Just In
- 1 hr ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 1 hr ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 19 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 20 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
করোনা ভাইরাস : বায়ুবাহিত সংক্রমণ কী? এর থেকে বাঁচতে এই নিয়মগুলি মেনে চলুন
যতদিন যাচ্ছে ততই কোভিড-১৯ নিয়ে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। ফলে, মানুষ আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। শুরুর দিকে মনে করা হয়েছিল যে শুধুমাত্র হাঁচি বা কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেটের মাধ্যমেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই কারণেই ডাক্তার, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষার জন্য হাত ধোওয়াকে অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন।
কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাতাসের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিজ্ঞানীরা বাতাসে ভাইরাসের উপস্থিতির সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন এবং তাঁদের এই দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ বিশ্ব মহামারীর টেকনিক্যাল লিড মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেছেন, "আমরা বাতাসের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছি।" বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত অনুযায়ী, যেসব স্থানে মানুষের ভিড় বেশি, বন্ধ ঘর বা যেখানে বাতাস চলাচল ঠিকমতো হয় না, সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস বায়ুবাহিত! নতুন নির্দেশিকা জারি করল WHO
এই সবকিছুর একটাই অর্থ, আমাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ির ভিতরে এবং বাইরে সব জায়গাতেই আরও কেয়ারফুল থাকা দরকার। কারণ এখন করোনা ভাইরাস কেবলমাত্র সংক্রামিত বস্তু এবং ব্যক্তির থেকেই নয়, বাতাস থেকেও ছড়িয়ে পড়ছে।
বায়ুবাহিত (airborne) সংক্রমণ কী?
যখন কোনও সংক্রামিত ব্যক্তি হাঁচি বা কাশি দেয় তখন ভাইরাসটি তার দেহ থেকে বাতাসে প্রবেশ করে। এই ভাইরাস বাতাসে বেশ কয়েক ঘন্টা জীবিত থাকে এবং এই বায়ুতে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া ব্যক্তিকে সংক্রামিত করতে পারে।
এর থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায়
১) সর্বদা মাস্ক পরে থাকুন
বায়ুবাহিত সংক্রমণ এড়াতে প্রত্যেকের N95 মাস্ক পরা উচিত। সর্বদা মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বেরোবেন না। যেখানে কয়েকজন মানুষ একসঙ্গে আছে এমন জায়গায়ও যাওয়া ঠিক নয়, কারণ কখন, কার থেকে, কীভাবে বাতাসে ভাইরাস ছড়াবে তা বুঝতে পারবেন না। তাই ফাঁকা জায়গা বেছে নিন।
২) ফেস শিল্ড ব্যবহার করুন
আপনি যদি কাজের জন্য বা কোনও কারণে বাড়ির বাইরে যান তবে ফেস শিল্ড ব্যবহার করা খুবই উপকারি। এর ফলে আপনি বার বার আপনার মুখ স্পর্শ করবেন না এবং সংক্রমণ থেকে দূরে থাকবেন।
৩) স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বদা মাস্ক পরুন
স্বাস্থ্যকর্মীরা সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করতে পারেন না, তাই মাস্ক হল তাদের কাছে বৃহত্তম প্রতিরক্ষা অস্ত্র। এই ভাইরাস মাত্র পাঁচ মাইক্রন-এর হয়, যদি কোনও সংক্রামিত ব্যক্তি আপনার চারপাশে শ্বাস নেয়, তাহলেও আপনি সংক্রামিত হতে পারেন।
৪) সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ কেরখোভ জানিয়েছেন, কেবলমাত্র মাস্ক ব্যবহার নয়, সামাজিক দূরত্বও এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কথা বলার সময় এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখুন এবং মাস্ক পরুন। কারণ কথা বলার সময়ও ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
৫) এয়ার কন্ডিশনার বড় ঝুঁকি হতে পারে
এয়ার কন্ডিশন আছে এমন পাবলিক প্লেসে একদমই না যাওয়ার চেষ্টা করুন। কম ভেন্টিলেশনযুক্ত কোনও জায়গায়ও যাবেন না। এমন জায়গায় ভাইরাস খুব সহজেই ছড়াতে পারে।
৬) বাড়িতে বায়ুচলাচলের ব্যবস্থা রাখুন
এই সময় যে ঘরে অবাধে বায়ুচলাচল করে সেইসব ঘর ব্যবহার করুন। বায়ুচলাচল না করতে পারলে ভাইরাস ঘরের ভিতরেই ঘুরতে থাকে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।