For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ!

সম্প্রতি জনতে পারা গেছে একদল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী এমন একটি ওষুধ আবিষ্কার করেছেন, যা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে।

By Nayan
|

এত বছর ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাওয়ার পর অবশেষ সেই মহৌষধির সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা। এবার হয়তো আশার আলোর সন্ধান পাবে অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া অনেক জীবন!

সম্প্রতি জনতে পারা গেছে একদল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী এমন একটি ওষুধ আবিষ্কার করেছেন, যা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে। একবার ভাবুন, এই ওষুধটির ব্যবহার শুরু হলে কত লিউকেমিয়া রোগীই না ফেরে আসতে পারবে মৃত্যুর গ্রাস থেকে।

কীভাবে কাজ করবে ওষুধটি?

কীভাবে কাজ করবে ওষুধটি?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, "এইচ এক্স আর৯"নামক এই ওষুধটি শরীরে প্রবেশ করার পর দেহে উপস্থিত অস্বাস্থ্যকর এবং ক্ষতিকারক কোষেদের মেরে ফেলে। সেই সঙ্গে "এইচ ও এক্স" নামে বিশেষ এক কোষেদের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই কোষটি ক্যান্সার সেলের অগ্রগতি আটকাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এইচ ও এক্স কোষেদের শক্তি বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি আটকে যায়।

চিকিৎসা সম্ভব হবে মেলয়েড লিউকোমিয়ারও:

চিকিৎসা সম্ভব হবে মেলয়েড লিউকোমিয়ারও:

ব্লাড ক্যান্সারের মধ্যে সবথেকে ভযঙ্কর হল মেলয়েড লিউকোমিয়া। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী এই ধরনের ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসাতেও দারুন কাজে আসবে এই ওষুধটি। এতদিন পর্যন্ত মেলয়েড লিউকোমিয়ার কোনও চিকিৎসা ছিল না বললেই চলে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি যে বদলাবে সে ব্য়াপারে আত্মবিশ্বাসী ওষুধটির অন্য়তম আবিষ্কারক, ইউনিভার্সিটি অব ব্রেডফোডের প্রফেসর ডাঃ রিচার্ড মরগ্যান।

শুরুর দিনের কথা:

শুরুর দিনের কথা:

একেবারে প্রথম ধাপে গবেষকরা ২৬৯ জন মেলয়েড লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত রোগীর জিন এক্সপ্রেশন বিশ্লেষণ করা শুরু করেন। তারপর চলে আরও কয়েক ধাপে নানাবিধ গবেষণা। এই সময়ই চিকিৎসকেরা লক্ষ করেন যে মেলয়েড লিউকোমিয়ার সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে এইচ ও এক্স পরিবারের জিনেদের। তারপরই শুরু হয় ওষুধ বানানোর প্রক্রিয়া। অবশেষে এইচ এক্স আর৯ ওষুধটি হাতে আসার পর শুরু হয় ক্যান্সার সেলের উপর তার প্রয়োগ। তখনই প্রথম নজরে আসে ওষুধটি ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করতে সক্ষম। এখানেই শেষ নয়, ক্যান্সার চিকিৎসায় সাধারণত যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেগুলির সঙ্গে এইচ এক্স আর৯ ওষুধটি প্রয়োগ করে গবেষকরা দেখেছেন তাতে ক্যান্সার সেলের ধ্বংস আরও দ্রুত গতিতে হয়। তাই আশা করা যেতে পারে আগামী কয়েক বছরে এই ওষুধ যখন বাজারে আসবে, তখন হয়তো লিউকোমিয়ার সংক্রান্ত মৃত্যুহার অনেক কমবে।

English summary

এত বছর ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাওয়ার পর অবশেষ সেই মহৌষধির সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা। এবার হয়তো আশার আলোর সন্ধান পাবে অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া অনেক জীবন!

Scientists have developed a new drug that strips cancer cells of their "immortality", and may treat patients suffering from one of the most aggressive forms of leukaemia.
X
Desktop Bottom Promotion