নিয়মিত পেপে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। পেঁপে পেট ঠান্ডা রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমায়।
কিন্তু সকলের জন্য পেঁপে নিরাপদ নাও হতে পারে, তা সে কাঁচা হোক বা পাকা। কারও কারও ক্ষেত্রে এই স্বাস্থ্যকর ফলটিও নানা জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কাদের একেবারেই পেঁপে খাওয়া উচিত নয়।
গর্ভবতী মহিলা
গর্ভবতী মহিলাদের পেঁপে না খাওয়াই ভালো। এই মিষ্টি ফলের মধ্যে ল্যাটেক্স থাকে, যার ফলে জরায়ু সংকোচন হতে পারে এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগে সন্তানের জন্মও হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া, এর কিছু উপাদান ভ্রুণের ক্ষতিও করতে পারে।
অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমাতে পেঁপে দারুণ কার্যকরী, তবে আপনার যদি অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যা থাকে, তাহলে পেঁপে এড়িয়ে চলাই ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপেতে অল্প পরিমাণে সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড রয়েছে। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা মানুষের পাচনতন্ত্রে হাইড্রোজেন সায়ানাইড তৈরি করতে পারে। যদিও এই উৎপাদিত যৌগের পরিমাণ স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ক্ষতিকর নয়, তবে এর অতিরিক্ত মাত্রা হৃদস্পন্দনের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
অ্যালার্জি হতে পারে
পেঁপেতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যার কারণে কারও কারও অ্যালার্জি হতে পারে। এটি খেলে হাঁচি, কাশি, চোখে জল, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে।
কিডনিতে পাথর থাকলে খাবেন না
পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি অত্যধিক গ্রহণের ফলে ক্যালসিয়াম অক্সালেট কিডনি স্টোন তৈরি হতে পারে। এমনকি এটি পাথরের আকার বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে পাথর বার করাও কঠিন করে তোলে।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের পেঁপে খাওয়া খুব ভালো, কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কিন্তু যারা ইতিমধ্যেই লো ব্লাড সুগার বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য পেঁপে ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ এই মিষ্টি স্বাদের ফলটিতে অ্যান্টি-হাইপোগ্লাইসেমিক বা গ্লুকোজ-হ্রাসকারী প্রভাব রয়েছে। এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে আরও কমিয়ে দিতে পারে, যার ফলে বিভ্রান্তি, কাঁপুনি এবং দ্রুত হৃদস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা দেয়।