Just In
- 11 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 13 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 15 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 17 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
Don't Miss
ইমিউনিটি বাড়াতে আপনার পানীয়তে এই ভেষজগুলি অবশ্যই ব্যবহার করুন!
খাদ্য এবং পানীয় উভয়ই স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ জল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পানীয় (চা, শরবত, জুস, স্যুপ) শরীরকে হাইড্রেট রাখে। এমনকি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
পানীয়তে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ভেষজ, শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তুলতে দুর্দান্ত কাজ করে, যা এই করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে অত্যন্ত জরুরি। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, পানীয়তে থাকা ভেষজগুলি কীভাবে স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়তা করে।
১) আদা
আদা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি একটি ভেষজ। সর্দি-কাশি কিংবা জ্বর, এই সব সমস্যার ক্ষেত্রে, আদা দিয়ে চা বা পানীয় দুর্দান্ত কার্যকর। আদাতে উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকায়, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। আদা গলা ব্যথা সারাতে দারুণ কার্যকর। এছাড়াও, আদা পেটের নানান সমস্যা নিরাময়ের ক্ষেত্রেও দুর্দান্ত উপকারি।
২) তুলসী
তুলসী হল আয়ুর্বেদের অন্যতম চমৎকারী ঔষধি। এটি কেবলমাত্র রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই শক্তিশালী করে না, বিভিন্ন জীবাণুর বিরুদ্ধেও লড়াই করতে পারে। চর্মরোগ সারাতেও সহায়ক তুলসী। এছাড়া, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করে।
৩) পুদিনা
গরমের সময় ক্লান্তি দূর করতে এবং শরীর হাইড্রেট রাখতে, আমরা অনেকেই পুদিনার জল পান করতে পছন্দ করি। এছাড়াও পুদিনা এবং রোজমেরি সংমিশ্রণে তৈরি চা, স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং শরীরকে সতেজ করে তুলতে দুর্দান্ত কার্যকর। পেটের সমস্যার নিরাময়ের ক্ষেত্রেও পুদিনা অত্যন্ত উপকারি। এছাড়াও পুদিনা ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে।
৪) কোকুম
এটি গার্সিনিয়া ইন্ডিকা নামেও পরিচিত। কোকুম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজের দুর্দান্ত উৎস। এর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্যও বর্তমান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে। বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, কোকুম অন্ত্রের অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও দুর্দান্ত কার্যকর।
৫) অশ্বগন্ধা
অশ্বগন্ধা আয়ুর্বেদের অন্যতম ঔষধি। অশ্বগন্ধা অ্যামিনো অ্যাসিড, পেপটাইডস, লিপিড এবং নিউক্লিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা প্রধানত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। নিয়মিত অশ্বগন্ধার সেবন মানষিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং দুর্বল ঘুমের সমস্যার সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে।
৬) ব্রাহ্মী
অশ্বগন্ধার মতোই, ব্রাহ্মীও চমৎকার আয়ুর্বেদিক ঔষধ। এটি উদ্বেগের চিকিৎসা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কার্যকর। এই ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদিক ঔষধি, শরীরে ইমিউনোগ্লোবুলিনের উৎপাদন বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে। এতে উপস্থিত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও উপকারি।
৭) মৌরি
মৌরি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে সহায়তা করে। মৌরির জল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং প্রদাহ হ্রাস করতেও সহায়তা করে। এটি সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং শ্বাসযন্ত্রের পথ পরিষ্কার করতেও সহায়ক। মৌরি ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিনের অন্যতম উৎস, এই উপাদানগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পরিচিত।