Just In
অল্প দিনেই ওজন কমাতে খাওয়া শুরু করুন লেবু
অল্প দিনেই ওজন কমাতে খাওয়া শুরু করুন লেবু
একদম ঠিক শুনেছেন। আপনার শরীরে বহুদিন ধরে জমতে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমাতে লেবু দারুন কাজে আসে। শুধু তাই নয়, সার্বিকভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখতেও এই ফলটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। কিন্তু কীভাবে লেবু ওজন কমায়? সেই উত্তর পেতে গেলে যে চোখ রাখতে বাকি প্রবন্ধে।
শরীর ঠিক রাখতে সারাদিনে যে পরিমাণ ভিটামিন-সি-এর প্রয়োজন পরে, একটা লেবু খেলে সেই ঘাটতি নিমেষ মিটে যায়। আর আপনাদের জানা আছে কিনা জানিনা, এই ভিটামিনটি শরীরে কর্টিজল হরমোনের কার্যকরীতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে স্ট্রেস তো কমেই সেই খিদেও কমে। আর একথা তো সকলেই জানেন যে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত যত খাবেন, তত বাড়বে ওজন।
এখানেই শেষ নয়, লেবুতে রয়েছে পলিফেনল নামে একটি উপাদান, যা শরীরে মেদ জমা আটকে ওজন বৃদ্ধির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে কিন্তু লেবুর খোসাও সমান ভাবে কাজে দেয়। কীভাবে? লেবুর খোসায় রয়েছে পেকটিন নামে এখটি উপাদান। এটি বহুক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমে। তাই তো ওজন কমাতে সব থেকে কম খরচ সাপেক্ষ উপায় হিসেবে লেবুর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু কীভাবে লেবুকে কাজে লাগানো যেতে পারে ওজন কমানোর কাজে? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
১. লেবুর জল:
এতে রয়েছে ডি-লিমোনেস, যা লিভার এনজাইমের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, যা শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন সব বের করে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জমতে থাকা ফ্যাটদের গলিয়ে দিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. লেবু চা:
ওজন কমাতে চাইলে দিনে কয়েকবার লেবু চা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই ওজন কেমন নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে। ইচ্ছা হলে গ্রিন-টিতেও লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। আসলে যেমনটা আগেও বলা হয়েছে, লেবুতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে চর্বির মাত্রা কমাতে দারুন কাজে আসে।
৩. লেবুর রস মেশান সেদ্ধ সবজিতে:
সবজিতে রয়েছে ফাইবার এবং এমন কিছু খনিজ, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে প্রতিদিনের ডায়েটে সবুজ শাক-সবজি রাখলে দেখবেন অকারণ খাওয়ার অভ্যাস একেবারে কমে যাবে। আর সবজির সঙ্গে যদি লেবুর রস মিশিয়ে খান, তাহলে তো কথাই নেই। ওজন হ্রাসের মাত্রা আরও বেড়ে যাবে।
৪. ড্রেসিং হিসেবে:
খাবার পরিবেশন করার সময় যদি ড্রেসিং করার ইচ্ছা হয়, তাহলে কেমিকাল বা চিনি জাতীয় ড্রেসিং ব্যবহারের পরিবর্তে লেবুকে কাজে লাগান। এমনটা করলে শরীরে ক্ষতিকর উপাদান কম প্রবেশ করবে, সেই সঙ্গে ওজনও কমতে থাকবে।
৫. মিষ্টি একেবারে খাবেন না:
ওজন কমাতে চাইলে কিন্তু মিষ্টি জাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। কারণ এমন খাবার কেলে শরীরে ক্য়ালোরির মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা ওজন বাড়ায়। আর যদি মিষ্টি খেতে খুব ইচ্ছা করে, তাহলে ওটস অথবা ডাবের জলে সামান্য লেবুর রস ফেলে খেতে পারেন।
৬. ওটসের সঙ্গে লেবুর রস:
একেবারেই ঠিক শুনেছেন। ওটসের সঙ্গে অল্প করে লেবুর রস মিশিয়ে দিন, দেখবেন স্বাদ কেমন বদলে যায়। একবার এমনবাবে ওটস খেলে আর লেবিুর রস ছাড়া ওটস খেতে আপনার ইচ্ছাই করবে না।
৭. লেবুর জলের বরফ:
লেবুর জল খেতে একেবারে ভাল লাগে না? কোনও চিন্তা নেই। আরেকভাবে লেবুর জল খাওয়া যেতে পারে। কীভাবে? লেবুর জল বানিয়ে আইস ট্রেতে ঢেলে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। বরফ হয়ে গেলে, সেই বরফ এবার যে কোনও কিছুতে দিয়ে খেতে পারেন। লেবুর জল সরাসরি খেলে যেমন কাজে দেয়, এতেও একই রকম কাজ হবে।
৮. খাবারে দিয়ে খেতে পারেন:
খাওয়ার সময় যে কোনও খাবারে অল্প করে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। তাতে স্বাদ তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে ওজন কমার প্রক্রিয়াও আর দ্রুত গতিতে হতে থাকবে।
৯. ব্রাউন রাইসে মিশিয়ে খেতে পারেন:
যারা ওজন কমাতে সকাল-বিকাল ব্রাউন রাইস খেয়ে থাকেন। তারা আজ থেকে ভাতের সঙ্গে অল্প করে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। স্বাদের উন্নতি তো ঘটবেই, সেই সঙ্গে ওজন কমতে শুরু করবে আরও দ্রুত হারে।
১০. ককটেল অথবা মকটেলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন:
এক কাপের এক চতুর্থাংশ ভদকার সঙ্গে পরিমাণ মতো লেবুর রস এবং এক কাপের এক চতুর্থাংশ মাপের সুগার সিরাপ মিশিয়ে নিলে দেখবেন স্বাদ কেমন বদলে যায়। ফলের রসের সঙ্গেও একইভাবে লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। এতে চিনি খাওয়ার মাত্রা যেমন কমবে, তেমনি ওজনও কমবে চোখে পরার মতো।