Just In
- 4 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 6 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 6 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 23 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
পাহাড় সমান দুঃখের মাঝে খুশির সন্ধান দিতে পারে এই ৮ টি সহজ পদ্ধতি!
আমরা খুশি হতে চাই। কিন্তু হব কীভাবে, তার উত্তর কারও কাছেই নেই। তাই তো আমরা সবাই অন্ধের মতো এদিক সেদিকে ঘুরে বেরাই এক মুহূর্ত খুশির সন্ধানে। তবে আর নয়! এবার আমাদের জানতেই হবে খুশির সেই শতাব্দী প্রাচীন ফর্মুলা সম্পর্কে, যা মেনে চললে নাকি দুঃখের পাহাড় পেরতে কোনও কষ্টই হয় না।
সত্যিই কি এমন কোনও ফর্মুলা আছে, যা মেনে চললে খুশির সন্ধান মেলে? একেবারেই! আর সেই ফর্মুলারই তো সন্ধান দেওয়া হল এই প্রবন্ধে। তবে একটাই অনুরোধ। জীবনের পরিধি কতটা, তা আমরা কেউই জানি না। তাই আর সময় নষ্ট নয়, এখন, এই মুহূর্ত থেকেই খুশি থাকার চেষ্টায় লেগে পরুন। না হলে সুযোগ হয়তো নাও পেতে পারেন।
যত দিন বাঁচবেন, তত দিন যদি মনকে দুঃখের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে চান, তাহলে মেনে চলতে হবে এই নিয়মগুলি।
১. গোমড়া মুখোদের সঙ্গ ছাড়ুন:
সৎ সঙ্গে থাকলে যেমন স্বর্গবাস সম্ভব হয়, তেমনি হাসিখুশি মানুষের সঙ্গে থাকলে খুশির সন্ধান পেতেও কষ্ট হয় না। আসলে খুশি থাকাটা অনেকটা সংক্রমণের মতো। তাই দেখবেন কাউকে হাসতে দেখলে আপনা থেকেই আমাদের মনও খুশি হয়ে যায়। আর এই যুক্তিটিকে আধুনিক বিজ্ঞানও মান্যতা দিয়েছে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে আমরা কী পরিবেশে দিনের বেশিটা সময় কাটাচ্ছি, তার উপর আমাদের সুখ-দুঃখ অনেকাংশেই নির্ভর করে। তাই দুখি মামনুষদের সঙ্গে ছেড়ে আজ থেকেই জীবনের বাকি পথটা যতটা সম্ভব "হাসমুখ" লোকেদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করুন। দেখবেন দুঃখ এলেও তার আঁচ আপনার গায়ে লাগবে না।
২. যে সম্পর্ক খুশি দেয় না তা থেকে বেরিয়ে আসুন:
এই কথাটা বলাটা যতটা সহজ, করাটা ততটাই কটিন। কিন্তু খুশি থাকতে গেলে যে করতেই হবে বন্ধুরা! আর যে কোনও উপায় নেই। কারণ যে সব মানুষেরা সারা দিন তাদের জীবনকে পিষে চলেছেন তাদের সঙ্গে থাকলে আপনার মনও খারাপ হয়ে যাবে। আর মন খারাপ নিয়ে বাঁচাটা যে বড়ই কঠিন। আর যদি একান্তই এমন মানুষদের সঙ্গে ছাড়া সম্ভব না হয়, তাহলে যতটা কম সময় পারবেন এমন মন খারাপ করা মানুষদের থেকে দূরে থাকবেন। কারণ ভুলে যাবেন না খুশি যেমন সংক্রমক, তেমনি দুঃখও কিন্তু!
