Just In
কোন কোন উপসর্গ দেখলে বুঝবেন শরীরের আরও বিশ্রামের প্রয়োজন? জেনে নিন
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাঁরা সারা রাত বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করতে থাকেন। অনেক চেষ্টার পরও ঘুম আসে না। সময় মতো বিছানায় যান ঠিকই কিন্তু ঘুম আসতে চায় না কিছুতেই। ঘুমের জন্য অপেক্ষা করতে করতে রাতের প্রায় অর্ধেকটাই পার হয়ে যায়। অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলে শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে, অনিদ্রাজনিত অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে।
প্রাপ্তবয়স্কদের রাতে প্রায় সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্বাস্থ্য এবং কর্মক্ষমতার উপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। নিম্নলিখিত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনও একটি দেখা দিলেই বুঝবেন আপনার শরীরে আরও ঘুমের প্রয়োজন -
অ্যালার্ম ঘড়ির উপর নির্ভরশীল হলে
পর্যাপ্ত ঘুম হলে আপনি কোনও অ্যালার্ম ছাড়াই সময়মতো ঘুম থেকে উঠতে পারবেন। ঘুম থেকে ওঠার আগে বারবার স্নুজ বোতাম টেপা হল অপর্যাপ্ত ঘুম বা ঘুমের অভাবের স্পষ্ট লক্ষণ।
তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় কাজ করা
শরীর ক্লান্ত থাকলে বা ঘুমের অভাব হলেই যে কোনও কাজ করার সময় ঝিমুনি অথবা তন্দ্রা বোধ হবে। এক সময় হয়ত আপনি ঘুমিয়েই পড়বেন।
সারা দিন চা, কফি পান করা
সকালে চোখ খুলেই এক কাপ বেড টি কিংবা কফির কাপে চুমুক দেওয়া অনেকেরই অভ্যাস। কিন্তু শরীরে এনার্জি যোগাতে ও জেগে থাকার জন্য সারা দিন ধরে চা, কফি পান করা একেবারেই উচিত নয়। এছাড়া, ঘুম ঠিক মতো না হলে সারা ক্ষণ ভাজাভুজি এবং জাঙ্ক ফুড খেতে মন চায়।
বারবার ভুল করা
শরীর ক্লান্ত থাকলে, ঘুম ঠিকমতো না হলে কোনও কাজে ফোকাস করা যায় না এবং একাগ্রতার অভাব দেখা দেয়। যে কারণে কাজে বারবার ভুল হয় এবং আপনি সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারেন। এছাড়াও, ঘুমের অভাব হলে স্মৃতিশক্তির ওপরও খারাপ প্রভাব পড়ে।
মেজাজ ঠিক থাকে না
অপর্যাপ্ত ঘুম কিংবা শরীর ক্লান্ত থাকলে মেজাজও ঠিক থাকে না। ফলে বিষণ্ণ, উদ্বিগ্ন বা হতাশ বোধ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়া
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও থাকে না। যে কারণে শরীর কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না।