Just In
Don't Miss
বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিকদের মানতে হবে এই নিয়মগুলি!
বর্ষার শুরু দিকে পরিবেশে জলীয় বাষ্পের মাত্রা খুব বেড়ে যায়, সেই সেঙ্গে তাপমাত্রাও যে খুব কমে যায়, এমন নয়। এমন অজাব রকমের ওয়েদার হওয়ার কারণে ডায়াবেটিকদের শ্বাস কষ্টের আশঙ্কা খুব বৃদ্ধি পায়।
তৃষ্ণার্ত গলা জলের স্পর্শ পেলে যেমন প্রাণ ফিরে পায়। তেমনি দীর্ঘ তাপ প্রবাহের পর বর্ষার আগমন যেন সমগ্র প্রাণীকূলের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ হয়ে ওঠে। কিন্তু ডায়াবেটিকদের কাছে এই মরশুম মোটেও সুখকর নয়। তাই সাবধান!
এই সময় হঠাৎই পরিবেশে পরিবর্তন আসতে শুরু করে করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ডায়াবেটিকদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। আর এমনটা হওয়া মাত্র যদি প্রয়োজীনয় সাবধনতা অবলম্বন করা না যায়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ। এক্ষেত্রে জ্বর, সর্দি-কাশি সব একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই প্রথম থেকেই প্রয়োজনীয় সাবধনতাগুলি অবলম্বন করতে হবে। আর এক্ষেত্রে আপনার সঙ্গী হতে পারে বোল্ডস্কাই বাংলা। কারণ আজ এই প্রবন্ধে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যে গাইড লাইনটি প্রকাশ করা হল, তা যদি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা যায়, তাহলে আলুর চপ আর খিচুড়ির সঙ্গে বর্ষাকাল যে মন্দ কাটবে না, সেকথা হলফ করে বলতে পারি।
এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে, সেগুলি হল...
১. ঠান্ডা যেন না লাগে:
বর্ষার শুরু দিকে পরিবেশে জলীয় বাষ্পের মাত্রা খুব বেড়ে যায়, সেই সেঙ্গে তাপমাত্রাও যে খুব কমে যায়, এমন নয়। এমন অজাব রকমের ওয়েদার হওয়ার কারণে ডায়াবেটিকদের শ্বাস কষ্টের আশঙ্কা খুব বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাওয়ার জন্য বৃষ্টির জল গায়ে লাগলেই জ্বর, ঠান্ডা লাগা সহ সারা গায়ে অ্যালার্জি বেরনোর মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই সাবধান থাকতে হবে। ভুলেও বৃষ্টিতে ভেজা চলবে না কিন্তু!
২. সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে হবে:
বর্ষাকালে যতটা সম্ভব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করবেন। আর ভুলেও রাস্তায় জল জমে থাকলে বাড়ির বাইরে বেরবেন না। কারণ ডায়াবেটিকদের ইনফেকশন বা ঘা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। আর বর্ষাকালে যেহেতু জীবাণুর উপদ্রপ বেড়ে যায় তাই অতিরিক্ত সাবধান থাকতে হবে। প্রসঙ্গত, যদি কোনও কারণে সংক্রমণে আক্রান্ত হন অথবা হাত-পা কেটে যায়, তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। কারণ বছরের এই একটা সময়ে এমন ছোট ঘটনা থেকেও কিন্তু মারাত্মক কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩. বাড়িতে বানানো খাবার খাবেন:
এই সময় বাড়ির বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। তেমনি যেখান-সেখান থেকে জল খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ বর্ষার সময় খাবার এবং জলে নানাবিধ ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বেড়ে যায়। আর রাস্তার দোকানে যেহেতু অতটা যত্ন নিয়ে খাবার বানানো হয় না, তাই এমন খাবার খেলে পেটের সমস্যা সহ নানাবিধ ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, সাধারণত ডায়াবেটিকদের বারে বারে খুব ক্ষিদে পায়। তাই বাড়ির বাইরে থাকলে সঙ্গে সব সময় বাড়িতে বানানো খাবার রাখবেন। ভুলেও যেন রাস্তার খাবার বা ফল খাবেন না।
৪. পর্যাপ্ত জল পান জরুরি:
শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে শারীর ঠিক থাকতে পারে না। আর ডায়াবেটিকদের শরীরিক অবস্থা যেহেতু আরও খারাপ হয়, তাই এদের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে মারাত্মক রকম শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই চিকিৎসক যতটা বলে দেবেন, সেই পরিমাণ জল নিয়ম করে খেতে হবে। প্রয়োজনে ডাবের জলও খেতে পারেন, তাতে বেশি উপকার মিলবে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে হবে:
সংক্রমণ সহ একাধিক রোগের মার থেকে বেঁচতে শরীরকে চাঙ্গা করে তুলতে হবে। আর সেই কারণে বেশি বেশি করে এমন খাবার খেতে হবে যাতে শরীরের ইমিউনিটি বাড়ে। প্রসঙ্গত, কমলা লেবু, পাতি লেবু, ব্রকলি, রসুন, আদা, পালং সাক, দই, বাদাম, হলুদ, গ্রিন টি, পেঁপে, মাংস এবং সামদ্রিক মাছ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারাত্মক শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
৬. কাঁচা খাবার ভাল করে দুয়ে নিতে ভুলবেন না:
বর্ষার সময় সবজি এবং ফলে পোকা-মাকড়ের আনাগোনা বেড়ে য়ায়। তাই এই সব খাবারগুলি ভাল করে না ধুয়ে খাবেন না যেন!
৭. বর্ষার জুতো এক সাইজ বড় কিনবেন:
অনেকই বর্ষাকালের জন্য আলাদা জুতো কিনে থাকেন। খেয়াল রাখবেন সেই জুতোর মাপ যেন একটু বড় হয়। কারণ নতুন জুতো পরলে পায়ে ফোস্কা পরবে। আর ডায়াবেটিকদের যেহেতু এমনিতেই ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই ফোস্কা থেকে মারাত্মক কিছু হয়ে যেতে পারে। একটু বড় জুতো পরলে ফোস্কা পরার সম্ভাবনা কমে যায়।
৮. ভেজা জুতো বা মোজা পরবেন না:
বর্ষাকালে জুতো এবং মোজা ভিজে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীরা মনে রাখুন, তারা ভেজা কিছু বেশিক্ষণ শরীরের সঙ্গে লাগিয়ে রাখবেন না যেন! তাতে শরীরের ক্ষতি হবে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন পা পরীক্ষা করে দেখবেন কোনও ঘা অথবা সংক্রমণ হয়েছে কিনা। যদি সামান্যতমও কিছু লক্ষ করেন, তাহলে যথ শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসককের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।