Just In
পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করছেন তো? নাহলে এই মারাত্মক সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে
সুস্বাস্থ্য গড়ে তোলার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ, কিন্তু আমরা অনেকেই এই দিকে নজর দিই না। দৈনন্দিন জীবনে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে গেলে যেমন শরীরে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে, ঠিক তেমনই প্রোটিনের অভাবজনিত কারণেও শরীরে নানান জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করুন।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সঠিক পরিমাণে প্রোটিনের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরী। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে, পেশীর সমস্যা, ত্বক-চুল-নখ এবং অপুষ্টিজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। জেনে নিন, প্রোটিনের ঘাটতির ফলে আরও কী কী শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রোটিনের ঘাটতি কী?
এক কথায় বলতে গেলে, যখন আপনার খাদ্য গ্রহণ থেকে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন পায় না তখন শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। আনুমানিক কয়েকশো কোটি মানুষ আজ প্রোটিনের ঘাটতির শিকার। প্রোটিনের ঘাটতির ফলে শরীরে নানারকম রোগ দেখা দেয়।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়! দেখুন কী কী সমস্যা হতে পারে
প্রোটিনের অভাবজনিত লক্ষণগুলি কী কী?
১) এডিমা বা ফোলা ভাব
এটি শরীরে প্রোটিনের ঘাটতির একটি সাধারণ লক্ষণ। এক্ষেত্রে হাত, পা, পায়ের পাতায় ফোলাভাব লক্ষ্য করা যায়। এটি প্রধানত টিস্যুগুলিতে তরল জমার কারণে ঘটে। শরীরের অন্যান্য অংশে অস্বাভাবিক ফোলা লক্ষ্য করলে, অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২) ক্লান্তি ভাব
শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না পেলে, পেশী এবং চলাফেরায় প্রভাব পড়তে পারে। প্রোটিন পেশী এবং টিস্যুগুলকে মেরামত করতে সহায়তা করে। তাই সঠিক পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ না করলে শরীর সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এটি মেটাবলিজম-এও প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি অনুভব হয়।
৩) ত্বক, চুল এবং নখের সমস্যা
প্রোটিন আমাদের ত্বক, চুল এবং নখ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রোটিনের অভাব দেখা দিলে ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক, নখ ভেঙে যাওয়া, চুলের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন - চুল পড়া শুরু হতে পারে।
৪) খিদে বেড়ে যাওয়া
প্রোটিন হল শরীরের প্রধান জ্বালানি। এটি শরীরে ক্যালোরি সরবরাহ করে। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ না করেন, তবে অবিরাম ক্ষুধার অনুভূতি বোধ হতে পারে। যার ফলে খাবার খাওয়ার পরিমাণও বেড়ে যাওয়ার, সাথে ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রাও অত্যধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
এই ফলগুলো কখনই একসঙ্গে খাবেন না, স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে
৫) ফ্যাটি লিভার
প্রোটিনের ঘাটতির আরও একটি সাধারণ লক্ষণ হল, ফ্যাটি লিভার। এর ফলে লিভারের কোষগুলিতে ফ্যাট জমা হয়। এটি স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৬) পেশী ভর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
পেশীর বেশিরভাগই প্রোটিন দ্বারা গঠিত। তাই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে, পেশীর গঠন ব্যাহত হয়। পেশী ভর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আসলে, প্রোটিনের ঘাটতির প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম।
৭) হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়
প্রোটিন হাড়ের শক্তি এবং ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে। শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না পেলে, হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে ফ্র্যাকচার বা ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
৮) সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়
প্রোটিনের ঘাটতি, অপুষ্টির অন্যতম লক্ষণ। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনের অভাবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে নানান রকম সংক্রমণের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।