Just In
"বাহুবলী"র মতো বডি বানাতে চান নাকি? জেনে নিন প্রভাসের সিক্রেট ডায়েট চার্ট এবং শরীরচর্চা সম্পর্কে!
সিনেমাটি শরুর আগে ৮২ কিলো ওজন ছিল প্রভাসের, যা প্রায় ১৫০ কিলোর কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য় স্থির করেছিলেন বাহুবলী।
ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে ২০০০ কোটি টাকার উপরে ব্যবসা করে ফেলা বাবুবলি ২-এর সুপার স্টার প্রভাসের বিষয়ে জানার আগ্রহ এতটাই তুঙ্গে উঠছে যে গুগল পর্যন্ত সামলে উঠতে পারছে না। কেউ জানতে চাইছেন প্রভাসের জীবন সম্পর্কে, তো কারও আগ্রহ তার বডি নিয়ে। তাই তো আজ বোল্ডস্কাই বাংলার পাঠকদের পরিবেশন করতে চলেছি প্রভাসের সেই সিক্রেট ডায়েট চার্টটি, যা মেনে তিনি এমন শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন। আপনিও যদি এমন বডি বানাতে চান তাহলে আর অপেক্ষা না করে জেনে নিন বহুবলি-২-এর শুটিং চলাকালীন কী কী খেতেন, শরীরচর্চার ধরণই বা কেমন ছিল এই তেলেগু সুপার স্টারের। একটা কথা বলতে পারি, প্রবন্ধটি পড়ার পর আপনার চোখ যে একবারে কপালে উঠে যাবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কেন এমন বলছি তাই ভাবছেন তো! বাকি প্রবন্ধে চোখ রাখলেই উত্তর পেয়ে যাবেন।
বাহুবলীর
বাহু:
সিনেমাটি
শরুর
আগে
৮২
কিলো
ওজন
ছিল
প্রভাসের,
যা
প্রায়
১৫০
কিলোর
কাছাকাছি
নিয়ে
যাওয়ার
লক্ষ্য়
স্থির
করেছিলেন
বাহুবলী।
দরকার
ছিল
কঠোর
পরিশ্রমের।
যাতে
তার
শরীরি
ভাষা
একেবারে
যোদ্ধার
মতো
হয়ে
ওঠে।
কিন্তু
কীভাবে
এমনটা
করলেন
প্রভাস?
দেশি
ট্রেনারের
তত্ত্বাবধানে
শুরু
হল
শরীরচর্চা।
প্রতিদিন
কয়েক
ধাপে
প্রায়
৬
ঘন্টা
এক্সারসাইজ
করতেন
এই
তেলেগু
সুপারস্টার।
সকালে
দেড়
ঘন্টা
চলতো
কার্ডিও
এক্সারসাইজ।
তবে
তার
আগে
কিছু
সময়
ওয়ার্ম
আপ।
কার্ডিও
এক্সারসাইজের
সময়
পেটের
পেশি
মজবুত
করাই
ছিল
তার
প্রধান
লক্ষ।
সেই
সঙ্গে
অ্যাবস
তৈরির
বিষয়েও
খেয়াল
রেখেছিলেন
প্রভাস।
বিকেলে
হত
ওয়েট
ট্রনিং।
সেই
ট্রেনিংও
চলতো
প্রায়
দেড়
থেকে
দু
ঘন্টা।
বহাবলী
বলে
কথা,
তার
শরীর
যদি
পেশীবহুল
না
দেখায়
তাহলে
চলবে
কীভাবে
বলুন!
এখানেই
শেষে
নয়,
শুটিং
এবং
ট্রেনিং
সংক্রান্ত
ট্রেস
যাতে
প্রভাস
ঠিক
মতো
সামলে
উঠতে
পারেন
তাই
ট্রেনাররা
তাকে
দিনে
কয়েক
ঘন্টা
যোগাসন
এবং
স্ট্রেচিং
করাতেন।
প্রসঙ্গত,
ট্রেনিং-এ
যাতে
কোন
খামতি
না
থাকে,
তাই
এই
কয়েক
বছরে
প্রভাস
নিজের
বিলাস
বহুল
বাড়িতে
প্রায়
১
কোটি
টাকা
খরচ
করে
"স্টেট
অব
দি
আর্ট"
একটি
জিম
বানিয়ে
ফেলেছিলেন।
শোনা
যায়
সারা
ভারতে
নাকি
এমন
জিম
আর
নেই
,
যেমনটা
প্রভাস
নিজের
জন্য
বানিয়েছিলেন।
একেই
বলে
ডিটারমিনেশন,
তাই
না!
