Just In
(ছবি)চিকুনগুনিয়ায় গাঁটের ব্যাথা উপশমে এই ঘরোয়া টোটকাগুলি খুবই উপকারি
মশার কামড় থেকে যে সমস্ত ক্ষতিকারক রোগ ছড়ায় তার মধ্যে অন্যতম হল চিকুনগুনিয়া। এখনও পর্যন্ত এই রোগের চিকিৎসার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও টীকা আবিষ্কার হয়নি। চিকুনগুনিয়া হলে জ্বর, মাথাব্যাথা, কোমড়ে ব্যাথা, গাঁটে ব্যাথা, গলা ব্যাথার মতো সমস্যা দেখা যায়। [(ছবি) শরীর সুস্থ রাখতে ম্যাগনেসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা কতটা?]
চিকুনগুনিয়া থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে রোগের লক্ষণগুলি ভাল করে বুঝে নেওয়া দরকার। এই রোগের ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে এবং তার থেকে মুক্তি পেতে কি কি উপায় অবলম্বন কর প্রয়োজন সে বিষয়ে ধারনা থাকাটা জরুরী। [(ছবি) এই ৭ টি লক্ষণ দেখে বোঝা যায় ব্লাড সুগারের কারণ]
চিকুনগুনিয়ার হলে প্রচন্ড গাঁটের ব্যাথা অনুভূত হয় । এর থেকে উপশমের জন্য যে ঘরোয়া টোটকাগুলি খুবই কাজে লাগে সেগুলি এক নজরে দেখে নেওয়া যাক। [(ছবি) হাঁটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া টোটকা]
বরফের মালিশ
প্রথমে বরফের ছোট ছোট টুকরো তোয়ালের মধ্যে ভাল করে জড়িয়ে নিয়ে শরীরেরে যে অংশগুলিতে ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে সেখানে বেশ কিছুক্ষন করে বরফ বর্তি তোয়ালে চাপা দিয়ে রাখলে আরাম পাওয়া যাবে। চিকুনগুনিয়ার ফলে যে গাঁটের ব্যাথা হয় তার থেকে আরাম পেতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভিটামিন সি
চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে রোগীকে ভিটামিন সি যুক্ত ফল খাওয়ানো উচিৎ। কারণ ভিটামিন সি এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শারীরিক সংক্রমণকে কম করতে সাহায্য করে। তাই ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমন কমলালেবু এই সময়ে বেশি করে খাওয়ানো যেতে পারে।
সবুজ শাক-সবজি
চিকুনগুনিয়া হলে পাতা যুক্ত সবুজ শাক সবজি খাওয়া ভাল। কেনা সবুজ শাক সবজির মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই থাকে যা গাঁটের ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। তাই চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্তদের রোজ নিয়ম করে সবুজ শাক-সবজি খাওয়া প্রয়োজন।
ব্যায়াম
চিকুনগুনিয়ার ফলে অসহ্য গাঁটের ব্যাথা হয়। এর থেকে মুক্তি পেতে নিয়ম করে কিছু ব্যায়াম করা যেতে পারে। তবে শরীরের কথা মাথায় রেখে যেটুকু সম্ভব সেটুকু ব্যায়াম করাই ঠিক। এর জন্য প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে পারেন।
হলুদ
চিকুনগুনিয়ার ফলে যে গাঁটের ব্যাথা হয় তার থেকে উপশম পেতে যে সব ঘরোয়া উপরকরন কাজে লাগে তার মধ্যে অন্যতম হল হলুদ। যা প্রতিটি গৃহস্থেই সহজলভ্য। হলুদের মধ্যে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গাঁটের ব্যাথা নিরাময়ে সাহায্য করে।
রসুন
বাড়িতে সহজেই পাওয়া যায় এমন আর একটি উপাদান হল রসুন। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং গাঁটের ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে রসুন খুবই উপকারি। প্রত্যেকদিন সকালে তাই খোসা ছাড়ানো রসুন খেলে এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আদা
গাঁটের ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে আদা খুব কার্যকরী। আদার মধ্যে অনেক ব্যাথা উপশমের উপাদান রয়েছে। তাই চিকুনগুনিয়ার ফলে গাঁটের ব্যাথা হলে আদা বেশ উপকারি ভূমিকা নিতে পারে।
মালিশ
গাঁটের ব্যাথা থেক সাময়িক উপশম পাওয়ার জন্য হাত এবং পায়ে মালিশ করা যেতে পারে। এতেই ব্যাথার থেকে সাময়িক উপশম পাওয়া সম্ভব। তবে চিকুনগুনিয়ার কোন লক্ষণ ধরা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।