Just In
Monkeypox : ধীরে ধীরে গোটা বিশ্ব গ্রাস করছে মাঙ্কিপক্স! কী এই রোগ? জেনে নিন
যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমণের হার। ইতিমধ্যেই জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, ইতালিতে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগটি। আমেরিকা, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াতেও খোঁজ মিলেছে মাঙ্কিপক্সের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে রোগটি নিয়ে। আগামী দিনে এই রোগের সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কী এই মাঙ্কিপক্স, এর উপসর্গই বা কী এবং কতটা ভয়াবহ এই রোগ -
মাঙ্কিপক্স কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুসারে, মাঙ্কিপক্স হল এক ধরনের ভাইরাল জুনোটিক রোগ, যা অত্যন্ত সংক্রামক। এই রোগ পশুদের থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্ট অঞ্চলের বাসিন্দারা এই ভাইরাসের সঙ্গে বেশি পরিচিত। তবে বর্তমানে ব্রিটেন, পর্তুগাল, স্পেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং আরও কয়েকটি দেশে এই রোগের হদিশ মিলেছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের ঘটনা সামনে আসেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আক্রান্ত পশুদের সংস্পর্শে এলে তবেই মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস থাবা বসাতে পারে।
মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ
মাঙ্কিপক্স সাধারণত সংক্রমণের পাঁচ থেকে ২১ দিন পরে দেখা যায়। এতে আক্রান্ত হলে গুটিবসন্তের মতো উপসর্গ দেখা দেয়, যেমন - মাথা ব্যথা, গায়ে-হাত-পায়ে ব্যথা, পেশীতে যন্ত্রণা, জ্বর, ক্লান্তি, শক্তির অভাব, শারীরিক দুর্বলতা, ইত্যাদি। এই উপসর্গগুলি ছাড়াও পক্সের সময় যেমন সারা গায়ে গোটা বেরোয়, এক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। অনেকটা ছোটো পক্সের মতো দেখতে লাগে সেগুলি। যতদিন এগোয় সেগুলি বড় হয়ে ফোসকার মতো আকার ধারণ করে। এর জন্য গায়ে চুলকানি ও ব্যথা হয়। সাধারণত, রোগীকে দুই থেকে চার সপ্তাহ ভুগতে দেখা যাচ্ছে।
মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিন
স্মলপক্স ভ্যাকসিনগুলিই মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে ৮৫ শতাংশ কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে। যাঁদের পক্সের টিকা নেওয়া আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই রোগের ভয়াবহতা তুলনায় কম হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (CDC) এর মতে, JYNNEOS ভ্যাকসিনটিকে ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। যদিও এই ভ্যাকসিনটি এখনও পর্যন্ত অন্যান্য সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা
মাঙ্কিপক্সের এখনও কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। উপসর্গগুলির দিকে খেয়াল রাখা উচিত এবং সেই মতো যত্ন নিতে হবে। রোগীর যত্ন নেওয়ার সময় PPE ব্যবহার করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ভাল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেমন - সাবান-জল দিয়ে হাত ধোওয়া বা অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, ইত্যাদি।