Just In
Fat Deficiency : শরীরে ফ্যাটের অভাব হয়েছে? যে ৫ লক্ষণ দেখে বুঝবেন!
অনেকেই মনে করেন যে, ফ্যাট আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব খারাপ, দ্রুত ওজন বাড়াতে সক্ষম, এটি শরীরের ক্ষতি করে। তাই, যতটা সম্ভব কম গ্রহণ করা উচিত এটি। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। ফ্যাট শরীরের জন্য উপকারি। প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের মতো ফ্যাটও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট। শরীর সুস্থ রাখতে গেলে পর্যাপ্ত ফ্যাটের অত্যন্ত প্রয়োজন, নইলে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট বেশি গ্রহণ করলে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা এবং শরীরের আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এমন অনেক ধরণের ফ্যাট রয়েছে, যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ না করলে কোনও ভিটামিনই শরীরে ঠিকমতো শোষিত হবে না। ক্ষত নিরাময়, রক্ত জমাট বাঁধা, ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের মতো হরমোনগুলির সঠিক উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন হয়। চোখ ও মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতার জন্যও ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন। আসুন জেনে নেওয়া যাক, শরীরে ফ্যাটের অভাব হলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে -
ত্বকের সমস্যা
গবেষণা অনুযায়ী, শরীরে ফ্যাটের ঘাটতি হলে সর্বপ্রথম এর প্রভাব দেখা যায় ত্বকে। পর্যাপ্ত ফ্যাটের অভাবে ত্বকে শুষ্ক ব়্যাশ, স্ক্যালি স্কিন, ডার্মাটাইটিস বা ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক, নিষ্প্রাণ ও নির্জীব।
চুল পড়া
প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক এক প্রকার ফ্যাট অণু স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ফ্যাট গ্রহণ না করলে, চুলের ফলিকল এবং শ্যাফ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে চুল ঝরা এবং চুলের অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
হরমোনজনিত সমস্যা
এন্ডোক্রাইন সিস্টেম হরমোন উৎপাদন করে। এই সিস্টেমের সঠিক কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজন ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি এবং সেলেনিয়াম। ফ্যাটের অভাবে এই সব ভিটামিনের ঘাটতি হতে পারে, যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে। এমনকি সেক্সুয়াল এবং মেন্টাল ফাংশনের উপরও প্রভাব পড়তে পারে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করছেন তো? নাহলে এই মারাত্মক সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে
ক্লান্তি
শরীরে ফ্যাটের ঘাটতি হলে ক্লান্তি, দুর্বলতার মতো সমস্যা হতে পারে। মানসিক এবং শারীরিক ক্লান্তি, উভয়ই হতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়া
পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি, ফলমূল এবং কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার পরও যদি ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে শরীরে ফ্যাটের ঘাটতি হয়েছে কী না তা চেক করিয়ে নিন। ফ্যাটের অভাবে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তাই এই ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিন হরেক রকমের বাদাম ও বীজ খান।