Just In
দিনের অনেকটা সময় ইয়ারফোন ব্যবহার করেন? অজান্তেই ডেকে আনছেন বড় বিপদ!
প্রযুক্তির যুগে মোবাইল, কম্পিউটারের পাশাপাশি ইয়ারফোন বা হেডফোনও আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। অফিস হোক বাড়ি, দিনের অনেকটা সময়েই আমাদের কানে থাকে ইয়ারফোন। রাস্তার কোলাহল, ট্রেন-বাসের হর্ন-এর আওয়াজ এড়াতে হেডফোনকেই আমরা কাছে টেনে নিয়েছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় এই ধরনের যন্ত্র কানে লাগিয়ে রাখার ফলে বড় বিপদ হতে পারে। ইয়ারফোনের উচ্চ শব্দে কানের পর্দার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। এমনকি আপনি কানে শোনার ক্ষমতাও হারাতে পারেন। তাই আজই সাবধান হোন!
আসুন জেনে নেওয়া যাক, দীর্ঘ সময় হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে -
কানে ইনফেকশন
ইয়ারফোন বা হেডফোন সরাসরি কানের ভেতরে প্লাগ করার কারণে কানে বায়ু চলাচল ঠিকমতো হয় না। আর বায়ু চলাচলে বাধা পড়ার কারণে কানের ভিতরের আর্দ্র পরিবেশে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। যে কারণে কানে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বা ইনফেকশন হতে পারে।
ইয়ারফোন বেশি ব্যবহার করলে কানে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, ফলে কানে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া, ইয়ারফোন কারুর সঙ্গে শেয়ার করাও উচিত নয়, কারণ আপনার কান থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ইয়ারফোনের মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির শরীরে পৌঁছাতে পারে।
কানে ব্যথা
দীর্ঘ সময় ধরে ইয়ারফোন ব্যবহার করলে কান ও সংলগ্ন এলাকায় মারাত্মক যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। ইয়ারফোনের অতিরিক্ত শব্দ সরাসরি কানে যাওয়ার কারণে কর্ণকুহরে চাপ পড়ে, ফলে কানে ব্যথা হয়। এছাড়া, ইয়ারফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার বৃদ্ধি করতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যাও।
মাথা ঘোরা
ইয়ারফোনের অত্যধিক ব্যবহারের ফলে মাথা ঘোরা ও মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইয়ারফোনের উচ্চ শব্দের কারণে কর্ণকুহরে চাপ পড়ে মাথা ঘোরা শুরু হয়।
ঘন ঘন কটন বাড ব্যবহার করেন কানে? সাবধান! শ্রবণশক্তি হারাতে পারেন
শ্রবণশক্তি হ্রাস
দিনের পর দিন উচ্চ আওয়াজে ইয়ারফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একটানা উচ্চ শব্দে কানের কোষগুলির স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। কানের স্নায়ুগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে কানে শোনার ক্ষমতা চলে যেতে পারে।
মনঃসংযোগের অভাব
ইয়ারবাড বা ইয়ারফোনের শব্দ কানের পর্দায় খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। এই শব্দ কান থেকে মস্তিষ্কে যায় এবং আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, যার ফলে মনোযোগের অভাব হয়। ইয়ারফোনের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে ফোকাস এবং একাগ্রতার অভাব দেখা দেয়।