Just In
- 6 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 7 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 10 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 12 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
আপনার বাচ্চা মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম-এ আক্রান্ত নয় তো? জানুন এর লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে
বাচ্চাদের মধ্যে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম (MIS-C) একটি গুরুতর অবস্থা, যা কোভিড-১৯ এর সাথে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। বেশিরভাগ কোভিড আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রেই, করোনার হালকা সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। তবে যেসব বাচ্চারা এই মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়ছে।
অনেক বাচ্চা যত্ন এবং যথাযথ চিকিৎসার ফলে সুস্থ হয়ে ওঠে, তবে কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে অবস্থার অবনতি হতেও লক্ষ্য যায়। তাহলে জেনে নিন বাচ্চাদের মধ্যে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম সম্পর্কে বিস্তারিত।
বাচ্চাদের মধ্যে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম কী?
সাধারণত বয়স্কদের চেয়ে বাচ্চাদের মধ্যে করোনার হালকা সংক্রমন দেখা যায়। তবে কিছু কিছু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে, সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করছে। যার ফলে অবস্থার অবনতি হতেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনকি কখনও কখনও সংক্রামিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে, অনেক বাচ্চার মধ্যে সংক্রমণের গুরুতর লক্ষণগুলি দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ভাষায় এটিই হল, মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম ইন চিলড্রেন(MIS-C)।
বাচ্চাদের এই মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোমের উপসর্গগুলি কী কী?
মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম কীভাবে করোনার সংক্রমণের সাথে জড়িত, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এখনও গবেষণা চালাচ্ছেন। এর উপসর্গগুলি হল -
১) জ্বর হওয়া
২) পেটে ব্যথা
৩) বমি এবং ডায়ারিয়া হওয়া
৪) ব়্যাশ
৫) ঘাড়ে ব্যথা
৬) ঠোঁট লাল হয়ে যাওয়া এবং ঠোঁট ফাটা
৭) চোখ লাল হয়ে যাওয়া
৮) অত্যন্ত ক্লান্তি বোধ হওয়া
৯) হাত-পা ফুলে যাওয়া
১০) লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া
উপরোক্ত এই উপসর্গগুলি লক্ষ্য করা মাত্রই, অবস্থার অবনতি হওয়ার আগেই অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
MIS-C বিভিন্ন বাচ্চার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। হার্ট, রক্তনালী, পাচনতন্ত্র, কিডনি, মস্তিষ্ক, চোখকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অনেক সময় কোনও অঙ্গ ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে হার্ট অথবা রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
MIS-C কীভাবে নির্ণয় করা যায়?
১) ব্লাড টেস্ট
২) ইউরিন টেস্ট
৩) কোভিড টেস্ট
৪) বুকের এক্স-রে
৫) হার্টের বিভিন্ন টেস্ট, যেমন - ইসিজি এবং ইকোকার্ডিওগ্রাম
৬) অ্যাবডোমিনাল আল্ট্রাসাউন্ড
কীভাবে চিকিৎসা করা হয়?
এই মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোমের ক্ষেত্রে, সাধারণত বাচ্চাদের উপসর্গ এবং টেস্টের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়। অক্সিজেন, বিভিন্ন ধরনের ঔষধি এবং ইন্ট্রাভেনাস (IV) ফ্লুইডস দেওয়া হতে পারে, যা প্রদাহ কমাবে, রক্ত জমাট বাঁধতে অথবা অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধা দেবে। কিছু কিছু বাচ্চার চিকিৎসার ক্ষেত্রে, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা ICU-এর প্রয়োজনও হতে পারে।
বাচ্চাদের মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম হলে কী করা উচিত?
মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোমের ক্ষেত্রে, বেশিরভাগ বাচ্চারাই হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে, সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তাই বাড়িতে যাওয়ার পরেও, চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা প্রয়োজন।