Just In
বাসমতি চাল স্বাস্থ্যের পক্ষে কি ক্ষতিকারক?
বাসমতি চাল স্বাস্থ্যের পক্ষে কি ক্ষতিকারক?
স্বাদে ও গন্ধে চালেদের দুনিয়ায় সেরার সেরা হল বাসমতি চাল। আর যদি শরীরের প্রসঙ্গে আসেন তাহলে বলতেই হয় কোনও দিক থেকেই বাসমতি চাল ক্ষতিকারক নয়। বিশেষত, ব্রউন বাসমতি চাল তো বেশি স্বাস্থ্যকর। তাহলে এবার থেকে অপূর্ব সুন্দরি এই চালটি যখন গরম গরম মটন কারির সঙ্গে আপনার সামনে পরিবেশন করা হবে তখন নিশ্চন্তে খাবেন, প্রয়োজনে কবজি ডুবিয়ে কাবেন!
সাধারণ চালের থেকে কী বাসমতি চাল বেশি স্বাস্থ্যকর? একদমই! প্রতিদিন আমরা যে রিফাইন চালের ভাত খেয়ে থাকি, পুষ্টিগুণের বিচারে তার থেকে বাসমতি চাল সবদিক থেকে এগিয়ে। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, অল্প পরিমাণে ফ্য়াট, ভিটামিন, ফাইবার এবং মিনারেল। আর একথা তো বলে দেওয়ার নয় যে এইসব উপাদানগুলি শরীর ভালো রাখতে সাহায্য় করে।
এছাড়াও বাসমিত চালের আরও অনেক উপকারিতা আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
উপকারিতা ১:
যত বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাবেন, তত কোলন ক্য়ানসার হওয়ার আশঙ্কা কমবে। আর বাসমতি চালে তো প্রচুর মাত্রায় ফাইবার রয়েছে। বিশেষত ব্রাউন বাসমতি চালে। প্রসঙ্গত, এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রতিদিন ৩০ গ্রাম করে ফাইবার খেলে কোলন ক্য়ানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়। তাহলে এখন আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন, কোন চালটি খাবেন, আর কোনটি নয়।
উপকারিতা ২:
সেইসব খাবারই খাওয়া উচিত যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করবে না। আর ব্রাউন বাসমতি চালের গ্লাইকেমিক ইনডেক্স সাধারণ চালের থেকে অনেক কম। তাই তো যারা ডায়াবেটিক তারাও ইচ্ছা হলে বাসমতি চাল খেতে পারেন। তাতে তাদের কোনও ধরনের শারীরিক ক্ষতি হবে না। তবে প্রয়াজনে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না।
উপকারিতা ৩:
সাধারণ চালের থেকে বাসমতি চাল হজম হতে বেশি সময় লাগে। ফলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভার থাকে। তাই আপনি যদি চান আপনার ক্ষিদেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, তাহলে আবশ্য়ই খাওয়া শুরু করতে পারেন এই চালটি।
উপকারিতা ৪:
ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে কনস্টিপেশন সহ নানা ধরনের পেটের রোগ সারাতে বাসমতি চাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
উপকারিতা ৫:
বাসমতি চালে একেবারেই কোলেস্টরল থাকে না, ফ্য়াট থাকে একেবারে অল্প পরিমাণে। গ্লটিনও থাকে না। তাই বলতে দ্বিধা নেই, এই চালটি সবদিক থেকে হার্টকে ভাল রাখতে সাহায্য় করে।
উপকারিতা ৬:
এতে রয়েছে থিয়ামাইন এবং নায়াসিনের মতো ভিটামিন, যা হজম শক্তির উন্নতি ঘটায়, সেই সঙ্গে নার্ভাস সিস্টেম এবং হার্টকেও ভালো রাখে।