For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

শসা খান নাকি?

শসার শরীরে এত মাত্রায় জল আছে, প্রায় ৯৬ শতাংশ, যে খুব সহজেই জলের ঘাটতি দূর করে ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা কমানো সম্ভব।

By Nayan
|

আজ অফিস থেকে ফেরার সময় একবার মোর অথবা স্পারে ঢুঁ মারবেন তো। কেন বলুন তো? কী আছে আজ? স্পেশাল কোনও অফার দিচ্ছে নাকি? শোনেন নি? না তো! আরে আজ যে কোনও সুপার মার্কেটে গিয়ে ১ কেজি শসা কিনলেই আজীবন সুস্থ থাকার ওয়ারেন্টি কার্ড হাতে এসে যাবে। মানে! বুঝলেন না তো?

আরে মশাই শসার শরীরে রয়েছে একাধিক পুষ্টিকর উপাদান। তার উপর দামও খুব একটা বেশি নয়। তাই নিয়মিত যদি শসা খেতে পারেন, তাহলে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না, এমনটাই দাবী করছেন চিকিৎসকেরা।

কথাটা যে ভুল, এমন নয় যদিও। একাদিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত শসা খাওয়ার অভ্যাস করলে একাধিক উপাকার পাওয়া যায়। যেমন...

১. শরীরে জলের অভাব হয় না:

১. শরীরে জলের অভাব হয় না:

দেহের অন্দরে জলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। না হলে শরীর শুকিয়ে গিয়ে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তো প্রতিদিন শসা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। তাদের মতে শসার শরীরে এত মাত্রায় জল আছে, প্রায় ৯৬ শতাংশ, যে খুব সহজেই জলের ঘাটতি দূর করে ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা কমানো সম্ভব।

২. দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে:

২. দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে:

খাতায়-কলমে এখন বর্ষাকাল। কয়েকদিন তোলপার করা বৃষ্টি হয়েছিল বটে। কিন্তু অবস্তা যে কে সেই! প্রতিদিন গরম যাচ্ছে বেড়ে। এমন অবস্থায় দেহের তাপামাত্রা স্বাভাবিক রাখতে শাসা খাওয়াটা জরুরি। কারণ শসা দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে সানস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে ত্বক পুড়ে গেলেও শসা লাগাতে পারেন। কারণ পোড়া ভাব কমাতে শসা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. শরীরকে বিষমুক্ত করে:

৩. শরীরকে বিষমুক্ত করে:

শসার শরীরে উপস্থিত বিপুল পরিমাণ জল দেহের অন্দরে প্রবেশ করা মাত্র ইতি উতি জমে থাকা টক্সিক উপাদনকে ধুয়ে মুছে বার করে দেয়। ফলে শরীরে বিষের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে কোনও ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৪. ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে:

৪. ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে:

শরীরকে সচল রাখতে ভিটামিনের প্রয়োজন পরে। সেই ভিটামিনের যোগান ঠিক রাখতে শাসা খাওয়া মাস্ট! কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি এবং এ থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি এনার্জির ঘাটতি দূর করতে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য় বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. খনিজের ঘাটতি মেটায়:

৫. খনিজের ঘাটতি মেটায়:

খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই ত্বকের পরিচর্যায় শসাকে কাজে লাগিয়ে থাকেন। কেন এমনটা করেন, জানেন? আসলে শসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম,পটাসিয়াম এবং সিলিকন। এই সবকটি খনিজ শরীরের উন্নতির পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যদি অল্প দিনেই তরতাজা ত্বক পেতে চান, তাহলে আজ থেকেই কাজে লাগানো শুরু করতে পারেন শসাকে।

৬. ওজন কমাতে সাহায্য করে:

৬. ওজন কমাতে সাহায্য করে:

অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে সকাল-বিকাল শসা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ শসাতে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরে মজুত অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:

৭. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:

বর্তমানে ভারতের যা পরিস্থিতি তাতে সকলেরই অতিরিক্ত সাবধান থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। কারণ প্রথম সারির গবেষকদের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে প্রতি বছর ভারতবর্ষে নতুন করে ক্যান্সার রোগে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ২০২০ সালে আকাশ ছোঁবে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। তাই সেই সব খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত যাতে এই মারণ রোগ দূরে থাকে। আর এক্ষেত্রে শসাকে বাদ দেওয়া কোনও ভাবেই চলবে না। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে শসাতে এমন কিছু উপাদান আছে, যা ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে।

English summary

শসার শরীরে রয়েছে একাধিক পুষ্টিকর উপাদান। তার উপর দামও খুব একটা বেশি নয়। তাই নিয়মিত যদি শসা খেতে পারেন, তাহলে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না, এমনটাই দাবী করছেন চিকিৎসকেরা।

Pick a firm, dark green cucumber and pop it into your shopping basket. Congratulations! You have just bought yourself a fruit (yes, the cool cuke is fruit, not a vegetable) full of good health!
Story first published: Tuesday, August 1, 2017, 18:32 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion