Just In
শরীরে কি জলের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে? বুঝে নিন এই ৭টি লক্ষণ দেখে
সুস্বাস্থ্যের জন্য যেমন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবারের প্রয়োজন, ঠিক তেমনই সঠিক পরিমাণ জলেরও প্রয়োজন হয়। দেহে জলের অভাব দেখা দিলে নানান শারীরিক সমস্যা হয়। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না গেলে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা থাকে, মানব দেহের শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ ব্যাহত হতে পারে।
শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এমনকি ত্বক এবং চুল, সব ক্ষেত্রেই জলের ভূমিকা অপরিসীম। দেহে জলের ঘাটতি দেখা দিলে, শরীর কিন্তু বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে তা আগাম জানান দেয়। এই উপসর্গগুলি দেখে দিলেই সতর্ক হন।
১) মূত্রত্যাগের সময় জ্বালাভাব
মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে টক্সিন বের হয়ে যায়। তবে জল কম পান করলে, ইউরিন কম হয়। এছাড়াও, মূত্রের রং গাঢ় হলুদ হয় এবং জ্বালাভাব অনুভূত হয়।
২) ত্বকের উজ্জলতা হ্রাস পায়
শরীরে যদি টক্সিন জমে থাকে, তাহলে তা ত্বকের ওপরেও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারায়, রিঙ্কেলস পড়তে শুরু করে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের অভাবে ত্বক শুষ্ক-রুক্ষ এবং খসখসে হয়েও উঠতে পারে।
৩) মাথা ধরা ও ক্লান্তি ভাব
মাইল্ড ডিহাইড্রেশনের ফলে মাথা ধরা এবং ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে। ঘাম, মল-মূত্র ত্যাগ এমনকী শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গেও শরীর থেকে কিছুটা জল বেরিয়ে যায়। শরীরে জলের সেই অভাব পূরণ না হলে মাথা ধরা, ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়াও, মনোসংযোগের অভাব এবং বিরক্তিবোধও দেখা দিতে পারে।
৪) মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়
যারা ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন, তাদের মিষ্টি বা নোনতা জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়। লিভার জলের সাহায্যে গ্লাইকোজেন তৈরি করে, যা শরীরে এনার্জি জোগায়। কিন্তু আমাদের শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে লিভার ঠিক মতো কাজ করে না। ফলে শরীরের আরও বেশি খাবারের প্রয়োজন হয়। তাই নোনতা স্ন্যাকস, চকোলেট, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়।
৫) মুখে দুর্গন্ধ হওয়া
লালা তৈরি করতে এবং মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে জল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে জল পান কম হলে কম লালা তৈরি হয় এবং মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলে মুখে দুর্গন্ধ ছড়ায়। তাই দৈনিক জল পান করার পরিমাণ বাড়ান। ফল হাতেনাতে পাবেন।
৬) কোষ্ঠকাঠিন্য
জল কম পান করলে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোলন জল শোষণ করে এবং এখানেই শরীরের কঠিন বর্জ্য জমা থাকে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে, শরীর মল থেকে জল শোষণ করে নেয়। ফলে মল কঠিন হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। তাই বেশি করে জল পান করুন, হজম ভাল হবে এবং মলও নরম থাকবে।
৭) ঘনঘন অসুস্থ হয়ে পড়া
জল শরীর থেকে টক্সিন, ব্যাকটেরিয়া এবং বিভিন্ন বর্জ্য বের করে দিতে পারে। জল কম পান করলে শরীর থেকে ওই বিষাক্ত পদার্থগুলি বেরোয় না। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হতে শুরু করে। তাই অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।