Just In
(ছবি) সিগারেটের চেয়ে হুক্কা কেন বেশি ক্ষতিকারক?
আমরা সবাই জানি সিগারেট শরীরের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না হুক্কার নেশা সিগারেটের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর।
অনেকেই আছেন, যাঁরা হুক্কার নেশা করেন। বাড়িতে বা যে কোনও হুক্কা বারে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টার হুক্কার নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন। কিন্তু তাঁরা নিচের অজান্তেই কত বড় ক্ষতি ডেকে আনছেন তারা নিজেরাই জানেন না। [(ছবি) এই ১০টি বদভ্যাস আপনার বুদ্ধির ধার কমাতে পারে!]
সিগারেটের ধোঁয়া আমাদের ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর থেকে ফুসফুসজনিত নানা ধরণের রোগ হতে পারে। হুক্কার নিয়মিত নেশায় সেই সম্ভাবনা কয়েক গুন বেড়ে যায়। হুক্কার ধোঁয়াও সিগারেটের ধোঁয়ার চেয়ে অনেক ঘন হয়। যা অতি সহজে ফুসফুসের উপর মোটা পরত ফেলে। এবং ধীরে ধীরে মানুষকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়। [(ছবি) এই ১০ অদ্ভুত বস্তু দিয়ে পোশাক তৈরি হতে পারে ভেবেছিলেন কখনও?]
হুক্কা কেন বেশি ক্ষতিকর আসুন দেখে নেওয়া যাক।
প্রথম তথ্য
সিগারেটের মতো হুক্কাতেও ভরপুর নিকোটিন রয়েছে। যার ফলে বারবার খেলে এটা নেশায় পরিণত হতে সময় নেয় না।
দ্বিতীয় তথ্য
হুক্কায় কয়লার সাহায্যে তামাক জ্বালানো হয়। আর তাই এই ধোঁয়ায় নানারমকের রাসায়ণিক ছাড়াও ক্ষতিকারককার্বন মনোক্সাইড থাকে।
তৃতীয় তথ্য
আপনি যদি টানা ১ ঘন্টা ধরে হুক্কা খেতে থাকেন তাহলে তা একসঙ্গে ৫-৭ প্যাকেট খাওয়ার সমান।
চতুর্থ তথ্য
হুক্কার ধোঁয়ায় নিকেল সীসা , কার্বন মনোক্সাইড, টার, আর্সেনিক অতিরিক্ত মাত্য়া থাকে।
পঞ্চম তথ্য
একটি সাধারণ সিগারেটে যেখানে মূলত ১৯ বার ধোঁয়া টানা যায়। সেখানে একটা হুক্কায় ১৯৯ বার ধোঁয়া টানা যায়।
ষষ্ঠ তথ্য
মূলত বন্ধুবান্ধবের মধ্যে একটা হুক্কা ভাগাভাগি করে খাওয়া হয়। ফলে অতি সহজেই ব্যাকটেরিয়া জীবাণু একজনের থেকে আর এক জনে ছড়িয়ে যায়।
সপ্তম তথ্য
যেহেতু হুক্কা ভিন্ন ফ্লেভারের হয়, তাই বারবার খেতে ইচ্ছে করে। আর এর ফলে ফুসফুসের ক্ষতি আরও কয়েক গুন বেড়ে যায়।
অষ্টম তথ্য
যারা সিগারেট খান তাদের তুলনায় যারা হুক্কা খান তাদের মূত্রে নিকোটিনের পরিমান ৬৮ গুন বেশী থাকে।
নবম তথ্য
অনেকে মনে করেন যেহেতু হুক্কার তামাকের ধোঁয়া জলে পরিশ্রুত হয় তাই এর ক্ষতিকারক প্রভাব অনেক কম। কিন্তু এটি ভুল তথ্য, হুক্কা নিয়মিত খেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।