৩. "না" বলাটা খুব জরুরি:
ছোট থেকে আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো এই কথাটা শুনে আসছেন। কিন্তু করতে পারছেন কজন বলুন। আমরা প্রায় সবাই আমাদের আশেপাশের লোকেদের খুশি করতে গিয়ে নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে এমন অনেক কাজ করে থাকি, যা হয়তে বাকিদের আনন্দ দেয়, কিন্তু দিনের শেষে আমরা নিজেরাই অখুশি হয়ে পরি। যেমন ধরুন, আমাদের মাঝে মধ্যেই সামাজিকতার খাতিরে এমন আত্মীয়ের বাড়ি যেতে হয় যারা আমদের পছন্দ করেন না। তবু তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে হয়। এতে পরিবারের বাকিরা খুশি হয় ঠিকই। কিন্তু আমাদের মনের খোঁজ কি কেউ রাখে? তাই না বলতে শিখুন। সহজ কথায়, যেখানে খুশি নেই সেখানে যেতে নেই।
৪. নিজের হাজারো প্রতিবন্ধকতাকে দূর করুন:
"এই চাকরিটা পেলেই আমি খুশি হয়ে যাব।" "যেদিন এই বাড়িটা কিনতে পারবো, সেদিন আমার থেকে খুশি আর কেউ হবে না।" এমনভাবে কি আপনিও খুশির সন্ধান করে থাকেন নাকি? তাহলে আজ থেকেই এই অভ্য়াস ছাড়ুন। কারণ এইভাবে নিজের সামনে স্বপ্নের গাজর ঝুলিয়ে কোনও দিনই আপনি খুশির সন্ধান পাবেন না। কারণ খুশি কোনও চার্গেট নয়, এটা একটা অনুভূতি। তাই নিজেকে টার্গেটের চক্করে বেঁধে ফলবেন না। একবার ভাবুন তো আপনি যদি এই টার্গেটগুলো পূরণ করতে না পারেন, তাহলে কী করবেন? তাহলে কী কোনও দিনই খুশি হবেন না। তাই রোজকার জিনিসের মধ্যে খুশির সন্ধান করা শুরু করুন, দেখবেন দুঃখ আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
৫. খুশি থাকার অভ্যাস করাটা জরুরি:
মানে! ঠিক বুঝলাম না। একেবারেই ঠিক শুনেছেন। খুশি থাকতে গেলে তার প্র্য়াকটিস করতে হবে। আর এই কাজটা করবেন কীভাবে? খুব সহজ! অর্থবান লোকেরা যেমন সব সময় টাকার কথা বলেন। স্বাস্থ্যবান যেমন শরীরের, তেমনি খুশি মনের মানুষের সব সময় এমন কথা বলেন যাতে বাকি সবাই খুশি হন। আর যেমনটা আগেও বলেছি আশেপাশের লোকেরা খুশি হবে তো আপনা থেকে আপনার মনও খুশি হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, আরেকভাবেও খুশি থাকার প্র্যাকটিস করতে পারেন। ধরুন আপনার গিটার বাজাতে ভাল লাগে। তাহলে যখনই সুযোগ পাবেন গিটার বাজান। কারও ধরুন বই পড়তে অথবা পার্কে হাঁটতে ভাল লাগে, তাহলে সেই কাজটাই করুন। এমনটা করতে থাকলে দেখবেন এক সময়ে গিয়ে খুশি থাকাটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে।
৬. মন খারাপকে এতটাই চেপে ধরুন যাতে সে পালাতে বাধ্য হয়:
শুনতে হয়তে একটু আজব লাগছে। কিন্তু বিশ্বস করুন এটা দুঃখকে দূরে রাখার একটা অসাধারণ উপায়। সাইকোলজিস্টরা বলেন, যেটায় ভয় হয় সেটা থেকে পালাবেন না। বরং তার সামনাসামনি হন, তাহলে দেখবেন ভয় পালিয়ে যাবে। একইভাবে যে কারণেই মন খারাপ হোক না কেন, সেই মন খারাপের মুহূর্তটাকে ভাল করে অনুভব করুন। এমনটা করলে দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে।
৭. দয়াবান হতে শিখুন:
দলাই লামা বলেন, "অন্যকে ক্ষমা করতে পারলেই আনন্দের সন্ধান পাবেন।" কথাটা ঠিক। কিন্তু করাটা বাস্তবিকই খুব কঠিন। যে মানুষগুলোর জন্য আমি আজ এতটা কষ্টে আছি, তাদের ক্ষমা করা কি সম্ভব? হয়তো নয়। কিন্তু করতে যে হবে বন্ধরা। কারণ মনে বিষের পরিমাণ বাড়লে যে খুশির পরিমাণ কমে যায়ে।
৮. দিল তো বাচ্চা হে জি:
বাচ্চারা যখন খুব কাঁদে তখন কী করেন? হাতে একটা লজেন্স ধরিয়ে দেন, আর আমনি কান্না হাসিতে বদলে য়ায়। তাই না! তেমনি মন যখনই দুঃখে থাকবে তখনই ভাল সময়ের কথা ভাববেন। দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে। একবার একজন সংবাদিককে সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছিল, "যখন আমার ব্যাটিং ভাল যেত না, তখন আমি সেঞ্চুরি করা ম্যাচগুলির ভিডিও দেখতাম। তাতে ব্য়াটিং-এ উন্নতি না ঘটলেও পারফরমেন্স ভাল করাল জন্য মনের জোর খুব বেড়ে যেতে।" কী বুঝলেন। মনও একটা বাচ্চারই মতো, তাকে যদি ভুলিয়ে রাখতে পারেন তাহলেই কেল্লাফতে!