Just In
(ছবি) আপনার 'বেলি ফ্যাট'-এর জন্য দায়ী এই অভ্যাসগুলি
ওজন বেড়ে যাওয়া এখনকার দিনে এক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। কেউই চান না নিজেকে মোটা দেখতে আর সেজন্য রোগা হতে চেষ্টার কসুর করেন না। তবে সবসময় চাইলেই যে রোগা হওয়া যায় তেমন নয়। [পেটের অস্বাভাবিক মেদ ঝরাবেন কী করে?]
তবে শুধু কম বা বেশি খাওয়ার উপরে আমাদের রোগা বা মোটা হওয়া নির্ভর করে না। আরও নানা কারণ এতে অনুঘটকের কাজ করে। খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি মূলত আমাদের জীবনযাত্রার ধরনের ফলেই বেলি ফ্যাট বা ভুঁড়ির সমস্যা হয় আমাদের। নিচের স্লাইডে দেখে নিন, কোন অভ্যাসের ফলে পেটে চর্বি জমে ভুঁড়ি হয় আমাদের।
ডায়েট সোডা
কার্বন সমৃদ্ধ যে কোনও পানীয়তে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এই ধরনের পানীয় খিদে বাড়িয়ে দেয় ফলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলেন আপনি। আর ফল হিসাবে অতিরিক্ত চর্বি পেটে জমে।
বসে কাজ করা
রুজি-রোজগারের জন্য করতে হলেও অফিসে বসে বসে কাজ করার চেয়ে খারাপ আর কিছু নেই। ডেস্কে বসে কাজে যেমন পেটে চর্বি বাড়ে, তেমনই এই কাজ শরীরকে আরও খারাপের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
না ভেবে খাওয়া
ব্য়ালান্স ডায়েট মেনে না চললে পেটে চর্বি জমবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি কেমন খাবার খাচ্ছেন, সেটা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া
টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া বা কোনও কাজ করেত করতে খাওয়াকে বলে 'মাইন্ডলেস ইটিং'। অলসভাবে টিভির সামনে বসে খাবেন না। এতে খাওয়াও ঠিক হবে না, আর বেশিও খেয়ে ফেলবেন আপনি।
কমফোর্ট জোনে চলে যাওয়া
নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করতে পারলে তবেই অলসতা কাটাতে পারবেন আপনি। একইসঙ্গে ওজন কমাতে বা পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করবে এটি।
রাতের পার্টি
রাতে নিয়মিত পার্টি করলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি হবেই। আর তা না ঝরালে পেল্লাই ভুঁড়ি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। কারণ রাতের খাবার হজম হতে অনেক সময় লাগে। খেয়েই ঘুমাতে চলে যাওয়া মানে হজম ভালোভাবে হয় না। একইসঙ্গে পেটে চর্বি জমতে শুরু করে।
আসল খাবারে মন না দেওয়া
শাক-সবজি-ফল-শস্য ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবারকেই নিজের ডায়েটে জায়গা দিতে হবে। তার বদলে ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুডে ভরসা রাখলে বিপদ বাড়বে বই কমবে না।
এমন আরও খবর পড়ুন এখানে :
কোন অভ্যাসের ফলে পেল্লাই ভুঁড়ি হচ্ছে আপনার
৭দিনে ফোলা পেট ফ্ল্যাট করার উপায়
'ফ্ল্যাট' পেট পেতে চাইলে এই খাবারে 'না' বলুন
যে ১০টি খাবার খেয়ে নিজেদের তন্বী রাখেন ফ্যাশন মডেলরা