শুধু
কি
শরীরচর্চা,
সঙ্গে
ছিল
বিশেষ
ডায়েট:
প্রভাস
বিশ্বাস
করেন
যে
ঠিক
মতো
খাবার
না
খেয়ে
শুধু
শরীরচর্চা
করে
বডি
বানানো
যায়
না।
তাই
তো
তিনি
বহুবলীর
শুটিং
চলাকালীন
যেমন
জিমে
ঘাম
ঝড়িয়েছেন,
তেমনি
খাওয়া-দাওয়ার
দিকেও
সজাগ
দৃষ্টি
রেখে
গেছেন।
বিশেষ
কয়েকজন
ডায়াটেশিয়ানের
নির্দেশে
প্রবাসের
জন্য
তৈরি
হয়েছিল
বিশেষ
ডায়েট
চার্ট,
যা
বাস্তবিকই
অবিশ্বাস্য
ছিল।
প্রতিদিন
ব্রেকফাস্টে
তাকে
পরিবেশন
করা
হত
৪২
টি
ডিমের
সাদা
অংশ।
সঙ্গে
থাকতো
প্রোটিন
পাউডার।
কোনও
কোনও
দিন
২৫০
গ্রাম
মুরগির
মাংস।
এই
সময়
তাকে
"জিরো
কার্বোহাইড্রেট"
ডায়েট
মেনে
চলার
পরামর্শ
দিয়েছিলেন
বিশেষজ্ঞরা।
তাই
তো
ভাত-রুটি
বা
যে
কোনও
কোনও
ধরনের
কার্বহাইড্রেট
সমৃদ্ধ
খারাব
খাওয়া
একেবারে
বন্ধে
করে
দিয়েছিলেন
প্রভাস।
পরিবর্তে
তার
সারা
দিনের
ডায়েটে
থাকতে
মুরগির
মাংস,
প্রচুর
পরিমাণ
বাদাম,
মাছ,
ডিমের
সাদা
অংশ,
ফল
এবং
নানা
ধরনের
সবজি।
বিশেষত,
ব্রকলি
এবং
পালং
শাক
খেতেন
তিনি।
আর
এই
পরিমাণ
খাবার
তাকে
সারা
দিনে,
২
ঘন্টা
অন্তর
অন্তর
৬
বারে
খেতে
হত।
এবার
বুঝতে
পারছেন
তো
পর্দায়
সুন্দর
দেখাতে
আমাদের
সুপার
স্টারদের
কতটাই
না
পরিশ্রম
করতে
হয়।
প্রসঙ্গত,
এই
সময়
সারা
দিনে
প্রভাসের
শরীরের
ক্যালরি
প্রবেশ
করত
প্রায়
২০০০-৪০০০,
যা
স্বাভাবিক
মাত্রার
প্রায়
দুগুণ।
প্রভাসের
দেওয়া
কিছু
ওয়ার্কআউট
টিপস:
১.
শরীরের
প্রতি
অংশের
পেশির
যেন
বৃদ্ধি
ঘটে।
কারও
কারও
দেখবেন
কোমরের
উরের
অংশ
ভাল।
কিন্তু
পায়ের
পেশি
একেবারেই
সুন্দর
নয়।
এমনটা
যেন
না
হয়।
২.
স্টেরয়েড
নেবেন
না।
স্বাভাবিক
শরীরচর্চার
মাধ্যমে
শরীর
গঠন
করলে
দেখবেন
বেশি
উপকার
পাবেন।
৩.
প্রতিদিন
নিয়ম
করে
শরীরচর্চা
করতে
হবে।
সেই
সঙ্গে
ডায়াটের
দিকেও
নজর
দিতে
হবে।
দিনে
যে
পরিমাণ
ক্যালোরির
প্রয়োজন
পরছে,
তা
শরীর
যাতে
পায়
সেদিকে
খেয়াল
রাখতে
হবে।